১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে-বাইরে কী ঘটেছিল
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৭:৩৬ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনী ঢাকায় আত্মসমর্পণ করলেও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ সে খবর জেনেছিল আরো পরে রেডিওর মাধ্যমে। যদিও বেশ কিছু মানুষ রেসকোর্স ময়দানে ওই অনুষ্ঠান দেখারও সুযোগ পেয়েছিল। ওই দিন বেলা ১২টার দিকেই যারা ভারতীয় বাহিনীকে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখছিল তারা অবশ্য রাস্তায় নেমে এসেছিল। পাশাপাশি ঢাকায় আগে থেকেই আত্মগোপনে থাকা মুক্তিবাহিনীর সদস্যরাও বাইরে বের হয়ে আসে।
গবেষকদের মতে, ‘সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণ’ কীভাবে হবে তা নিয়ে উদ্বেগ বা শঙ্কা থাকলেও ঢাকায় ভারতীয় বাহিনী প্রবেশ করার পর বিজয় যে এসে গেছে, তা নিয়ে কার্যত আর কারও মধ্যেই কোনো সংশয় ছিল না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপঞ্জি ১৯৭১-২০১১’ বইয়ে ১৬ ডিসেম্বরের তথ্য দিয়ে লিখেছেন যে, ওই দিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে মিত্রবাহিনী ঢাকায় প্রবেশ করে।
“ওদিকে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ প্রান্তে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের প্রবেশ। ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে বিকেল ৫টায় ভারত ও বাংলাদেশ যৌথবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাদের শর্তহীন আত্মসমর্পণ। মেজর জেনারেল জ্যাকবের প্রস্তুত করা আত্মসমর্পণ দলিলে লে. জে নিয়াজী ও লে. জে অরোরা স্বাক্ষর করেন, “ লিখেছেন তিনি।
বিবিসিতে ১৯৭১ সালের ২২ ডিসেম্বর অ্যালান হার্টের একটি তথ্যচিত্র প্রচার হয়। এতে দেখা যায়, মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা বেরিয়ে আসছে আর লোকজন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা শেখ মুজিবের নামে কিংবা জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছিল।
রিপোর্টের ফুটেজে দেখা যায়, বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করছে মানুষ। যদিও তখনো কোথাও কোথাও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল এবং এরই এক পর্যায়ে ভারতীয় বাহিনী শহরে প্রবেশ করলে লোকজন তাদের নিয়েও উল্লাস করতে থাকে।
গবেষকরা বলছেন, ক্যান্টনমেন্টে যখন আত্মসমর্পণের খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হচ্ছিল তখনো বাইরে বহু মানুষই উদ্বিগ্ন ছিল যে আসলে কী হতে যাচ্ছে। সেদিনই যে আত্মসমর্পণ হয়ে যাচ্ছে ও বাংলাদেশ সম্পূর্ণ মুক্ত হচ্ছে তা সাধারণ মানুষের অনেকের কাছেই পরিষ্কার হয়নি তখনো।
লেখক ও গবেষক মফিদুল হক বলছেন, ক্যান্টনমেন্টে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল গন্দর্ভ সিং নাগরা ও পাকিস্তানের মেজর জেনারেল জামশেদসহ দু'পক্ষের বৈঠক হচ্ছিল। আর বাইরে ছিল উদ্বেগ আর আশঙ্কা যে কীভাবে সারেন্ডার হবে।
“ওই আলোচনা চলাকালেই ভারতীয় বাহিনী ঢাকায় ঢুকতে শুরু করলো। তাদের যারা আসতে দেখলো তারাও রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করলো। ঢাকায় থাকা মুক্তিযোদ্ধারাও বের হয়ে আসলো,” ১৬ ডিসেম্বরের ঢাকার বর্ণনা দিয়ে বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আরেকজন গবেষক ও প্রত্যক্ষদর্শী আফসান চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন যে, ক্যান্টনমেন্টে কী হচ্ছে সেটি মানুষের জানা ছিল না, বরং মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় ফোর্সকে ঢাকার রাস্তায় দেখেই চিৎকার করছিল আর জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছিল।
“মুক্তিযোদ্ধারা মূলত পুরো ডিসেম্বরই চারদিক থেকে ঢাকায় ঢুকেছে। পাকিস্তান আর্মি সারেন্ডার করেছে ও হেরে গেছে, আর মানুষ মুক্তি পেয়েছে। বিশাল স্বস্তি পেয়েছিল মানুষ। তারা তো আর কিছু জানতো না। সারেন্ডারের খবর পরে রেডিওতেই পেয়েছিলো সবাই,” বলছিলেন তিনি।
১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিজের বাহিনীর সঙ্গে ঢাকায় প্রবেশ করেছিলেন প্রয়াত সেনা কর্মকর্তা মইনুল হোসেন চৌধুরী।
ঢাকার দৈনিক প্রথম আলোতে পরে এক লেখায় তিনি লিখেছিলেন, “সন্ধ্যায় আমরা ঢাকা স্টেডিয়ামে পৌঁছি। স্টেডিয়ামের পথে পথে রাস্তাঘাট ছিল জনশূন্য। যদিও পাকিস্তানি আর্মি আত্মসমর্পণ করেছিল, তথাপি লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি, আতঙ্ক ও সন্দেহ ছিল। তাই রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল ছিল না।”
ক্যান্টনমেন্টে কী হচ্ছিল
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী আত্মসমর্পণ করেছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে।
আর এই আত্মসমর্পণ নিয়ে সকাল থেকেই ক্যান্টনমেন্টে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল গন্দর্ভ সিং নাগরা ও পাকিস্তানের মেজর জেনারেল জামশেদসহ দুপক্ষের মধ্যে।
একাত্তরের ৩ ডিসেম্বর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কমান্ডে যুদ্ধ শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত পাকিস্তানিদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে। এর আগেই অনেক জায়গায় তাদের পতন হয়ে গিয়েছিল।
৮ ডিসেম্বর ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ প্রথমবারের মতো পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের চিফ অফ স্টাফ ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব। তিনি তার ‘সারেন্ডার অ্যাট ঢাকা’ বইতে লিখেছেন, “১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া নয়টায় জেনারেল মানেকশ ফোনে আমাকে অবিলম্বে ঢাকায় গিয়ে সেই দিনই সন্ধ্যার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করতে বলেন।”
জ্যাকবের বই ছাড়াও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা সিদ্দিক সালিকের লেখা ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ এবং তখনকার পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সামরিক উপদেষ্টা রাও ফরমান আলী খানের ‘হাউ পাকিস্তান গট ডিভাইডেড’ বইতেও ওই দিন ক্যান্টনমেন্টে যা যা ঘটেছে। এরপর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
বিভিন্ন বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ওই দিন সকালে ঢাকায় থাকা পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তারা তাদের দপ্তরে যখন বৈঠক করছিলেন তখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল গন্দর্ভ সিং নাগরার একটি লিখিত বার্তা এসে পৌঁছায় সেখানে।
ওই বার্তায় লেখা ছিল, “প্রিয় আবদুল্লাহ, আমি এখন মিরপুর ব্রিজে। আপনার প্রতিনিধি পাঠান।”
এর আগে সকাল আটটা নাগাদ ঢাকার মিরপুর ব্রিজের কাছে মেজর জেনারেল নাগরাকে বহনকারী একটি সামরিক জিপ এসে থামে। এরপর জেনারেল নাগরাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য মেজর জেনারেল জামশেদকে পাঠানো হলো এবং মিরপুর ব্রিজের কাছে থাকা পাকিস্তানি সৈন্যদের জেনারেল নাগরাকে নিরাপদে শহরে ঢুকতে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হলো।
বিষয়টির বর্ণনা দিয়ে সিদ্দিক সালিক লিখেছেন, “ভারতীয় জেনারেল হাতে গোনা সৈন্য এবং অনেক গর্ব নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করলেন। তখনই কার্যত ঢাকার পতন হয়ে গেলো।”
জেনারেল নাগরা কমান্ড অফিসে পৌঁছানোর পর জেনারেল নিয়াজী তার সঙ্গে কৌতুকে মেতে উঠেন। সিদ্দিক সালিক লিখেছেন, সেসব কৌতুক এতটাই নোংরা ও ভাষার অযোগ্য ছিল যে সেগুলো বইয়ে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।
সে মুহূর্তের বর্ণনা জেনারেল রাও ফরমান আলী খান তুলে ধরেছেন এভাবে, “জেনারেল নিয়াজি তার চেয়ারে বসে আছেন, তার সামনে জেনারেল নাগরা রয়েছেন এবং একজন জেনারেলের পোশাকে রয়েছেন মুক্তিবাহিনীর টাইগার সিদ্দিকীও (কাদের সিদ্দিকী)। শুনলাম নিয়াজি নাগরাকে জিজ্ঞেস করছেন তিনি উর্দু কবিতা বোঝেন কি না।”
ইতোমধ্যে ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল জে আর জ্যাকব ঢাকায় অবতরণ করেছেন। সঙ্গে এনেছেন আত্মসমর্পণের দলিল, যা তিনি পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেন। কিন্তু নিয়াজী একে বর্ণনা করছিলেন ‘যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব’ হিসেবে।
আত্মসমর্পণ দলিলে ‘ভারতীয় যৌথ কমান্ড এবং বাংলাদেশ বাহিনীর’ কাছে আত্মসমর্পণ করছে পাকিস্তান বাহিনী- এমন বাক্য থাকায় রাও ফরমান আলী আপত্তি জানান।
এসময় জেনারেল জ্যাকবের সঙ্গে থাকা ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্নেল খেরা শুধু বলেন, “এটা বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আপনারা শুধু ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করছেন।”
জে আর এফ জ্যাকবের লেখা বইতেও এ বিষয়ে এভাবে উঠে এসেছে, “আমি নিয়াজীর অফিসে ফিরে এলে কর্নেল খেরা আত্মসমর্পণের শর্তাবলী পাঠ করে শোনান। নিয়াজির চোখ থেকে দরদর করে পানি পড়তে থাকে, সেই সঙ্গে ঘরে নেমে আসে পিনপতন নিস্তব্ধতা। রাও ফরমান আলী ভারতীয় ও বাংলাদেশি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানান। নিয়াজি বলেন যে, আমি তাকে যেটাতে সই করতে বলছি সেটাই নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের দলিল।”
দুপুরের পর জেনারেল নিয়াজী ঢাকা বিমানবন্দরে গেলেন ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার জগজিৎ সিং অরোরাকে অভ্যর্থনা জানাতে। অরোরা স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন।
ততক্ষণে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। আর ১২টার পর থেকেই ভারতীয় বাহিনী ধীরে ধীরে শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে।
রাও ফরমান আলীসহ আরও একজন কর্মকর্তা নিয়াজীকে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তিনি তা শুনতে রাজি হননি। জেনারেল অরোরা ও জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষরের পর নিয়াজী তার রিভলবারটি অরোরার হাতে তুলে দেন।
জ্যাকব ‘সারেন্ডার অ্যাট ঢাকা’ বইতে লিখেছেন, “সময় তখন বিকেল চারটা ৫৫ মিনিট। এরপর নিয়াজী তার কাঁধ থেকে এপ্যলেট (সেনা অধিনায়কদের সম্মানসূচক ব্যাজ) খুলে ফেলেন এবং ল্যানিয়ার্ডসহ (একটি ছোট দড়িবিশেষ) পয়েন্ট ৩৮ রিভলবার অরোরার হাতে ন্যস্ত করেন। তার চোখে অশ্রু দেখা যাচ্ছিল। সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত জনতা তখন নিয়াজী বিরোধী এবং পাকিস্তানবিরোধী স্লোগান ও গালিগালাজ করতে থাকে।”
পরে জেনারেল নিয়াজী ও ঊর্ধ্বতন কমান্ডারদের ২০ ডিসেম্বর কলকাতায় নিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
ক্যান্টনমেন্টের বাইরের পরিস্থিতি
ক্যান্টনমেন্টে যখন পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের খুঁটিনাটি ঠিক হচ্ছিল তখন সেটি বাইরে থেকে বোঝার উপায় ছিল না। মফিদুল হক অবশ্য বলছেন যে, তার আগেই বেলার ১১টার দিকেই তারা বুঝতে পারছিলেন যে যুদ্ধ শেষ হচ্ছে। তিনি তার আত্মীয়ের গাড়িতে করে বেরিয়েছিলেন সেদিন।
বেলা ১২টার দিকে ভারতীয় বাহিনীর এসে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আসতে দেখেছেন। পরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তারা যখন বিমানবন্দরে যান ততক্ষণে আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে হেলিকপ্টারে ঢাকা ছাড়ছিলেন ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার জগজিৎ সিং অরোরা।
ওদিকে শহরের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীদের যেসব বর্ণনা বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে তাতে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মুক্তিযুদ্ধের গান আর শহড়জুড়ে আনন্দ করছিলো মানুষ। অনেককে মিষ্টি বিতরণ করতেও দেখা গেছে।
বিশেষ করে বিকেলে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাইফেলের ফাঁকা গুলি আর স্লোগানে প্রকম্পিত হতে থাকে তখনকার ঢাকা শহর। সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে এসে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে।
তবে এর মধ্যেও কোথাও কোথাও গোলাগুলো হচ্ছিল। ইন্টারকন্টিনালের সামনে গোলাগুলিতে একজন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুর তথ্যও পাওয়া যায় কোনো কোনো লেখায়।
বিশেষ করে মিরপুরের কিছু এলাকায় গুলি, নয়াবাজার এলাকায় আগুন ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলি হচ্ছিল তখনো। এর মধ্যেই বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে আসতে থাকে মিছিল এবং ধ্বনিত হতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান 'জয় বাংলা'।
“মানুষ তখন মুক্তির আনন্দে উল্লসিত। দেশ আসলেই স্বাধীন হলো। তবে একদিন পর থেকেই আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে শুরু করে,” বলছিলেন গবেষক আফসান চৌধুরী।
- ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে শাহরুখের কলকাতায় মোস্তাফিজ
- ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
- শীতে অতিরিক্ত চা–কফি যে কারণে খাবেন না
- মেসি বিতর্কে শুভশ্রীর পাশে রাজ, থানায় অভিযোগ
- মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সিনেমা ‘ওরা ১১ জন`, নেপথ্য কারিগর কে?
- ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে-বাইরে কী ঘটেছিল
- বাজার থেকে নিম্নমানের কিটক্যাট চকলেট সরানোর আদেশ
- হাদিকে হত্যাচেষ্টা: আদালতে যা বললেন ফয়সালের স্ত্রী-শ্যালক-বান্ধবী
- পেছানোর শঙ্কায় পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর
- শীতকালের গোসলে যে ৫ ভুল করতে নেই
- আনিস আলমগীর, শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
- সেভেন সিস্টার্সকে বিচ্ছিন্ন করে দেব: হাসনাত
- আড়ংয়ে চাকরি, পাবেন একগাদা সুবিধা
- বাজারে এলো শিশুদের স্মার্ট ইলেকট্রিক বাইক
- কোনো আশঙ্কা নেই, সময়মতোই ভোট: ইসি সানাউল্লাহ
- শিমের ৬ গুণ
- ভারতের কাছে পাত্তাই পেল না পাকিস্তান
- পাকিস্তানে ‘ধুরন্ধর’ নিষিদ্ধ হচ্ছে কেন?
- সাইনোসাইটিস ও পলিপ কি একই সমস্যা?
- শুভশ্রী ‘শেষ সুযোগে’ কী প্রমাণ দিতে চাইলেন?
- দাপুটে জয়ে শুরু ভারত-পাকিস্তানের, বৈভবের ছক্কার রেকর্ড
- নির্বাচন: প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারিত হবে যেভাবে
- ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন আসিফ
- ওসমান হাদীকে গুলি, হামলাকারীদের ধরতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
- গভীর গর্তে পড়া সেই শিশু জীবিত উদ্ধার
- শূন্য হওয়া তিন মন্ত্রণালয় কে পেলেন কোনটা
- জোটসঙ্গী হলেও নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে
- শুক্রবার ভারতে আসছেন মেসি, যা থাকছে আয়োজনে
- ব্লাউজের সঙ্গে জিন্স, জয়া লিখলেন ‘ডোন্ট বি এন অ্যাপল’
- ভাপা পিঠা কখন খাওয়া ভালো?
- ভাপা পিঠা কখন খাওয়া ভালো?
- সাইনোসাইটিস ও পলিপ কি একই সমস্যা?
- মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
- ৮ ঘণ্টা ঘুম কতটা দরকারি?
- শূন্য হওয়া তিন মন্ত্রণালয় কে পেলেন কোনটা
- ২০২৫: আলোচিত ৮ সিনেমা
- ছাড়ে আইফোন কেনার আগে যে ৮ বিষয় দেখা দরকার
- আড়ংয়ে চাকরি, পাবেন একগাদা সুবিধা
- গভীর গর্তে পড়া সেই শিশু জীবিত উদ্ধার
- ব্লাউজের সঙ্গে জিন্স, জয়া লিখলেন ‘ডোন্ট বি এন অ্যাপল’
- ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইলের শাড়ি বুননশিল্প
- আবু সাঈদ হত্যা: ‘নতুন সেইফ হাউজের’ তথ্য দিলেন হাসনাত
- শুক্রবার ভারতে আসছেন মেসি, যা থাকছে আয়োজনে
- ওসমান হাদীকে গুলি, হামলাকারীদের ধরতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
- শিমের ৬ গুণ
- শীতকালের গোসলে যে ৫ ভুল করতে নেই
- এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি: মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
- নির্বাচনের প্রস্তুতিতে রাষ্ট্রপতির সন্তোষ, সহযোগিতার আশ্বাস
- দাপুটে জয়ে শুরু ভারত-পাকিস্তানের, বৈভবের ছক্কার রেকর্ড
- আবারো এমভিপি এ্যাওয়ার্ড জিতলেন মেসি



