দু`পক্ষের উত্তেজনা, জানুয়ারিতে হচ্ছে না বিশ্ব ইজতেমা
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২৩:১০ ৭ জানুয়ারি ২০১৯

তাবলীগের দু-পক্ষের বিপরীতমুখী দৃঢ় অবস্থান ও উত্তেজনার কারণে জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা হচ্ছে না।
তবে ফেব্রুয়ারিতে সুবিধাজনক সময়ে তা অনুষ্ঠিত হবে।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক)-এর মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস এটি নিশ্চিত করেছেন।
৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলীগের দু-পক্ষের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
সুষ্ঠুভাবে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের লক্ষ্যে তাবলীগ মুরব্বীদের বৈঠক হলেও একসঙ্গে উভয়পক্ষকে বসানো সম্ভব হয়নি। হেফাজতপন্থী মাওলানা জুবায়ের ও তার সমর্থকরা মাওলানা সা’দের অনুসারীদের সঙ্গে বসতে আপত্তি জানান। তাই আলাদাভাবে বৈঠক করতে হয়।
তাবলিগ জামাত সূত্র জানায়, মাওলানা সা’দ বিষয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের মতামত জানতে আগামী ১৫ জানুয়ারি উভয়পক্ষের মুরব্বী ও আলেমদের একটি প্রতিনিধিদল ভারত যাবে। দেওবন্দ থেকে ওই প্রতিনিধি দল আসার পর ফেব্রুয়ারির সুবিধামতো সময়ে ইজতেমার তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস বলেন, জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা হচ্ছে না। তবে বিশ্ব ইজতেমা এ বছর হবেই।
বৈঠকে চারটি সিদ্ধান্ত হয়েছে - জানুয়ারিতে কোনো পক্ষের কোন ইজতেমা হবে না। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল দেওবন্দ গিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আসার পর ইজতেমার তারিখ নির্ধারিত হবে। কোনো মসজিদে তাবলীগের কাজে কোন বাধা কেউ দিতে পারবে না। নতুন ইজতেমার তারিখ পর্যন্ত উভয় পক্ষ কোন জোড়, ইজতেমা, সমাবেশ, পরামর্শ সভা, অথবা ওয়াজাহাতি জোড় করতে পারবে না।
২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমার পর তাবলিগ জামাতের দু-পক্ষ আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করে।
নিজামুদ্দীন মার্কাজপন্থী মাওলানা সাদের অনূসারীরা ১১, ১২, ও ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর বিরোধিতা করে জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে হেফাজতপন্থী মাওলানা জুবায়ের অনূসারীরা।
এ নিয়ে সারা বছরই উত্তেজনা থাকে। গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
তাবলিগের নিজামুদ্দীনপন্থী শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের পর ইজতেমার মত বড় আয়োজন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হিমশিম খেয়ে যাবে, তাই সরকারের পক্ষ থেকে ইজতেমা পেছানোর অনুরোধ করা হয়েছে। দেওবন্দ থেকে প্রতিনিধি দল আসার পর ফেব্রুয়ারিতে সুবিধামত সময়ে ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
ইজতেমা কি একসঙ্গে না আলাদা হবে - এ প্রসঙ্গে সা’দপন্থী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম বলেন, ‘যদি সম্ভব হয় তাহলে একসঙ্গেই করার চেষ্টা করছে সরকার, না হলে তো আলাদাই করতে হবে। কিন্তু তারা তো আমাদের সঙ্গে বসতেই আগ্রহী নয়।’
তাবলিগ জামায়াতের বিশ্ব আমির দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও নিজামুদ্দীন মারকাজের বিরোধিতা করছেন পাকিস্তানের তাবলিগি নেতারা। তাই তাবলিগের মূল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজামুদ্দীন মারকাজের সমান ক্ষমতা দাবি করে আলমি শুরা গঠন করে রাইভেন্ড মার্কাজ।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অংশদারিত্বের বিবাদে দিল্লি-লাহোর জড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে তাবলিগ জামায়াতের প্রধানকেন্দ্র কাকরাইল মসজিদেও ছড়িয়ে পড়ে এ বিভক্তি।
১১ জন শুরা সদস্যের মাঝে ছয়জন নিজামুদ্দীনের পক্ষে থাকলেও বাকি পাঁচজন শুরার পক্ষে অবস্থান নেন।
এ অংশের বিরোধিতায় বিগত বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ ও নিজামুদ্দীনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ এসেও ইজতেমায় অংশ নিতে পারেননি।
রাজধানীতে আবারও তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
সোমবার মোহাম্মদপুর থানার সাত মসজিদ এলাকায় এ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার রাত মোহাম্মদপুর থানার এসআই নয়ন মিয়া জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে তাবলিগের নিজামুদ্দীন অনূসারী মিজানুর রহমান জামিয়া রাহমানীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সাত মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে তার সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে মাদ্রাসা ছাত্ররা। পরে শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হন সা’দপন্থী মিজানুর রহমান। তিনি সাত মসজিদের নিজামুদ্দীনের জিম্মাদার (নেতা)। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাবলিগি সাথীরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান।
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০ দল চূড়ান্ত, জায়গা পেল যারা
- মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জেসিয়া ইসলাম
- জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ
- ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের চেয়ে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বেশি কেন?
- টাইফয়েড টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য
- ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমা বন্ধ করার ৭ উপায়
- রাকসু: রিজভী-টুকুসহ যারা ভিপি ছিলেন
- হানিফসহ ৪ জনকে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
- সাকিবের ঝোড়ো ইনিংসের পরও স্বপ্নভঙ্গ হলো মন্ট্রিয়েলের
- নিরাপত্তাহীনতায় সালমানের প্রেমিকা
- আপনার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা? জানুন সহজ উপায়ে
- আসছে শীত, এসির যত্ন না নিলে বিপদ
- ফেরেশতাদের মধ্যে কি নারী-পুরুষ আছে ?
- সেনানিবাসের একটি ভবনকে ‘কারাগার’ ঘোষণা
- এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা
- বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে বিসিবির শঙ্কা
- নতুন ইতিহাস গড়লেন আলিয়া
- এবার টিভিতেও আসছে ইনস্টাগ্রাম
- অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিনজন
- ‘কলিজা ছিঁড়ে ফেলার’ হুমকি নিয়ে মুখ খুললেন সারজিস
- ১০ হাজার ডলার ছাড়াবে সোনার দাম!
- পাকিস্তান সীমান্তে ট্যাংক মোতায়েন তালেবানের, বাড়ছে সংঘাতের তীব্রত
- আটক বললে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে আনতে হবে: চিফ প্রসিকিউটর
- বয়স অনুযায়ী কতটুকু ভাত খাওয়া উচিত?
- বিশ্বকাপ টিকিট পেতে বাংলাদেশকে মেলাতে হবে কঠিন অঙ্ক
- সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ প্রিন্স মাহমুদের
- আবু ত্বহার ‘শোধরানোর’ আশা না থাকায় ফেসবুকে আক্ষেপ স্ত্রীর
- ইসরায়েলি সেনারা আমাদের কপালে লেজার তাক করেছিল: শহিদুল আলম
- জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান পিছিয়ে গেল
- গুমে অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে
- চুল কেন পাকে? এর প্রতিকার কী?
- ১০ হাজার ডলার ছাড়াবে সোনার দাম!
- দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম
- আবু ত্বহার ‘শোধরানোর’ আশা না থাকায় ফেসবুকে আক্ষেপ স্ত্রীর
- বয়স অনুযায়ী কতটুকু ভাত খাওয়া উচিত?
- ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
- এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা
- শেখ মুজিবের ছবি প্রদর্শন অনুচ্ছেদ বিলুপ্তি চায় ঐকমত্য কমিশন
- গুমে অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে
- এবার টিভিতেও আসছে ইনস্টাগ্রাম
- সেনানিবাসের একটি ভবনকে ‘কারাগার’ ঘোষণা
- হানিফসহ ৪ জনকে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
- কেন নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন না ট্রাম্প?
- মমতার রাজনীতির স্মৃতিতে অমিতাভ
- সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ প্রিন্স মাহমুদের
- আপনার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা? জানুন সহজ উপায়ে
- ঐশ্বরিয়ার ব্রেকআপ: দেবদাস থেকে আউট সালমান, ইন শাহরুখ
- নতুন ইতিহাস গড়লেন আলিয়া
- ফেরেশতাদের মধ্যে কি নারী-পুরুষ আছে ?
- জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান পিছিয়ে গেল