ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬০৬

সেই স্টোকসের বীরত্বে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় ইংল্যান্ডের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৫৫ ২৬ আগস্ট ২০১৯  

বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে নিশ্চিত হার থেকে বাঁচিয়ে শিরোপার স্বাদ দেন বেন স্টোকস। ১ মাস ১১ দিনের ব্যবধানে আবারো ইংলিশদের অবিস্মরণীয় জয়ের স্বাদ দিলেন তিনি। অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তার অসাধারণ ইনিংসের কল্যাণে অস্ট্রেলিয়াকে ১ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। 
জয়ের জন্য ৩৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৮৬ রানে নবম উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু তাদের হারের স্বাদ নিতে দেননি স্টোকস। শেষ ব্যাটসম্যান জ্যাক লিচকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৭৬ রান যোগ করে দলকে ঐতিহাসিক জয়ের স্বাদ দেন তিনি। ১১ চার ও ৮ ছক্কায় ২১৯ বলে ৩৩০ মিনিট ব্যাট করে অপরাজিত ১৩৫ রান করেন এ অলরাউন্ডার। ১ ঘণ্টা ব্যাট করে ১৭ বলে অপরাজিত ১ রান করে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন লিচ। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরলো। 
প্রথম টেস্ট ২৫১ রানে জেতে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হয়। ৩৫৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে তৃতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ড করে ৩ উইকেটে ১৫৬ রান। ফলে জয়ের জন্য বাকী ৭ উইকেটে ২০৩ রান দরকার ছিল। অধিনায়ক জো রুট ৭৫ ও স্টোকস ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।  এদিন রুট ৭৭ রানে থামলেও উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন স্টোকস। এ জুটির কল্যাণে লড়াইয়ে ফিরে ইংল্যান্ড। তবে তাদের ৮৬ রানের বেশি যোগ করতে দেননি অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হ্যাজেলউড। ৩৬ রান করা বেয়ারস্টোকে শিকার করেন তিনি। 
২৪৫ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে বেয়ারস্টোর বিদায়ের পর পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের ৪ উইকেট পড়ে মাত্র ৪১ রানে। অর্থাৎ ২৮৬ রানে নবম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ফলে জয় দেখতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। কারণ, বাকী ১ উইকেট হাতে নিয়ে জয় থেকে ৭৬ রান দূরে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ড।
এ অবস্থায় জয়ের আশা ছেড়ে দেয় তারা। কিন্তু হাল ছাড়েননি বিশ্বকাপের ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় স্টোকস। ওই ফাইনালেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত খেলে অপরাজিত ৮৪ রান করে দলকে নিশ্চিত হার থেকে বাঁচিয়ে ম্যাচ টাই করে খেলার গতিপথ সুপার ওভারে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভার টাই হলেও বেশি বাউন্ডারির মারার কারণে শিরোপা জেতে ক্রিকেটের জন্মদাতারা। 
ইংল্যান্ডকে নিশ্চিত হার থেকে বাঁচাতে এক প্রান্ত আগলে দুর্দান্তভাবে লড়াই শুরু করেন স্টোকস। সঙ্গে থাকা শেষ ব্যাটসম্যান লিচ দারুণভাবে সঙ্গ দেন তাকে। ফলে এক পর্যায়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ১৯৯ বলে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরির পর আরও মারমুখী মেজাজ নেন স্টোকস। এতে ভড়কে যায় অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। অবশ্য ব্যক্তিগত ১১৬ রানে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান তিনি। ওই সময় ১৭ রান দরকার ছিল ইংলিশদের। 
এ ব্যবধান কমিয়ে ১২৫ ওভারের চতুর্থ বল পর্যন্ত ২ রানে নামিয়ে আনেন স্টোকস। এরপর ইংল্যান্ডের শেষ উইকেট তুলে নেয়ার ভালো সুযোগ পায় অস্ট্রেলিয়া। ওই ওভারের পঞ্চম বলে রানআউটের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে অসিরা। আর শেষ বলে স্টোকসকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন স্পিনার নাথান লিঁও। কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দেননি। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, স্টোকস আউট ছিলেন। কিন্তু কোনও রিভিউ ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। ওই ওভারের শেষ দুই বলে এমন নাটকের পর আর পেছন ফিরে তাকাননি স্টোকস-লিচ জুটি। 
পরের ওভারেই জয় নিশ্চিত করেন তারা। লিচ ১ রান নিয়ে ম্যাচ টাই করেন। আর বাউন্ডারি মেরে ইংল্যান্ডকে আরাবো ঐতিহাসিক জয় এনে দেন স্টোকস। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ম্যানচেস্টারে হবে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর