সড়ক সন্ত্রাস
ফের রাস্তায় শিক্ষার্থী নিহত, দায় কার?
রফিকুল ইসলাম
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৭:২২ ১৯ মার্চ ২০১৯
আমি মনে করি এ মৃত্যুর দায় আমারই। কেন আমি রাস্তায় বের হলাম? সরকার কি আমাকে রাস্তায় বের হতে বলেছে? বলে নি, তবে কেন বের হলাম!
সড়কে বেপরোয়া গাড়ি চালাতে চালকের লাইসেন্স আছে। কোনো মন্ত্রী কিংবা এমপি'র ব্যাক-আপ নিয়ে রাস্তায় মাস্তানী করে তারা। পুলিশকে নিয়মিত মাসোয়ারা দেয়। কিন্তু আমি ! কিছুই দেই না !
এমন এক অনিশ্চিত জীবন নিয়ে সড়কে নিয়মিত চলাচল আমাদের। বাসা থেকে বের হলে সুস্থভাবে ফিরবো কিনা, নিশ্চয়তা নেই। কে দেবে এই নিশ্চয়তা?
প্রতিদিনের মতো সকালের ক্লাস ধরতে ভার্সিটি যেতে চেয়েছিলো আবরার। কিন্তু রাস্তা পার হওয়ার সময় ঘাতক সু-প্রভাত বাসটি দেহের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেয়া হলো।
আবারো সেই অসাধু প্রতিযোগিতা, কে কার আগে যাবে! পিচ ঢালা সড়ক মুহূর্তেই রক্তে লাল হয়ে গেলো। চার দিক থেকে মানুষ ছুটে এলো। কিন্তু ফল দাঁড়ালো - আবরার এই অনিশ্চিত জীবন থেকে বিদায় নিলো। জানিয়ে দিলো এই সড়ক নিরাপদ নয়। আজ আমি, কাল আপনি পরদিন আরো একজন ! প্রতিদিনই ঝরছে তাজা প্রাণ।
একটি আবাসিক এলাকা, বড় শপিং মল, দুই-তিনটা ভার্সিটি থাকায় নর্দ্দা ও বসুন্ধরা এলাকা খুবই জনবহুল হয়ে উঠেছে। কিন্তু রাস্তা পারাপারে দরকারি ট্রাফিক ব্যবস্থা নেই। মানুষ নিজ দায়িত্বেই চলমান গাড়ির মধ্য দিয়ে রাস্তা পার হন। নর্দ্দা থেকে কুড়িল পথে যেতে একজন ট্রাফিক পুলিশ কেবল মামলা দিতে ওৎ পেঁতে বসে থাকেন। সুযোগ পেলেই মামলা ধরিয়ে দেন। কিন্তু রাস্তায় অবৈধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না। রাস্তার দু-পাশে বসানো হয় ছোট ছোট দোকান। ঐ দোকানদাররা জানান, টাকা দিলে বসতে দেয়া হয়, আর না দিলে বসার সুযোগ হয় না।
আবরার যেখানে লাশ হলো সেই রাস্তা দিয়েই অফিস থেকে বাসায় ফিরি প্রতিদিন। আজও সকালে সেখানে গিয়েছিলাম শিক্ষার্থীদের আন্দালোন চলছে শুনে। বসুন্ধরা গেটের ঠিক উল্টোপাশেই রাস্তা পার হতে গিয়ে লাশ হলো আবরার। রাস্তাটি রক্তে লাল হয়ে গেছে। তার বন্ধু, সহপাঠী বা বড় ভাইয়েরা জয়গাটি ঘিরে বসে স্লোগান দিচ্ছে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। কিন্তু জাস্টিস কিভাবে হবে? আবরাব ফিরবে? হয়তো কিছু টাকা দিয়ে সামাধান হবে! লাশের বদলে টাকা দিয়ে সান্তনা এর চেয়ে অমানবিক কাজ হয়তো নেই।
একটি সন্তান, সে ছিলো, বড় হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো, কত স্বপ্ন বাবা-মায়ের! কিন্তু নিমেষেই শেষ হলো সেটা। আর আমরা কিনা টাকা দিয়ে সান্তনা দিব! ছি! ছি!
অব্যবস্থাপনা আর অনিয়ম এই রাস্তাজুড়ে। কেউ দেখার নেই।
গতকালের কথাই বলি, রাত সাড়ে নয়টা। নর্দ্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে তীব্র যানজট। একটি গাড়িও নড়ছে না। কিন্তু বসুন্ধরা গেট পার হলেই রাস্তা ফাঁকা। আধা কিলোমিটারে কম দুরত্বের রাস্তা পার হতে সময় লাগলো অন্তত আধা-ঘন্টা। সামনের রাস্তা ফাঁকা দেখার পরও এত্ত জানযটের কারণ অনুসন্ধান করলাম।
এক. পুলিশের পোশাক পরা এক ভদ্রলোক মাথায় ক্যাপ পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হয়তো গাড়ি গণনা করছিলেন! ফ্যাল ফ্যাল চোখে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তিনি। হাতে একটা মেশিন। দাঁড়িয়ে আছেন। মোটর সাইকেল কিংবা বাসের কাগজ যাচাই করছিলেন রাস্তার ওপরই। রাস্তার ওপরই গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখায় অন্য গাড়ি যেতেও পারছিলো না।
দুই. যাত্রী তুলতে ও নামাতে বাস স্টপেজ নিদিষ্ট করা আছে। বাস স্টপেজ শুরু ও শেষ নির্দেশনাও দেয়া আছে। কিন্তু বাস চালকরা হয়তো এসব বুঝে না, অথবা পাত্তাই দেয় না। মাঝ রাস্তা থেকে গাড়ি এমনভাবে বাঁকা করে রাখে, যেন অন্য কোনো গাড়ি যেতে না পারে। বেশি যাত্রী পাবার আশায় অন্য বাসটিকে আটকিয়ে রাখে। আর পেছনে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
তিন. স্টপেজ নির্দেশিত সীমানার বাইরে পড়েছে যমুনা ফিউচার পার্কের পথচারী পারাপারের পথ। ফিউচার পার্ক থেকে বেরিয়ে স্টপেজ নির্দেশিত সীমানায় যায় না মানুষ। তড়িঘড়ি রাস্তা পার হয়েই গাড়ির জন্য অপেক্ষা। আর বাস চালকরাও সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। যদিও ট্রাফিক পুলিশ পাশেই দাঁড়ানো, কিন্তু কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি।
চার. যানজট কমাতে বসুন্ধরা গেটের সামনের খোলা অংশ বন্ধ করা হয়েছে। গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল নিয়ে কুড়িলের দিকে যেতে কোকাকোলা পর্যন্ত ঘুরতে হয়। কিন্তু জনগণের রাস্তা পার হতে কোনো ট্রাফিক নেই। জনগণই নিজ দায়িত্বে দ্রুত চলমান গাড়ির সামনে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হয়। এ ছাড়া জনগণের কিছু করার আছে কী? জেব্রা ক্রসিং আছে, কিন্তু ব্যবহার নেই। ব্যবহারের সুযোগও নেই। রাস্তায় গাড়ি চলছে যথেচ্ছতাই, আর অসাধু পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতা আছেই।
- পত্রিকা অফিসে হামলা জাতির জন্য লজ্জার: সালাহউদ্দিন আহমদ
- ভোটে লাখ সেনা মোতায়েন, যৌথ বাহিনীর অভিযান শিগগিরই
- ভারতকে উড়িয়ে ১৩ বছর পর চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
- গলা ব্যথা হয় যেসব কারণে
- মনে পড়ে কি সেই শাকিল খানের কথা?
- পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ, যেভাবে ভোট দেবেন প্রবাসীরা
- হাদি হত্যা: মামলায় ৩০২ ধারা সংযোজনের আদেশ
- বাংলাদেশের বিদায়, ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান
- বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা পর্যালোচনা ভারতীয় বাহিনীর
- নিয়ম মেনে চলার পরও ওজন কমছে না? জেনে নিন সমাধান
- হাদির মৃত্যুতে তারকাদের কে কি লিখলেন
- `৭১-এর পর বাংলাদেশে ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে’ ভারত
- প্রথম আলো-ডেইলি স্টার সম্পাদককে ইউনূসের ফোন
- ওসমান হাদি: জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ের ৭ দিন
- মেয়েকে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকায় নামবেন তারেক রহমান
- ‘সেভেন সিস্টার্স স্বাধীন কর’ স্লোগান: বাবর বললেন, ‘দুঃখজনক’
- আইপিএল: মোস্তাফিজকে কত দিনের এনওসি দিলো বিসিবি
- ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র চালু
- অস্ত্রধারী পুলিশ পাচ্ছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি
- মেসির ‘অমরত্বের’ তিন বছর
- মেহজাবীনের মামলার শুনানি পেছাল
- শীত কি সত্যিই প্রেমের মৌসুম?
- হাদিকে গুলি: প্রধান অভিযুক্তের বাবা-মায়ের দোষ স্বীকার
- আ’লীগের সময় নীরব ভারত এখন কেন সরব, প্রশ্ন তৌহিদের
- বাংলাদেশ সীমান্তে ৮০ শতাংশে কাঁটাতার দিয়েছে ভারত
- অ্যাকোয়ারিয়ামে পরিচর্যা সহজ এমন ১০ মাছ
- আইপিএল: কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচের পর কোন দল কেমন হলো?
- ‘দঙ্গল’ ছাড়িয়ে ‘জওয়ান’ ও ‘অ্যানিম্যাল’কে টেক্কা দিচ্ছে ‘ধুরন্ধর’
- ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে শাহরুখের কলকাতায় মোস্তাফিজ
- ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
- শীতকালের গোসলে যে ৫ ভুল করতে নেই
- শিমের ৬ গুণ
- মেসির ‘অমরত্বের’ তিন বছর
- আড়ংয়ে চাকরি, পাবেন একগাদা সুবিধা
- ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে শাহরুখের কলকাতায় মোস্তাফিজ
- শীত কি সত্যিই প্রেমের মৌসুম?
- ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র চালু
- মেহজাবীনের মামলার শুনানি পেছাল
- `৭১-এর পর বাংলাদেশে ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে’ ভারত
- বাংলাদেশের বিদায়, ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান
- ওসমান হাদি: জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ের ৭ দিন
- পেছানোর শঙ্কায় পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর
- বাংলাদেশ সীমান্তে ৮০ শতাংশে কাঁটাতার দিয়েছে ভারত
- সেভেন সিস্টার্সকে বিচ্ছিন্ন করে দেব: হাসনাত
- বাজারে এলো শিশুদের স্মার্ট ইলেকট্রিক বাইক
- হাদিকে হত্যাচেষ্টা: আদালতে যা বললেন ফয়সালের স্ত্রী-শ্যালক-বান্ধবী
- ‘সেভেন সিস্টার্স স্বাধীন কর’ স্লোগান: বাবর বললেন, ‘দুঃখজনক’
- বাজার থেকে নিম্নমানের কিটক্যাট চকলেট সরানোর আদেশ
- হাদিকে গুলি: প্রধান অভিযুক্তের বাবা-মায়ের দোষ স্বীকার
- ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান

