ঢাকা, ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫৩১

শিশুর খাওয়া-দাওয়া

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:১৪ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

শিশুর খাওয়া-দাওয়া নিয়ে মায়ের চিন্তার শেষ নেই। একরত্তি হলে কী হবে, কোন খাবার যে মুখে তুলবে তা রীতিমতো গবেষণার বিষয়। জেনেনিন শিশুকে কি খাবার দিবেন।


১. শিশুর বয়স ছ’মাস হলে খিচুড়ি, আলুসিদ্ধ, আলুভাজা, দই, পায়েস খাওয়ানো উচিত৷ দশ মাস বয়স থেকে ফাইবারযুক্ত খাবার, ডালসিদ্ধ, ডিমের কুসুম আর এক বছর পার করলে মাছ খাওয়ানো ভাল৷ ১ বছর ৩ মাস থেকে মুরগির মাংসের ছোট টুকরো ও আর একটু বড় হলে অল্প পাঁঠার মাংস দেওয়া যায়।


২. বাচ্চার দেড় বছর বয়স হলে দিনে চারবার খাওয়ানো উচিত। ছোট বলে তেলমশলা ছাড়া খাবার দিতে হবে এমন কোনও ব্যাপার নয়। বরং এতে খাবারের প্রতি বাচ্চার বিতৃষ্ণা জন্মায়৷ বড়রা যেমন স্বাদু খাবার খেতে পছন্দ করে ছোটরাও ঠিক তেমনই। সমীক্ষা  বলছে, ঝাল বাদে বাকি সব মশলা এমনকী সরষের তেল দিয়েও রান্না করা ভাল।


৩. বাচ্চারা রোজ মাছ খেতে পারে৷ পাশাপাশি মাছ-মাংস-ডিম ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ালে ভাল ফল মেলে৷ মাছের ক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছ পমফ্রেট, ইলিশ, আমোদিনী, কাজরী মাছ খাওয়ানো ভাল৷ মুরগির মাংস রোজ অল্প করে দেওয়া যায়। যদি বেশি ক্যালোরি বার্ন করার সুযোগ না পায় তাহলে তিন-চারদিন অন্তর ডিম খাওয়ানো উচিত৷ বাচ্চার ওবেসিটি থাকলে ডিমের হলুদ অংশ বর্জন করাই ভাল।


৪. রোজ ভাত, ডাল, রুটি, মরশুমি সবজি, একটা গোটা বা কয়েকরকমের ফলের টুকরো খাওয়াতে হবে। ভিটামিন, অ্যাণ্টি অক্সিডেণ্ট সমৃদ্ধ ফল, আপেল, কলা, লেবু নিয়মিত ও লুচি-পরোটা, চাউমিন দু-একদিন দেওয়া যেতেই পারে।


৫. টিফিনে রুটি, মুড়ি, চিঁড়েভাজা দেওয়া ভাল। কিন্তু বন্ধুদের সামনে রুটি, মুড়ি খেতে অনেক শিশু হীনমন্যতায় ভোগে।তাই ছোট থেকেই তাকে এগুলির গুণ যে ম্যাগি, বার্গার, কেকের তুলনায় অনেক বেশি তা বোঝাতে হবে। তবে বাইরের সব খাবার বারণ এমন নয়। মাঝেমাঝে অল্পস্বল্প দেওয়া যেতেই পারে।

শিশু বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর