ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৪৬৩

আমদানি করা পেঁয়াজ বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চায় ভারত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:০৫ ১৫ জানুয়ারি ২০২০  

ভারত বিভিন্ন রাজ্যের চাহিদা মেটাতে যে পেঁয়াজ আমদানি করেছে, সেই পেঁয়াজের বেশিরভাগটা এখনো গুদামেই রয়ে গেছে। কারণ, অধিকাংশ রাজ্য জানিয়েছে তাদের আর পেঁয়াজের দরকার নেই। এই উদ্বৃত্ত পেঁয়াজ কিনতে বাংলাদেশকে আহ্বান জানাল ভারত। সূত্র: দ্য প্রিন্ট 

গুদামে থাকা পেঁয়াজ এখন পচতে শুরু করেছে। পেঁয়াজ এমন এক পণ্য যা কিনা এক সপ্তাহের মধ্যেই ৩৫ শতাংশ পচে যায়। ইতোমধ্যে নিরুপায় হয়ে ২২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণাও দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য দেওয়া হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার অনুষ্ঠিত এক সভায় কেন্দ্রের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী বাংলাদেশের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করতে ভারতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত রকিবুল হকের কাছে প্রস্তাবনাও উত্থাপন করেছে। দেশের চাহিদা মেটানোর জন্যে আমদানি করা পেঁয়াজের উদ্বৃত্ত বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে চায় তারা। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভারতীয় কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ১২ জানুয়ারি নাগাদ ভারতে আমদানি করা পেঁয়াজের ১৮ হাজার মেট্রিক টন এসে পৌঁছায়। দেশটি ৩৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির চুক্তি করে। যে পরিমাণ পেঁয়াজ এসেছে তার মধ্যে মাত্র ৩ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১৫ হাজার মেট্রিক টন মুম্বাই জেএনপিটি বন্দরে পড়ে রয়েছে। বেশিরভাগ রাজ্য তাদের আর পেঁয়াজ দরকার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য যে চাহিদা দিয়েছিল কেন্দ্রকে তাও তুলে নিয়েছে। মহারাষ্ট্র ১০ হাজার মেট্রিক টন, আসাম ৩ হাজার, হরিয়ানা ৩ হাজার ৪৮০, কর্নাটক ২৫০ এবং উড়িষা ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদা তুলে নিয়েছে।  

গত বছরের শেষ দু মাসে ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতের বাজারে এই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রতিকেজি ১০০ রুপি ছাড়িয়ে যায়। এ অবস্থা সামলাতেই পেঁয়াজ আমদানি করে কেন্দ্রীয় সরকার। 

সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, তবে ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই সভাতেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইতোমধ্যে চাইনিজ পেঁয়াজ আমদানি করেছে বাংলাদেশ। কাজেই ভারতের এই প্রস্তাবনায় বিনামূল্য পরিবহনের মতো বিশেষ সুবিধা থাকা প্রয়োজন।

অর্থনীতি বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর