ঢাকা, ০৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ২২ কার্তিক ১৪৩২
good-food

অ্যাপল–স্যামসাং নয়, সেরা ক্যামেরা কোন ফোনগুলোর

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৯:৫৫ ৬ নভেম্বর ২০২৫  

সেরা ক্যামেরা ফোন বলতেই কোন নামটা আপনার মাথায় আসে? অ্যাপল? নাকি স্যামসাং? ধরা যায়, এই দুটো নামের বাইরে আপনি খুব বেশি কিছু ভাবছেন না। ঠিক তো? কিন্তু যদি বলি, এই ধারণাটা এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে? যদি বলি, প্রচারের আড়ালে এমন সব ফোন লুকিয়ে আছে, যাদের ক্যামেরার ক্ষমতা আপনাকে রীতিমতো চমকে দিতে পারে। বিশ্বাস করুন—স্মার্টফোনের দুনিয়ায় এমন অনেক আন্ডারডগ ব্র্যান্ড রয়েছে, যারা নীরবে ক্যামেরার লড়াইয়ে এই দুই হেভিওয়েটকে টেক্কা দিচ্ছে।

 

চলুন, আজ সেসব ফোনগুলোর কথাই জেনে নেওয়া যাক, যাদের নাম হয়তো আপনার কেনাকাটার তালিকার শীর্ষে নেই, কিন্তু থাকা উচিত। প্রচলিত ধারণার চশমা খুলে আজ সত্যিকারের সেরা ক্যামেরা ফোনগুলোর সঙ্গে পরিচয় করা যাক।

 

ক্যামেরাই যখন প্রধান প্রাধান্য

অনেকের কাছেই হয়তো অবাক করার মতো তথ্য যে, জাপানি টেক জায়ান্ট সনি এখনও স্মার্টফোন তৈরি করে। স্মার্টফোনের বাজারে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেতে তারা এক ভিন্ন পথে হাঁটছে। ফোনের অন্যান্য ফিচার নিয়ে প্রতিযোগিতায় না গিয়ে সনি তাদের সব মনোযোগ দিয়েছে ক্যামেরার ওপর। তাদের লক্ষ্য একটাই — স্মার্টফোনের ক্যামেরাকে ডিএসএলআরের সমকক্ষ করে তোলা। যারা আপসহীন ফটোগ্রাফি ভালোবাসেন, তাদের জন্য সনির ফোনগুলো এককথায় অসাধারণ বিকল্প।

 

নতুন প্রযুক্তির ফোন

অত্যাধুনিক ক্যামেরা প্রযুক্তির কথা উঠলেই হুয়াওয়ের নাম না নেওয়াটা অন্যায়। প্রতি বছরই তারা এমন সব ক্যামেরা ফোন বাজারে আনে, যা প্রযুক্তিগত দিক থেকে অ্যাপল বা স্যামসাংকে সহজেই পেছনে ফেলে দেয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে চীনের বাইরে তাদের ফোনের বিক্রি খুব বেশি নয়, কিন্তু শুধু ক্যামেরার পারফরম্যান্স বিচার করলে হুয়াওয়ে নিঃসন্দেহে সেরাদের একটি।

 

সাশ্রয়ী দামে ভালো ক্যামেরা

গত কয়েক বছরে ক্যামেরার জগতে যে দুটি সংস্থা সবচেয়ে বেশি চমক দেখিয়েছে, তারা হলো অপো ও ভিভো।

 

অপো ফাইন্ড এক্স সিরিজ: এই সিরিজের ফোনগুলোর ক্যামেরার গুণগত মান নিয়ে কোনো প্রশ্নই ওঠে না। ব্যবহারকারীদের অনেকে দাবি করেন, ছবির ডিটেলিং, কালার এবং লো-লাইট পারফরম্যান্সে এটি অ্যাপল ও স্যামসাং-এর ফ্ল্যাগশিপ ফোনকে সরাসরি টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

 

ভিভো এক্স সিরিজ: সেরা ক্যামেরা ফোন তৈরির দৌড়ে ভিভো এখন এক প্রতিষ্ঠিত নাম। বিশেষ করে পোর্ট্রেট মোডে ছবি তোলার জন্য ভিভোর এক্স সিরিজ বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে। এর ক্যামেরায় তোলা ছবিতে ডিএসএলআরের মতো বোকেহ ইফেক্ট (ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার) পাওয়া যায়, যা সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে ফোনটিকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

 

তাহলে কেন অ্যাপল–স্যামসাংয়ের এত কদর?

এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, এত ভালো বিকল্প থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ গ্রাহক কেন অ্যাপল বা স্যামসাং-এর দিকেই ঝোঁকেন? বিশ্লেষকদের মতে, এর প্রধান কারণ হলো এই দুটি সংস্থার অভিনব ও শক্তিশালী বিপণন কৌশল। বছরের পর বছর ধরে তৈরি হওয়া ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং গ্রাহকদের আস্থা তাদের প্রতিযোগিতায় কয়েক ধাপ এগিয়ে রাখে। প্রচারের আলোয় হয়তো অন্য সংস্থাগুলো কিছুটা পিছিয়ে থাকে, কিন্তু প্রযুক্তির লড়াইয়ে তারা চোখে চোখ রেখে কথা বলছে।