ঢাকা, ১৭ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ৪ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫১১

পুরনো ফোন ফেলবেন না, পুনর্ব্যবহার করুন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:০৯ ২২ অক্টোবর ২০২০  

প্রাকৃতিক পরিবেশ, বাস্তুসংস্থান ও জনস্বাস্থ্য-সবক্ষেত্রেই ঝুঁকি হয়ে উঠছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য (ই-ওয়েস্ট)। দিন দিন এ সমস্যা বাড়ছে। ৫ বছর আগের তুলনায় এখন মানুষ আরও ২১% বেশি ই-বর্জ্য তৈরি করছে। 

 

নিজের মুঠোফোনের কথাই ধরুন। বড়জোর ১ বছর চালাচ্ছেন। এরপর ফেলে দিচ্ছেন। কারণ, বাজারে আসা অত্যাধুনিক অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের বদৌলতে সেটা পুরনো হয়ে যাচ্ছে। অনেকে ১ বছরও চালান না। 

 

এতে অপচয় হয়। তাই সেটি পুনঃব্যবহার করা যায় কি-না ভাবুন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কবলে বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা চলছে। ফলে সময়টা এখনই। 

 

জেনে রাখুন, কয়েক বছরের পুরাতন মোবাইল ফোনও ব্যবহার উপযোগী হতে পারে। এমন সবক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব যা সত্যিই চমৎকার। সেটি এখন প্রকৃত কাজ না করলেও অন্যভাবে ব্যবহারের অনেক সুযোগ আছে।

 

এ নিয়ে অনেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বহু আইডিয়া দিয়েছেন। সেসবের সঙ্গে নিজের কল্পনাশক্তি কাজে লাগিয়ে আপনিও একেবারে নতুন কিছু তৈরি করতে পারেন। চলুন দেখে নেয়া যাক- 

 

নিরাপত্তা ক্যামেরা হিসেবে পুরনো ফোনের ব্যবহার
স্মার্টফোন পুরনো হলে ফেলে দেবেন না। তাতে অনেক প্রযুক্তি থাকে। ভিন্ন কাজে তা লাগানো যায়। সেটি নিরাপত্তা ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পুরনো ফোনে ভিডিও ধারণ করা গেলেই চলবে। অবশ্য সম্প্রচার প্রযুক্তি কাজ করতে হবে। 

 

এরকম হলে নিজের ঘরে সেটি লাগিয়ে দিন। পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বসে দেখতে পাবেন, আপনার বাসায় কে কি করছে। কারা প্রবেশ করছে। চোরও ধরা পড়বে।  

 

ফোনটি ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহারের জন্য দরকার ট্রাইপড কিংবা এ ধরনের কোনো ধারক। সৃজনশীল হলে কোনো গোপন স্থানে তা লুকিয়ে রাখতে পারেন। সঙ্গে কিছু সফটওয়্যার দরকার হবে। মেনিথিং ও আলফ্রেড হলো এ ধরনের সফটওয়্যার।

 

অ্যান্ড্রড্রয়েড ও আইওএস দুই ধরনের প্লাটফর্মেই যা ডাউনলোড করা সম্ভব। এ দুটি সবচেয়ে ভালো। তবে এমন আরও অনেক অ্যাপ আছে। নির্দেশনা মেনে সহজে সেগুলো ইনস্টল করা যায়।

 

শুধু মুঠোফোন নয়, ট্যাবলেট ধাঁচের গ্যাজেটও এভাবে ব্যবহার করা যাবে। তবে একটু বড় হওয়ায় সেগুলো গোপন জায়গায় রাখা কঠিন।

 

এখনকার অধিকাংশ ফোন বা ট্যাবলেট ওয়াটার প্রুফ। তাই বাড়ির বাইরেও লাগানো যেতে পারে। শুধু নিশ্চিত করতে হবে, ডিভাইস স্থাপনের পর সেটি যেন সবসময় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় থাকে।

 

ফোন, ট্যাবলেট দিয়ে বানান সম্প্রচার মাধ্যম ও রিমোট 
ইদানিং অনেক ভিডিও স্ট্রিমিং দেখা যাচ্ছে। ক্যামেরার নিপুণ কারসাজি এবং চমৎকার দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনা দেখা যায় সেগুলোতে। চাইলে নিজেও বিখ্যাত মিডিয়া স্ট্রিমার হয়ে উঠতে পারেন। 

 

ওয়্যারলেস প্রযুক্তির সাহায্যে পুরনো ডিভাইসগুলো ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে ভিডিওতে নতুন কোণ যোগ হতে পারে। পছন্দের কৌণিক অবস্থানে শুধু সেগুলো স্থাপনের কৌশল বের করতে হবে।

 

স্পিকার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে ট্যাবলেট বা মুঠোফোন। এর মাধ্যমে আবার অ্যাপলের এরায় প্লে এবং গুগলের ক্রোমকাস্ট সার্ভিসের সঙ্গীত শুনা যায়।

 

একাধিক ফোন থাকলে তা রিমোট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অ্যাপল টিভি চালাতে রিমোটের চেয়ে ভালো কাজ দেয় পুরাতন আইফোন। এতে নতুন ফোন চাপমুক্ত থাকে, বাড়ে ব্যাটারির আয়ু।