ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৯৪

করোনা চিকিৎসায় একধাপ এগুলো বাংলাদেশ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১০:১৯ ২৮ এপ্রিল ২০২০  

মেজর (ডা.) খোশরোজ সামাদ :

 

১. করোনা ভাইরাস যদি শরীরে প্রবেশ করে তখন সেটি শরীরের জন্য বহিঃবস্তু বা  Foreign body.  চিকিৎসা বিজ্ঞান এমন বহিঃবস্তুকে গালভরা নাম 'এন্টিজেন ' বলে ডাকে। এই এন্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করবার জন্য মানব শরীর সুনির্দিষ্ট ' এন্টিবডি ' তৈরী ' করে।

 

২.  COVID - ১৯ আক্রান্ত রোগী আরোগ্য সাধন লাভ করবার পর সেই রোগীর রক্তের বিশেষ জলীয় অংশ বা প্লাজমা এফেরেসিস যন্ত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। সেটি থেকে এই এন্টিবডি সংগ্রহ করা যায়।অন্তত ৬০ কেজি ব্যক্তির শরীর থেকে অন্তত ৬০০ মিলিলিটার প্লাজমা নেয়া যেতে পারে।

 

৩. কোভিভে আক্রান্ত বিশেষ অসুস্থ (Severe) রোগী যাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে তার রক্তে এন্টিবডি সমৃদ্ধ প্লাজমা প্রবেশ করালে রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করবার সম্ভাবনা রয়েছে। ৭-১৪ দিনের মধ্যে সেই রোগী নিজেই এন্টিবডি তৈরি করতে পারবে।

 

৪. এই প্রক্রিয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে ডোনারের রক্তে এইডস,সিফিলিস, হেপাটাইটিস বা ম্যালেরিয়ার জীবানু যে নেই সেটি নিশ্চিত হতে হবে। গ্রুপিং, ক্রসম্যাচিংসহ রক্তদানের সকল নীতিমালা পুরোপুরি মানতে হবে।

 

৫. বিগত ১৮ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ট্রান্সফিউসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মাজহারুল হকসহ পাঁচজনকে নিয়ে গঠিত এই বিষয়ে একটি কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। কোভিড রোগ থেকে সদ্য আরোগ্যপ্রাপ্ত জোয়ার্দার রাকিন, যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক, তিনিই এই প্লাজমা ব্যাংকের প্রথম ডোনার।

 

৬. এটিকে 'কনভালেসেন্ট এন্টিবডি থেরাপি' বলা হচ্ছে।এই প্রক্রিয়ায় আমেরিকা, ভারতসহ অনেক দেশেই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। বাংলাদেশ নামক দূর্ভাগা এই দেশে দ্রুত তৈরী হোক এই ব্যাংক। মৃত্যুর হিমশীতল স্রোতের কাছে প্রায় হেরে যাওয়া রোগী ফিরে পাক নতুন জীবনের সন্ধান।


' যাদের চোখের সামনে থাকে বাংলাদেশ,
তাঁদের সৃষ্টির প্রেরণা কখনও হয় না শেষ '।

 

# মেজর (ডা.) খোশরোজ সামাদ
ক্লাসিফাইড স্পেশালিষ্ট, ফার্মাকোলজি,  আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ