ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর রোববার, ২০২৪ || ৩০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২২৪

সমন্বয়ক থেকে উপদেষ্টা, কে ইউ নাহিদ ইসলাম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৩:০৭ ৯ আগস্ট ২০২৪  

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হয়েছেন তিনি। এরপর তাকে নিয়ে বিস্তারিত জানতে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। সেই চাহিদা নিবৃত্ত করার চেষ্টা করা হলো-

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মো. নাহিদ ইসলাম। মাত্র ২৬ বছর বয়সে জাতির ‘কাণ্ডারি’ হয়ে স্বৈরাচারের কবল থেকে ১৬ কোটি জনগণকে মুক্ত করেছেন তিনি। ‘মুক্তিদাতা’ হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের মানুষের কাছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন নাহিদ ইসলাম? মিষ্টভাষী ও মিশুক প্রকৃতির তরুণ তিনি। বক্তব্য দানে বেশ পটিয়সী। কর্মসূচির নাম নির্ধারণে বেশ বৈচিত্র্য দেখিয়েছেন। আন্দোলনে সুশৃঙ্খলভাবে সমন্বয় করে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন নাহিদ। 

 

তার ডাকনাম ‘ফাহিম’। সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। বাবা শিক্ষক, মা ঘর সামলে সন্তানদের মানুষ করেন। ছোট এক ভাই রয়েছে তার। নাহিদ বিবাহিত। মাসখানেক আগেও দেশের হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ জানতেন নাহিদের নাম। সেই তিনিই এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। গত মাসে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। তখন প্রাথমিকভাবে তিনি ততটা পরিচিত মুখ ছিলেন না। 

 

জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে ‘অপহরণ’ করার পর নাহিদের নাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে। কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে তাকে দু’বার আটক করা হয়। প্রথমবার, ১৯ জুলাই সাদা পোশাকধারী বেশ কয়েকজন লোক তার এক বন্ধুর বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। চোখে কাপড় বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে তার ওপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। 

 

দু’দিন পর পূর্বাচলে একটি ব্রিজের তলায় নিজেকে আবিষ্কার করেন নাহিদ। এরপর নিজেই কোনোরকমে একটি রিক্সায় উঠে বাড়িতে ফেরেন। দ্বিতীয়বার, ২৬ জুলাই ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে  তাকে অপহরণ করা হয়। পরে সাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবিপ্রধান জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। 

 

আন্দোলনকারী ছাড়াও নাহিদ ইসলামের রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়। তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় নেতা। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে বেরিয়ে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি।