ঢাকা, ০২ মে বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৮৬৮

নিয়মিত জ্বরঠোসায় ভোগেন? কারণ ও প্রতিকার দেখে নিন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:১৯ ৩ ডিসেম্বর ২০২০  

অনেকেই মনে করেন, ভেতরে ভেতরে জ্বর হলে জ্বরঠোসা হয়। ঠাণ্ডা লাগলেও এটি হয়। তবে চিকিৎসকরা এ কথা মানতে নারাজ। তাদের মতে, ঠোঁটের কোণায় একগুচ্ছ ফুসকুড়ি কিংবা কোনও কারণে ঘা হলে তাকে জ্বরঠোসা বলে। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় ফিভার ব্লিস্টার। 

 

ফুসকুড়ি ওঠার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ঘা হয়। তা হয়ে ব্যাথা হয়, অনেক সময় রসও গড়ায়। এ ব্লিস্টারে ব্যথা হলে তাকে বলা হয় কোল্ড সোর। শীতকালে জ্বরঠোসা একটু বেশিই দেখা যায়।


লক্ষণ
ঠোটের কোণে, সীমানায় বা এর আশেপাশে গুচ্ছবদ্ধ ফুসকুড়ি, জ্বর, ব্যথা, বমিভাব, বমি কিংবা মাথাব্যথা। সেই সঙ্গে খেতে অসুবিধা। ঠোঁটে জ্বালা করা। এটি বারবার শুকনো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

 

যে কারণে জ্বরঠোসা হয়

সাধারণভাবে ভাবা হয়, ভেতর ভেতর বহুদিন ধরে জ্বর হলে জ্বরঠোসা হয়। কিন্তু আসলে তা নয়। ফিভার ব্লিস্টারের কারণ হচ্ছে এইচএসভি-১ ইনফেকশন। যে কারণে জ্বর আসে! তবে হ্যাঁ, এর কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে, যদি সেই জ্বর অন্য কোনও ইনফেকশনের কারণে হয়। যেটি মূলত শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। আবার ভিটামিন সি ও ডি এর অভাবেও জ্বরঠোসা হয়।

 

যাদের অধিক হয়

যেকোনও মানুষেরই হতে পারে। প্রায় ৮০% মানুষই এইচএসভি-১ এ আক্রান্ত থাকেন। কিন্তু বেশিরভাগই সুপ্ত অবস্থায় থাকে। ১০ বছর বয়সে প্রথম প্রকাশ পায়। প্রথমবার হওয়া ফিভার ব্লিস্টার সেরে যাওয়ার পর এইচএসভি-১ স্নায়ুকোষে লুকিয়ে থাকে। বারবার এর প্রকাশ ঘটে। 

 

যেভাবে ঘরোয়া উপায়ে এ সমস্যা থেকে প্রতিকার পাবেন-

 

বরফ
যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থান নখ দিয়ে একদম খুঁটবন না। বরং বরফ দিয়ে প্রেস করুন। এটি দিয়ে চেপে ধরলে ব্যথা কমবে। অন্য কোনও সংক্রমণের সমস্যা থাকবে না। তবে বরফ সরাসরি নয়, কোনও টাওয়ালে চেপে লাগাতে হবে। ৫ মিনিট চেপে রাখুন। এভাবে ১৫ মিনিট ধরে করতে হবে। কোনও ব্যথাতেই তা সরাসরি লাগাবেন না।

 

লেমন এসেন্সিয়ল অয়েল
লেবু রয়েছে এমন এসেন্সিয়ল অয়েল তুলা দিয়ে ক্ষত স্থানে চেপে লাগাতে হবে। এরপর ওখানে অয়েন্টমেন্ট জাতীয় কিছু লাগান।

 

রসুন খান
এরকম সমস্যা বেশি হলে রসুন বেশি করে খান। প্রতিদিন গরম ভাতে তা ও কাঁচামরিচ ভেজে খান। খেতে পারেন রসুনের আচার। কাঁচা রসুনও খেতে পারেন। এছাড়া এর কোয়া বেটে নিয়ে ক্ষত স্থানে লাগালেও ভালো ফল পাবেন।

 

টি ট্রি অয়েল
মুখের যেকোনও সমস্যায় টি ট্রি অয়েল খুবই উপকারী। এটি মুখ, ত্বক ভালো রাখে। যেকোনও ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। গোসল করে বা মুখ ভালো করে ধুয়ে তুলায় করে টি ট্রি অয়েল লাগান। ১৫ দিনেই অনেক উপকার পাবেন।

 

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
ভিটামিনের অভাব হলে জ্বরঠোসা হয়। তাই প্রতিদিন পাতে রাখুন ভিটামিন সি। লেবু, আমলকির জুস যেকোনও একটা অবশ্যই খান। যদি প্রতিদিন অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেতে পারেন তাহলে খুব ভালো। এতে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। শরীরও ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে।