ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৪৩

যেসব খাবার শ্বাস-প্রশ্বাস পরিষ্কার রাখে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:১৬ ১৯ মে ২০২১  

স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বায়ুদূষণ। এটি হাঁপানির সমস্যা বাড়িয়ে তোলা থেকে শুরু করে অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগকে কার্ডিওভাসকুলার রোগে পরিণত করে। এর কারণে ফুসফুসের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। 


এজন্য যত্নশীল হতে হবে ফুসফুস ভালো রাখতে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে কিছু নির্দিষ্ট খাবার দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত খাবার খাওয়ার।


টাইমস অব ইন্ডিয়া এমন একটি খাবারের তালিকা প্রকাশ করেছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং বায়ুদূষণজনিত সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে অনেক সহায়তা করবে।


গ্রিন টি
ওজন কমানো থেকে শুরু করে প্রদাহ কমানোসহ গ্রিন টি-তে রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা। দিনে দু'বার খেলে ফুসফুসের অবস্থার উন্নতি হয়।


রসুন
রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি শক্তিশালী যৌগ যা অ্যান্টিবায়োটিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি শ্লেষ্মা ও শ্বাসকষ্ট দূর করতেও সহায়তা করে অনেক ক্ষেত্রে। রসুন প্রদাহ হ্রাস এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে। হাঁপানি রোগীদের জন্যও বেশ কার্যকরী।


মধু
মধু একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি এবং অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্যর জন্য জনপ্রিয়। এটি হ্রাস করে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। এটি নিঃশ্বাস পরিষ্কার করতে এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানিতে এক চামচ মধু ফুসফুস পরিষ্কার করার জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতেও সহায়তা করে।


হলুদ
হলুদ শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে প্রদাহ এবং শ্লেষ্মা দূর করে। হলুদের সক্রিয় যৌগ ফুসফুসকে প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করে। এটি রোগ প্রতিরোধ তৈরি করতে এবং শরীরকে ডিটক্সাইফাই করতে সহায়তা করে। দুধ, তরকারী, সালাদে কাঁচা বা গুঁড়া হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।


আদা
আদা হলো কাশি এবং সর্দি নিরাময়ের সর্বাধিক ব্যবহৃত ঘরোয়া প্রতিকারগুলোর মধ্যে একটি। এটি প্রদাহ বিরোধী গুণাবলীর জন্য অনেক পরিচিত। আদা শ্বাসনালী থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন এবং জিংকের মতো ভিটামিন ও খনিজ। এগুলো ফুসফুসের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। চা, সালাদ, তরকারি ইত্যাদিতে আদা যোগ করে খেতে পারেন।