ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৪৬৮

সোশ্যাল মিডিয়ার হুমকির মুখে মূলধারার গণমাধ্যম?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২৪ ৫ জুলাই ২০১৯  

সারাবিশ্বে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। বিশ্বজুড়ে নানা দেশে প্রতিবাদ, আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রেও বড় প্লাটফর্ম হয়ে উঠছে এটি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মূলধারার গণমাধ্যমের চেয়ে কী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শক্তিশালী হয়ে উঠছে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক শামীম রেজা বলছেন, বিকল্প ধারা হিসেবে যাত্রা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ার। তবে এটি বিকল্প মাধ্যম বা গণমাধ্যমের সমান্তরাল কিংবা এর চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠছে-সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে এর কাঠামো বিকল্প ধারার।

তার মতে, সোশ্যাল মিডিয়া ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। জনগণের ওপর এর প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা আছে। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ার বৈপ্লবিক উত্থানে বাংলাদেশের মূলধারার গণমাধ্যম সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না মি. রেজা।

তিনি বলেন, এ মাধ্যমের সঙ্গে প্রযুক্তি জড়িত। এর মাধ্যমে বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছাতে প্ল্যাটফর্ম বা ফরম্যাট পাল্টাতে হয়। কিন্তু সংবাদ পাল্টায় না। ফলে সংবাদপত্র, রেডিও, টিভির কোনো ক্ষতি হবে না।

শামীম রেজা, সংবাদ পরিবেশনে নিত্যনতুন স্টাইল যোগ হচ্ছে। বাংলাদেশে ভালো সাংবাদিকতার চাহিদা রয়েছে।েএদেশের সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতি-সংস্কৃতিতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ দরকার। পুরনো গণমাধ্যমগুলোও এ সুযোগ গ্রহণ করছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। অনলাইনভিত্তিক মাধ্যম হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যত সেদিকে অগ্রসর হচ্ছে। ওই দিকে চাহিদা বাড়ছে। ব্যবহারকারীরা ক্রমশ সামাজিক মাধ্যমের দিকে ঝুঁকছে। ওই মাধ্যমেই তারা খবর পড়তে চাইছে। মূলধারার সংবাদমাধ্যম হুমকির মুখে পড়বে না। কারণ, রেডিও, টিভি, সংবাদপত্রের খবর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চাচ্ছে তারা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারিং বা বিনিময়ের যে বিষয় রয়েছে সেটা অন্য মাধ্যমে সম্ভব নয় বলে মনে করেন মিস্টার শামীম। তিনি বলেন, এর একটা শিথিল সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। এক কথায়, এই মাধ্যম অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক। অ্যাক্টিভিজমের জন্য অনেক বেশি সহজ। ওই অর্থে অনেক বেশি গণতান্ত্রিক।

সাংবাদিকতা বিষয়ের ওই শিক্ষক বলেন, একটি রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান থেকে শুরু করে একজন সাধারণ মানুষও সোশ্যাল মিডিয়ায় মতামত বিনিময় করতে পারছেন। মানুষ নিজের মত জানাতে পারছে। এটি ব্যবহারকারী বা জনগণের জন্য তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।

সবশেষে তিনি বলেন, যে মাধ্যমে গণতান্ত্রিকতা রয়েছে সেটার ভবিষ্যত বেশি ভালো।  মানুষ উন্মুক্ত আলোচনা করতে চায়, কথা বলতে চায়, মত প্রকাশ করতে চায়। সবার মধ্যে নিজেকে একজন মনে করতে চায়। একপক্ষীয় কিছু ভালো লাগে না।

মিডিয়া বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর