ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪৮১

সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:২৬ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর অন্যায়ভাবে হামলাকারীদের গ্রেফতারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। আগামী শনিবারের মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার না করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়ার পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি করার ঘোষণা দেয়া হয়। বাংলাদেশে ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল আগামীনিউজ ডটকমের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহবুব মমতাজীকে শারীরিকভাবে হেনস্তার ঘটনার প্রতিবাদে  প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।

 বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) উদ্যোগে ক্র্যাব কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরছালিন নোমানী, ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান, মাহবুব আলম লাবলু, দীপু সারোয়ার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন, ক্র্যাবের যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত কাওছার, ক্র্যাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক আল হাদী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিত্য গোপাল তুতু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক জনকল্যাণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোকছুদার রহমান মাকসুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, ক্র্যাব সদস্য হাসান জাবেদ ও উজ্জল জিসানসহ প্রমুখ। 
এ সময় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অমিয় ঘটক পুলক, ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি নেসারুল হক খোকনসহ ক্র্যাব, ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফইউজের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে গণমাধ্যমকর্মীদের সরকারের প্রতিপক্ষ বানানোর অপচেষ্টা চলছে। দলীয় আদর্শচ্যুত হাইব্রিডরাই সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যদি সাংবাদিকরা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন, সেটি দুঃখজনক। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা না নিলে সাংবাদিকরা আন্দোলন গড়ে তুলবেন।

বক্তারা বলেন, সিটি নির্বাচনের দিন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অন্তত ১০ জন সাংবাদিকের ওপর হামলা করা হয়েছে। এসব ঘটনার ভিডিওফুটেজ থাকলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচিত এক কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে, পুলিশের আন্তরিকতার অভাবেই সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। 

মিডিয়া বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর