বাড়ছে করোনার দাপট, চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, ভোগাচ্ছে চিকুনগুনিয়াও
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২১:৫৯ ১৭ জুন ২০২৫
ডেঙ্গু, করোনা আর চিকুনগুনিয়া এই তিন রোগ নিয়ে দেশে বাড়ছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক। ইতোমধ্যে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ডেঙ্গু। শুধু ঢাকাতে নয়, সারা দেশেই ব্যাপকহারে বাড়ছে এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ছাড়িয়েছে দেশের ৫৮টি জেলায়। একই সঙ্গে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ায় এ রোগ নিয়েও আতঙ্ক বাড়ছে। অন্যদিকে মশাবাহিত আরেক রোগ চিকুনগুনিয়ায়ও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ-উপসর্গ অনেকটা ডেঙ্গুর মতো হওয়ায় আক্রান্ত হলেও রোগীরা বুঝতে পারছেন না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৬৬ জন। প্রাণহানি হয়েছে ৩০ জনের। দেশের বরিশালের বরগুনা হয়ে উঠেছে ডেঙ্গুর রেড জোন। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা রোধে তাই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে হাসপাতালগুলো। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট আক্রান্তের প্রায় ৪৬ শতাংশই বরিশাল বিভাগের। তবে মৃত্যু বেশি ঢাকা বিভাগে।
তথ্য বলছে, বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কম হলেও আক্রান্ত দ্বিগুণের বেশি। তাই এবারের পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে নাজুক হতে পারে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে মশার সংখ্যা বেড়ে যায়। বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করার শঙ্কা রয়েছে। এ বছর থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে ভ্যাপসা গরম ডেঙ্গু বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। চলতি বছর ডেঙ্গু রোগের বাহকের কীটতাত্ত্বিক জরিপের ফল প্রকাশ করবে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। বুধবার (১৮ জুন) বেলা ৩ টায় প্রতিষ্ঠানের অডিটরিয়ামে এই জরিপের ফল প্রকাশ হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ও অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, এখনও ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হয়নি। সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু আরো বাড়বে। আগামী এবং তার পরের মাসে আরো বাড়বে। বেশি ডেঙ্গু রোগী ম্যানেজমেন্ট করার জন্য হাসপাতালগুলোর প্রস্তুত থাকা দরকার। আমি আরও কয়েকটি জেলার কথা বলতে পারি, এই জেলাগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তার মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার।
অধিদপ্তরের ১৬ জুনের তথ্য অনুযায়ী, ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা ২৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ। একজনের মৃত্যু হয়। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা নিয়ে সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে। দেশে ২০২০ সালে দেশব্যাপী ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১১ জুন সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনা পরিস্থিতি সামলাতে টিকা ও হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর। তিনি বলেন, মাঝখানে দুই বছর করোনা না থাকাতে আমাদের কার্যক্রম কিছুটা স্তিমিত ছিল। এখন পুরোদমে চালু হচ্ছে। ১৭ লাখ করোনা টিকা বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়েছে আগেই। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে খুব শীঘ্রই করোনা শনাক্তকরণ কিট পৌঁছানো হবে।
জনস্বাস্থ্য ও মহামারী বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন মনে করেন, দেশে প্রতিবছরই ডেঙ্গু সংক্রমণ হওয়ায় এ বিষয়টি সম্পর্কে জনগণ ও চিকিৎসকরা জানেন। আর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছু বাড়লেও এটা মারাত্মক হবে না বলে মনে করেন তিনি। তবে আগের ধারাতেই সব হলে ডেঙ্গু সামলানো সম্ভব হবে না বলেও মনে করেন আইইডিসিআরের সাবেক এই প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করে। তবে চিকুনগুনিয়া নিয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। ফলে এই রোগে আক্রান্তের সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস অ্যালবোপিক্টাস মশা চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসটি টোগা ভাইরাস গোত্রের। মশাবাহিত হওয়ার কারণে একে আরবো ভাইরাসও বলে। দেশে ২০১৭ সালে ঢাকাসহ কয়েকটি জায়গায় চিকুনগুনিয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তখন রিপোর্টিং সিস্টেম না থাকায় কত লোক আক্রান্ত হয়েছিল তার সঠিক কোনো তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নেই। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সে সময় অন্তত এক লাখ মানুষের চিকুনগুনিয়া হয়েছিল।
চিকিৎসকরা বলছেন, এবার করোনা, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়াসহ বিভিন্ন ভাইরাসজনিত জ্বর চলমান আছে। তাই বয়স্ক মানুষ, দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষ, শিশু, গর্ভবতী নারী এবং নানা কারণে যাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ শক্তি কম তারাই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই এ সময়ে কারও জ্বর হলে কোনোভাবেই সেটিকে অবহেলা করা যাবে না। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এই তিন রোগের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ একই রকম মনে হলেও ডেঙ্গুর সঙ্গে করোনা ও চিকুনগুনিয়ার লক্ষণের ৫টি পার্থক্যের কথা উল্লেখ করেন চিকিৎসকরা। এগুলো হলো- জ্বর: সাধারণত জ্বরের মধ্য দিয়েই ডেঙ্গু রোগীর প্রথম লক্ষণ প্রকাশ পায়। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সাধারণত ৪ থেকে ৫ দিন জ্বর থাকে। জ্বরের মাত্রা থাকে ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। আর করোনার ক্ষেত্রে সাধারণত ২ থেকে ৭ দিন অল্প মাত্রার (১০০ থেকে ১০১ ডিগ্রি ফা.) জ্বর থাকে। চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রে অল্প থেকে বেশি মাত্রার জ্বর থাকতে পারে ২ থেকে ৪ দিন।
ব্যথা: ডেঙ্গুর আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণত মাথায়, চোখের পেছনে, মাংশপেশী, শিরদাঁড়ায় তীব্র ব্যথা হয়। করোনার ক্ষেত্রে মাথা ও মাংশপেশীতে অল্প থেকে মাঝারী আর চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে তীব্র ব্যথা হয়।
র্যাশ ও রক্তক্ষরণ: ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরণের র্যাশ উঠতে পারে। পাশাপাশি কোনও কোনও রোগীর ক্ষেত্রে হতে পারে রক্তক্ষরণ। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে অসুস্থতার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে র্যাশ উঠতে শুরু হয়। আর ৭ দিনের মধ্যে কমে যায়। করোনার ক্ষেত্রে এই লক্ষণ থাকে না।
বমি ও পাতলা পায়খানা: এই লক্ষণ ডেঙ্গু আক্রান্তের ক্ষেত্রে অন্যতম। করোনা আক্রান্ত রোগীরও বমি বা পাতলা পায়খানা হতে পারে। তবে চিকুনগুনিয়ায় সাধারণত এ লক্ষণ দেখা যায় না।
রক্তচাপ কমে যাওয়া: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত প্রায় ৫০ ভাগ রোগীর রক্তচাপ কমে যায় এবং অল্প সংখ্যক রোগীর কিডনি, ব্রেইন, হার্ট বিকল হয়ে যেতে পারে। করোনায় আক্রান্ত রোগীর সাধারণত রক্তচাপ কমে না। কিন্তু ফুসফুস বিকল হয়ে যেতে পারে। তবে চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রে রক্তচাপ কমে না, অর্গান বিকল হয় না।
- ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে শাহরুখের কলকাতায় মোস্তাফিজ
- ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
- শীতে অতিরিক্ত চা–কফি যে কারণে খাবেন না
- মেসি বিতর্কে শুভশ্রীর পাশে রাজ, থানায় অভিযোগ
- মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সিনেমা ‘ওরা ১১ জন`, নেপথ্য কারিগর কে?
- ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে-বাইরে কী ঘটেছিল
- বাজার থেকে নিম্নমানের কিটক্যাট চকলেট সরানোর আদেশ
- হাদিকে হত্যাচেষ্টা: আদালতে যা বললেন ফয়সালের স্ত্রী-শ্যালক-বান্ধবী
- পেছানোর শঙ্কায় পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর
- শীতকালের গোসলে যে ৫ ভুল করতে নেই
- আনিস আলমগীর, শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
- সেভেন সিস্টার্সকে বিচ্ছিন্ন করে দেব: হাসনাত
- আড়ংয়ে চাকরি, পাবেন একগাদা সুবিধা
- বাজারে এলো শিশুদের স্মার্ট ইলেকট্রিক বাইক
- কোনো আশঙ্কা নেই, সময়মতোই ভোট: ইসি সানাউল্লাহ
- শিমের ৬ গুণ
- ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান
- পাকিস্তানে ‘ধুরন্ধর’ নিষিদ্ধ হচ্ছে কেন?
- সাইনোসাইটিস ও পলিপ কি একই সমস্যা?
- শুভশ্রী ‘শেষ সুযোগে’ কী প্রমাণ দিতে চাইলেন?
- দাপুটে জয়ে শুরু ভারত-পাকিস্তানের, বৈভবের ছক্কার রেকর্ড
- নির্বাচন: প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারিত হবে যেভাবে
- ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন আসিফ
- ওসমান হাদীকে গুলি, হামলাকারীদের ধরতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
- গভীর গর্তে পড়া সেই শিশু জীবিত উদ্ধার
- শূন্য হওয়া তিন মন্ত্রণালয় কে পেলেন কোনটা
- জোটসঙ্গী হলেও নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে
- শুক্রবার ভারতে আসছেন মেসি, যা থাকছে আয়োজনে
- ব্লাউজের সঙ্গে জিন্স, জয়া লিখলেন ‘ডোন্ট বি এন অ্যাপল’
- ভাপা পিঠা কখন খাওয়া ভালো?
- ভাপা পিঠা কখন খাওয়া ভালো?
- সাইনোসাইটিস ও পলিপ কি একই সমস্যা?
- মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
- ৮ ঘণ্টা ঘুম কতটা দরকারি?
- শূন্য হওয়া তিন মন্ত্রণালয় কে পেলেন কোনটা
- ২০২৫: আলোচিত ৮ সিনেমা
- ছাড়ে আইফোন কেনার আগে যে ৮ বিষয় দেখা দরকার
- আড়ংয়ে চাকরি, পাবেন একগাদা সুবিধা
- গভীর গর্তে পড়া সেই শিশু জীবিত উদ্ধার
- ব্লাউজের সঙ্গে জিন্স, জয়া লিখলেন ‘ডোন্ট বি এন অ্যাপল’
- ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইলের শাড়ি বুননশিল্প
- আবু সাঈদ হত্যা: ‘নতুন সেইফ হাউজের’ তথ্য দিলেন হাসনাত
- শুক্রবার ভারতে আসছেন মেসি, যা থাকছে আয়োজনে
- ওসমান হাদীকে গুলি, হামলাকারীদের ধরতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
- শিমের ৬ গুণ
- শীতকালের গোসলে যে ৫ ভুল করতে নেই
- এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি: মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
- নির্বাচনের প্রস্তুতিতে রাষ্ট্রপতির সন্তোষ, সহযোগিতার আশ্বাস
- দাপুটে জয়ে শুরু ভারত-পাকিস্তানের, বৈভবের ছক্কার রেকর্ড
- আবারো এমভিপি এ্যাওয়ার্ড জিতলেন মেসি



