ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর সোমবার, ২০২৫ || ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২
good-food

এবার অ্যান্ড্রয়েড থেকেই সরাসরি তথ্য যাবে অ্যাপলে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৩২ ১ ডিসেম্বর ২০২৫  

প্রযুক্তি জগতে গুগল আর অ্যাপল যেন দুই ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। বছরের পর বছর ধরে তাদের তৈরি করা অদৃশ্য দেয়ালের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ ব্যবহারকারীদের। কিন্তু এবার সেই বরফ গলতে শুরু করেছে। গুগল এমন এক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যকার ব্যবধান ঘুচিয়ে দেবে এক নিমিষে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করল গুগল।


দীর্ঘদিন ধরেই গুগলের মুঠোফোন ব্যবস্থা এবং অ্যাপলের মুঠোফোন ব্যবস্থা ব্যবহারকারীদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান ছিল এক বিরাট ঝামেলার বিষয়। অ্যাপলের নিজস্ব দ্রুত তথ্য পাঠানোর সুবিধাটি কেবল তাদের যন্ত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, আর গুগলের ‘তাৎক্ষণিক আদান-প্রদান’ ব্যবস্থাও শুধু গুগলের পরিচালন ব্যবস্থার ফোনগুলোর জন্যই ছিল। ফলে দুই ভিন্ন ধরনের ফোনের মধ্যে ছবি, ভিডিও বা জরুরি নথি পাঠাতে ব্যবহারকারীদের নির্ভর করতে হতো অন্য কোনো মাধ্যম বা অনলাইন সংযোগের ওপর।


সেই সীমাবদ্ধতার অবসান ঘটিয়ে গুগল এবার এক যুগান্তকারী সমাধান নিয়ে এসেছে, যা অ্যাপলের কোনো রকম সহযোগিতা ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে।


একটি খ্যাতনামা প্রযুক্তি বিষয়ক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুগল তাদের ঘোষণায় জানিয়েছে যে, তাদের নিজস্ব পিক্সেল দশম প্রজন্মের ফোন থেকে এখন অ্যাপলের ফোনে ঠিক তাদের নিজস্ব ব্যবস্থার মতোই সহজে তথ্য পাঠানো যাবে। তবে এই সুবিধা পেতে অ্যাপলের ফোন ব্যবহারকারীকে তার  ডিভাইস ‘discoverable to everyone’ অবস্থায় রাখতে হবে। 


একইভাবে গুগলের ফোন ব্যবহারকারীও এই ব্যবস্থা চালু করে অ্যাপলের ফোন থেকে তথ্য গ্রহণ করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়ায় বাড়তি কোনো অ্যাপ্লিকেশন বা অনলাইনভিত্তিক সেবার প্রয়োজন পড়বে না।


তবে এই নতুন সুবিধাটি আপাতত শুধুমাত্র গুগলের পিক্সেল দশম প্রজন্মের ফোনগুলোতেই সীমাবদ্ধ। অন্যান্য সংস্থার তৈরি ফোন তো বটেই, এমনকি গুগলের পুরোনো সংস্করণের ফোনেও এটি এখনো চালু হয়নি। কবে নাগাদ এই সুবিধা অন্যান্য ফোনেও পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে গুগল এখনো কোনো তথ্য দেয়নি।


সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো, গুগল নিশ্চিত করেছে যে এই নতুন ব্যবস্থাটি তারা অ্যাপলের কোনো রকম সহায়তা ছাড়াই তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুঠোফোন ব্যবস্থার মধ্যে এই আন্তঃসংযোগ একটি নতুন যোগাযোগের সেতু তৈরি করবে।


তাদের মতে, এর ফলে শুধু ব্যবহারকারীদের সুবিধাই বহুগুণ বাড়বে না, বরং ভবিষ্যতে অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকেও এমন মুক্ত ও একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম ব্যবস্থা তৈরিতে উৎসাহিত করবে।