ঢাকা, ০৩ ডিসেম্বর বুধবার, ২০২৫ || ১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২
good-food
১৩

সেনা কর্মকর্তাদের ভার্চ্যুয়ালি হাজিরার আবেদন খারিজ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:১৯ ৩ ডিসেম্বর ২০২৫  

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১০ সেনা কর্মকর্তার ভার্চুয়ালি হাজিরার আবেদন খারিজ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।


বুধবার বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন শফিউল আলম মাহমুদ ও মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।


টিএফআই সেলে নির্যাতনের এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১৭ জন আসামি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ সেনা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন।


গ্রেপ্তার সেনা কর্মকর্তা হলেন— ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম এবং কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন ও মো. সারওয়ার বিন কাশেম।

সকালে এই মামলার আসামি ১০ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। দুপুরে তাদের আইনজীবী ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদনের করেলে তা নাকচ করে ট্রাইব্যুনাল।


ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ এ মামলার সাত আসামি পলাতক রয়েছেন।


এছাড়া পলাতক আসামিদের মধ্যে–সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক র‌্যাবের ডিজি এম খুরশিদ হোসেন ও ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, র‌্যাবের সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. খায়রুল ইসলাম রয়েছেন।


আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের আলাদা দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহা-পরিচালসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গত ১১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ১৫ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানায় সেনাবাহিনী। দুইটি মামলার ৩০ জন আসামির মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে নয় জন অবসরপ্রাপ্ত, একজন এলপিআরে গেছেন এবং বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ১৫ জন।