ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৪০৩

মা ও শিশুকে বাঁচাবে টিকা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৪২ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮  

বাঙালি সমাজে নারীদের শরীরের যত্ম-আত্মির বিষয়টি এখনও অনেকক্ষেত্রে তুলনামূলক কম। বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদে এর হার শংকাজনক পর্যায়ে ছিল গেল দশকেও। তবে সামগ্রিক সচেতনতা বাড়ার কারণে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। অবশ্য এখনও সে হার সন্তোষজনক না।

বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের দরকারি সেবা ও যত্ম-আত্মির বিষয়টি খুবই জরুরি। গর্ভকালীন সময়ে মায়ের জন্য চাই বিশেষ যত্ন। মা ও শিশুমৃত্যুর হার কমাতে এর কোনো বিকল্প নেই। সুস্থ-সবল জাতি গঠনেও দরকার মায়েদের সুস্বাস্থ্য-সুচিকিৎসা। এর মধ্যে প্রযোজনীয় টিকা নেয়া খুবই একটি কার্যকরী ব্যবস্থা।

মহিলাদের গর্ভধারনের আগেই নিজের স্বাস্থ্য, গর্ভধারণ ও সন্তান পালন সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। কারণ একজন সুস্থ্য মা-ই পারে একটি সু্স্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে। তাই গর্ভবতী মায়ের জন্য দরকার সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা। গর্ভকালীন যত্ন বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে।

সাধারণভাবে গর্ভবতী মায়ের লক্ষণগুলো হলো  :

মাসিক বন্ধ থাকা, বমি বমি ভাব  ও স্তনে ব্যথা।

গর্ভাবস্থায় টিকা

ক্ষতিকর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে টিকা। গর্ভাবস্থায় টিকা নিলে মা এবং সন্তান উভয়েই ক্ষতিকর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন। গর্ভাবস্থায় টিকা নিলে সন্তানটি জন্মের কয়েকমাস পরেও তার টিকা শুরু করার আগ পর্যন্ত নিরাপদ থাকে। মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গর্ভের সন্তানকে গুরুতর অসুখ থেকে রক্ষা করবে।

টিটেনাস (ধনুষ্টংকার) থেকে রক্ষ পাওয়ার জন্য গর্ভাবস্থায় টিটি টিকা নিতে হয়। হবু মায়েদের টিটি টিকা নিতে হবে যেন বাচ্চার ধনুষ্টঙ্কার না হয়। যদি আগে কোনো টিকা নেয়া না থাকে, তবে সবগুলোই দিতে হবে। শিশুদের যে পেন্টা ভ্যালেন্ট টিকা দেয়া হয় তাতে ধনুষ্টঙ্কার প্রতিরোধী টিকা থাকে। কিন্তু এই টিকা নবজাতককে সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই সম্প্রসারিত টিকা দান কর্মসূচির আওতায় সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীযাদের বয়স ১৫ থকে ৪৯ বছর, তাদের জন্য ধনুষ্টঙ্কার ও রুবেলার বিরুদ্ধে টিটি ও এমআর টিকা দেয়া হয়। টিটেনাসের ৫টি টিকার ডোজ সম্পন্ন থাকলে আর গর্ভাবস্থায় এই টিকা নেয়ার দরকার নেই।

আর কেউ যদি কোনো টিকা না নিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় ৫ মাসের পর ১ মাসের ব্যবধানে পর পর দুটি টিটি টিকা দিয়ে নিতে হবে। আর যদি পূর্বে দুই ডোজ টিকা নেয়া থাকে তাহলে প্রতি গর্ভাবস্থায় মাত্র একটি বুষ্টার ডোজ নিতে হবে। মাকে দেয়া এই টিকা মা ও বাচ্চা উভয়েরই ধনুষ্টংকার রোগের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।

প্রসবকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতায় অসতর্কতা এবং অপরিষ্কার ছুরি, ব্লেড বা কাঁচি ব্যবহার করলে (বাচ্চার নাভী কাটার সময়) অথবা নাভীর গোড়ায় নোংরা কিছু লাগিয়ে দিলে নবজাতকের ধনুষ্টংকার রোগ হয়। আর এসব ক্ষতি এড়াতে দরকার প্রয়োজনীয় টিকার ডোজগুলো সময়মতো নেয়া।