ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
২৮২

দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষকে পথ দেখাবে রোবট কুকুর

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:০৪ ৯ এপ্রিল ২০২১  

গাইড ডগ। দীর্ঘ প্রশিক্ষণ ও বিস্তর খরচের পর এই ধরনের কুকুর তৈরি করা হয়। নানা ধরনের কাজে এগুলোর ভূমিকা অপরিসীম। তবে এবার বিজ্ঞানের কৃপায় এক নতুন সমাধান সূত্র খুঁজেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা। গাইড কুকুরের বদলে চার পায়ের এক রোবট কুকুর তৈরি করেছেন তারা। 


তাদের বক্তব্য, নিশ্চিন্তে দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষজনকে পথ দেখাবে এই রোবট কুকুর। যা সময়ের পাশাপাশি পাহাড়প্রমাণ খরচ বাঁচাবে। শুধু মানুষজনকে পথ দেখানোই নয়, অন্যান্য কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই রোবোটিক ডগ।


বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত জংইউ লি ও তার সহকর্মীরা এই রোবোটটি ডিজাইন করেছেন। সম্প্রতি ডেইলি মেইলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। রোবটের এই বিশেষ ধরনের ডিজাইনের নাম দেওয়া হয়েছে মিনি চিতা। 


এক্ষেত্রে কোনও দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যক্তিকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে এবং আশপাশের এলাকা ভালো করে বোঝার জন্য রোবটের মধ্যে একটি লেজার-রেঞ্জিং সিস্টেম ও ট্র্যাকিং ক্যামেরা ইনস্টল করা রয়েছে।


গবেষকরা জানিয়েছেন, এই লেজার রেঞ্জিং সিস্টেমের সাহায্যে মেশিন ম্যাপ টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে সহজেই গন্তব্যের পথে এগিয়ে যেতে পারে রোবট। পথে নানা বাধা ও আশেপাশের গতিবিধিকে নিরীক্ষণ করতেও সেন্সর লাগানো রয়েছে রোবটের গায়ে। দেওয়া হয়েছে যথাযথ প্রশিক্ষণ। 


বলা বাহুল্য, রোবট কুকুরটি কতটা কার্যকরী তা দেখার জন্য একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনজন মানুষের চোখে কাপড় বেঁধে রোবট কুকুরগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরের দিকে সংকীর্ণ রাস্তা ও নানা ধরনের পারিপার্শ্বিক বাধার মধ্য দিয়েও সেগুলোর ট্রেনিং চলে। 


রোবোটিক কুকুরের পাশাপাশি একটি রোবোটিক হেল্পারও তৈরি করেছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, রোবোট গাইডের মাধ্যমে অনেক কম সময়ে, সহজে ও সস্তায় একাধিক সমস্যার সমাধান করা যাবে। সাধারণ কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিতে যে সময় ও খরচ লাগে, সেটাও কমানো যাবে।


লি-এর কথায়, এই ধরনের রোবট অত্যন্ত দক্ষ হয়। এদের নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। অদূর ভবিষ্যতে একাধিক কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে এই রোবট। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই রোবটের ভবিষ্যতে প্রয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু হয়েছে। 


আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের পাশাপাশি রোবটের মধ্যে কম্পিউটার ও স্মার্টফোন ক্যালেন্ডার ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে নিজে রিমাইন্ডার সেট করে কাজ শুরু করে দিতে পারে রোবটগুলো। 


অর্থাৎ জিপিএস নেভিগেশন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রোবটগুলো নিজে থেকেই মানুষজনকে তাদের গন্তব্য নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। যদি কারও কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট মনে না থাকে, তাহলে ক্যালেন্ডার রিমাইন্ডার কাজে লাগিয়ে ওই মানুষটিকে তার অ্যাপয়েন্টমেন্টের কথাও মনে করিয়ে দিতে পারবে রোবটগুলো।