ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৯৪

হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মিশন বাংলাদেশের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৪২ ২৬ জানুয়ারি ২০২০  

পাকিস্তানের কাছে প্রথম দুই ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় ইতোমধ্যে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে বসেছে বাংলাদেশ। তবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মিশন নিয়ে সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন টাইগাররা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এদিন বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় শুরু হবে দুই দলের লড়াই।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৫ ও ৯ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪১ রান করেও বোলারদের নৈপুন্যে লড়াই করেছিল টাইগাররা। শেষ ওভারে গিয়ে ম্যাচ জিততে হয়েছে পাকিস্তানকে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেননি তারা। 
দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৬ উইকেটে মাত্র ১৩৬ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। সেটি টপকাতে বেশি ঝামেলায় পড়তে হয়নি পাকিস্তানকে। অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের হাফসেঞ্চুরিতে ২০ বল বাকি রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। বাবর ৪৪ বলে ৬৬ ও হাফিজ ৪৯ বলে ৬৭ রান করেন।
সদ্যই ‘বঙ্গবন্ধু’ বিপিএলে ব্যাট-বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম করেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। ব্যাটসম্যানরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেননি। বড় জুটি বা বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন তারা। বোলাররাও ব্যর্থ ছিলেন উইকেট শিকারে।
দুটি ম্যাচেই একই উইকেটে খেলেছিল বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের উইকেট নিয়ে সমালোচনা হয়েছে ব্যাপক। দেশটির সাবেক খেলোয়াড়রাও সমালোচনা করতে ভুল করেননি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য সাধারণত পাওয়ার প্লে কিংবা ডেথ ওভারে বড় স্কোর গড়া প্রয়োজন। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে বা ডেথ ওভারে রান তুলতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তাতে বড় সংগ্রহও পায়নি টাইগাররা।
প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৫ রান তুলতে পারেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান পায় টাইগাররা।
তামিম-নাইম পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে না পারায় বড় সংগ্রহের ভিত পায়নি তারা। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের পক্ষে তামিমই বড় স্কোর করেন। দুই ম্যাচে তার রান যথাক্রমে ৩৯ ও ৬৫ । তবে বেশ ধীরলয়ে রান তুলেছেন তিনি। যা নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছে। দুই ইনিংসেই রান আউট হয়েছেন ড্যামিং ওপেনার।
যাহোক, বাংলাদেশের পক্ষে দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে একমাত্র তামিমই ধারাবাহিক ছিলেন। অন্য ব্যাটসম্যানরা বিপিএলের ফর্ম এখানে দেখাতে পারেননি। তবে প্রথম দু’ম্যাচের স্মৃতি ভুলে জয় দিয়ে পাকিস্তানের প্রথম পর্ব শেষ করতে মরিয়া বাংলাদেশল। রোববার লাহোরে বাংলাদেশের পেসার শফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এখন আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করা এবং ভালো কিছু নিয়ে সফর শেষ করার সময় এসেছে। পাকিস্তান আমাদের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমরা মাঠে কিছু ভুল করেছি। প্রথম ম্যাচে আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে বাবর ও হাফিজ ভালো ক্রিকেট খেলে আমাদের লড়াই থেকে ছিটকে দেয়। আশা করছি, কাল আমরা ভালো ক্রিকেট খেলব এবং জিততে পারবো।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন অবধি ১২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এর মধ্যে পাকিস্তানের জয় ১০টি। বাংলাদেশের জয় ২টি। তাই কাল জিতে পাক ব্রিগেডের সঙ্গে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর সুযোগ থাকছে সফরকারীদের সামনে। সুযোগ থাকছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোরও। অন্যদিকে ধবলধোলাইয়ের সুযোগ পাচ্ছে স্বাগতিকরা।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর