ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
২৯৭

ইরান সামরিকভাবে বিপজ্জনক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:৫৯ ৬ জানুয়ারি ২০২০  

আলতাফ পারভেজ : ইরানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিপক্ষের চেয়েও বেশি কিছু। কিন্তু ইরানিরা জানে প্রথাগত যুদ্ধে এই শত্রুকে হারাতে পারবে না তারা। অস্ত্রশস্ত্রে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নগণ্যই বলতে হবে। ইরানের লক্ষ্য তাই শত্রুর সর্বোচ্চ ক্ষতি করা, জেতা নয়।
সরাসরি যুদ্ধে জিততে চাওয়া প্রতিপক্ষের চেয়ে গেরিলা ধাঁচের লড়াইয়ে কেবল শহীদ হতে চাওয়া শত্রু বেশি হুমকিস্বরূপ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইরান সে রকম। কয়েক দশক ধরে ইরান সেভাবেই যুদ্ধসম্পদ ও সমরকৌশল বিন্যস্ত করেছে। ইতিমধ্যে ইরাকের পার্লামেন্টে মার্কিন সেনাদের ইরাক থেকে বহিষ্কারের জন্য একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব এখন সরকার কার্যকর করা মানে ইরাকে সব ধরনের মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ও স্থাপনা অবৈধ হয়ে যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরাক না-ও ছাড়ে এখন, এ রকম অবৈধ নিশানায় ইরাকিদের যেকোনো প্রতিরোধ তখন আইনি বৈধতা পেয়ে যাবে। অর্থাৎ গেরিলা আক্রমণের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে যাওয়া।

কেবল বন্ধুদেশ সিরিয়াকে রক্ষার যুদ্ধে ইরানের আড়াই হাজার যোদ্ধা প্রাণ দিয়েছেন গত নয় বছরে, যাঁদের মধ্যে আছেন তাদের শ্রেষ্ঠ জেনারেলদের অন্তত ১০ জন। আহতের সংখ্যা এর প্রায় পাঁচ গুণ। দেশের বাইরে যুদ্ধের বহু ময়দানে এভাবে ইরান তার সেরা জনবল ব্যয় করে যাচ্ছে রাজনৈতিক ও আদর্শিক স্বার্থে।

দেশ, ধর্ম ও রাজনৈতিক বিশ্বাসের জন্য আত্মত্যাগ ইরানি সংস্কৃতির বড় স্তম্ভ। এই সংস্কৃতির ওপরই দাঁড়িয়ে আছে তাদের যোদ্ধামন। প্রথাগত সমরবিদদের জন্য তাই ইরান দুর্বোধ্য। আবার অপ্রথাগত যুদ্ধবিদ্যার জন্য ইরান বিস্ময়কর। জেনারেল সোলাইমানি ছিলেন ওই বিস্ময়ের বড় এক ভরকেন্দ্র। সে কারণে ইরানের তরফ থেকে তাঁর মৃত্যু-পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই বিশ্বজুড়ে।

সোলাইমানির মৃত্যুর আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত। ইরানের সামরিক সামর্থ্যের আন্তর্জাতিক প্রধান তিনি। দেশের বাইরে ইরানের তাবৎ অপারেশন তাঁর মাধ্যমেই হয়েছে। সুলাইমানি নিজে ময়দানে দাঁড়িয়ে সব যুদ্ধে শরিক ছিলেন। ফলে এই জেনারেলকে হারানো ইরানের কাছে বিস্ময়কর ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রকেও এই খুনের জন্য বাড়তি কৈফিয়ত দেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু ৩ জানুয়ারি পরিস্থিতিতে গুণগত পরিবর্তন ঘটিয়েছে। ইরানকে এখন বড় আকারে বদলা নিতে হবে। এটা প্রায় নিশ্চিত, সেই বদলা হবে অপ্রচলিত পথে। মোটেই তাৎক্ষণিক হবে না সেটা। নিশ্চিতভাবে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান ছায়াযুদ্ধের তীব্রতা নতুন মাত্রায় যাবে আগামী দিনে। তার উত্তাপ ছড়াবে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে মধ্য এশিয়া ও আফ্রিকা পর্যন্ত।

ইরানিরা মনে করে, সোলাইমানি দেশ ও ধর্মের জন্য ‘শহীদ’। সে কারণেই সোলাইমানির জন্যও বহু ইরানি রক্ত দিতে তৈরি। যাঁদের সামরিক প্রশিক্ষণ রয়েছে, একই সঙ্গে ফেদাইন (যে খোদার জন্য জীবন দেয়) ও মুজাহিদীন (যে জিহাদে অংশ নেয়) মনস্তত্ত্ব।

এটাই ইরানের সামরিক সংস্কৃতি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আসন্ন পরিস্থিতি সুখকর নয়। ওয়াশিংটনে এ মুহূর্তে যা উৎসবের মতো, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়ায় তার মিত্রদের জন্য সেটা দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে উঠতে পারে। জীবিত অবস্থার চেয়ে মৃত সোলাইমানি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অধিক ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারেন। এত দিন সিআইএ তাঁর গতিবিধির ওপর নজর রেখে ইরানের বৈশ্বিক পদক্ষেপগুলো বোঝার চেষ্টা করেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানি অন্তর্ঘাত মোকাবিলায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বহুগুণ। যুক্তরাষ্ট্র জানে, ইরান যুদ্ধে লিপ্ত হবে কিন্তু যুদ্ধ ঘোষণা করবে না।

সোলাইমানি ছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী খামেনির ডানহাত। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের আঘাত লেগেছে আলীÑখামেনির গায়েও। স্বভাবত যেসব অঞ্চলে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান ছায়াযুদ্ধ চলছেÑযেমন ইরাক, লেবানন ও ইয়েমেনে—এই খুনের প্রতিক্রিয়া হবে সর্বাগ্রে।

ইরানের সামরিক কৌশল বিস্ময়ে ভরা
সামরিক বিবেচনায় ইরান ব্যতিক্রমী দেশ। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও সৌদি আরব সামরিক প্রতিপক্ষ হলেও ইরান সরাসরি এই তিন শক্তির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধে অংশ নেয়নি কখনোই। অথচ এই তিন প্রতিপক্ষকে সামনে রেখেই ইরান গত ৪০ বছর সামরিক সামর্থ্য বাড়িয়েছে নানান অনানুষ্ঠানিক পথে।

অন্য সব দেশের মতোই ইরানের প্রথাগত সেনাবাহিনী রয়েছে, যাকে সেখানে ‘আরথেশ’ বলা হয়। আবার ‘আইআরজিসি’ নামে রেভল্যুশনারি গার্ডের মতো অপ্রথাগত বাহিনীও আছে।

আইআরজিসির গঠনও অদ্ভুত ধাঁচের। এর কয়েক ধরনের শাখা আছে। এইরূপ এক শাখা হলো ‘কুদস ফোর্স’, যার প্রধান ছিলেন সোলাইমানি। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পুরো সামরিক কাঠামোর একটি উপশাখার প্রধানকে কেবল হত্যা করেছে।

ইরানের সামরিক সামর্থ্যের সবচেয়ে মনযোগ-আকর্ষণী দিক হলো দূরপাল্লার মিসাইল ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও নৌযুদ্ধে তার সফলতা। মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মিসাইল-ভান্ডার এখন তার। ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের পর থেকেই ইরান মিসাইলভিত্তিক আকাশযুদ্ধে জ্ঞানগত বিনিয়োগ বাড়ায়। পাশাপাশি প্রতিরক্ষাচিন্তাকে দেশের গণ্ডির বাইরে ছড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন দেশে তারা বন্ধু সংগঠনের বিকাশ ঘটাতে শুরু করে। এ ক্ষেত্রে ধর্মবিশ্বাসকেও ভালোভাবে ব্যবহার করেছে তারা।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অতি পবিত্র স্থানগুলোর মধ্যে মক্কা, মদিনা, জেরুজালেম কিংবা কারবালা কোনোটিই ইরানে নয়। অথচ নিজেদের সমরচর্চা ও সৈনিকতায় সাফল্যের সঙ্গে ধর্মীয় আবেগকে মিলিয়েছে তারা। একই আবেগ ব্যবহার করেই বহু দেশের তরুণদের যোদ্ধা হিসেবে কাছে পেয়েছে। এদের নিয়েই সিরিয়া ও ইরাকে যুদ্ধ করছে ইরান। আন্তর্দেশীয় এই জনবল দিয়েই আইএসকে নিষ্ক্রিয় করেছে তারা। চলতি দশকে বিশ্বের আর কোথাও কোনো দেশের এত বড় সামরিক সফলতা নেই।

রক্তপাত বাড়বে যেসব স্থানে
ধারণা করা হচ্ছে, সোলাইমানির মৃত্যুর সবচেয়ে খারাপ প্রতিক্রিয়া হবে ইরাক ও লেবাননে। ইরাকের ‘কাত্তাইব হিজবুল্লাহ’ এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর নিশ্চিতভাবেই হামলা চালাবে নিকট ভবিষ্যতে। এই উভয় সংগঠনের যোদ্ধারা রয়েছেন সিরিয়াতেও। বাগদাদ বিমানবন্দরের আক্রমণে কাত্তাইব হিজবুল্লাহর প্রতিষ্ঠাতা আল-মুহান্দিসও মারা গেছেন। ইরাকের পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার তিনি। সংগঠনটি ইরাকজুড়ে অত্যন্ত প্রভাবশালী। ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসকে নিষ্ক্রিয় করার কাজে উল্লিখিত তিনটি সংগঠনই যৌথভাবে সক্রিয় ছিল। এখন আইএসের বিচ্ছিন্ন দলগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপনাকে আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে চাইবে এরা। ইতিমধ্যে বাগদাদে ‘গ্রিনজোন’ নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সন্নিহিত এলাকায় রকেট পড়েছে। একই সময় ইরাকের পার্লামেন্ট তাদের দেশ থেকে বিদেশি সৈনিকদের চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে আরজি জানিয়েছে। প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা মুকতাদা সদর যুক্তরাষ্ট্রের বাগদাদ দূতাবাস বন্ধের দাবি তুলেছেন।

শিয়া মতাদর্শের এ রকম প্রতিক্রিয়া সামলাতে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব অপ্রচলিত বিকল্প আছে তার মধ্যে একটা হলো পাকিস্তান ও ইরাক সীমান্তে ইরানের শাসকদের বিরুদ্ধে গেরিলা তৎপরতায় লিপ্ত সুন্নি গ্রুপগুলোকে বড় আকারে সামরিক সহায়তা দেওয়া। সৌদি আরবের সঙ্গে এসব গ্রুপের সখ্য আছে।

এভাবে ছায়াযুদ্ধ যত ধর্মতাত্ত্বিক রূপ নেবে, তত তার বলি হবে আফগানিস্তানসহ মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়া। এমনকি উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার ফরাসিভাষী ‘মাগরিব’ অঞ্চলেও (আলজেরিয়া, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, মরক্কো ও তিউনেসিয়া) ইরান বন্ধুপ্রতিম সংগঠন গড়তে অনেক বিনিয়োগ করেছে। কেবল ‘শিয়াবাদী’দের নয়, যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্থানীয় জাতীয়তাবাদীদেরও সেসব জায়গায় ইরান কাছে টানতে পেরেছে। এখন সবার কাছেই প্রতিদান চাইবে তেহরান।

কান্না মুছেই শত্রুর পিছু নেবে ইরান
ট্রাম্প সম্পর্কে দুনিয়ায় ভালো কোনো মন্তব্য খুঁজে পাওয়া ভার। কিন্তু এটাও সত্য, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আগের কয়েকজনের চেয়ে কমই যুদ্ধবাদী। গত চার বছরে বোধ হয় সোলাইমানিকে খুনের সিদ্ধান্তই ট্রাম্পের বড় সামরিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু এটা না নিয়ে তাঁর উপায় ছিল না। সেটা কেবল আরেক দফা প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্যই নয়, মধ্যপ্রাচ্যে কোণঠাসা অবস্থায় হাল না ছাড়ার ইঙ্গিত দিতেও।

ইরানের সামরিক শক্তির বড় অংশ এ মুহূর্তে কাজ করছে তার সীমান্তের বাইরে। কেবল ইরানে বোমা ফেলে ওই শক্তির বড় ধরনের ক্ষতি করা কঠিন। ইরান দেশভিত্তিক প্রতিরক্ষা ধারণাকে পাল্টে দিয়েছে। আক্রমণ বলতেও তারা প্রতিপক্ষ দেশে বোমা ফেলা বোঝায় না। বরং তৃতীয় স্থানে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে প্রতিপক্ষের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করাকে বোঝাচ্ছে। সিরিয়া ও ইরাকে তাদের শত শত সৈনিকের ‘শহীদ’ হওয়াকে তারা দেখে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ। এ রকম অভিনব কৌশল ভূ-রাজনীতিতে সৌদি আরব ও ইসরায়েলকে বেশ বিপদে ফেলেছে। শেষ বিচারে যা মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রকেও দুর্বল করে।

ইরানকে কিছুটা শ্লথ না করে পেন্টাগনের জন্য তাই উপায় ছিল না। অর্থনৈতিক অবরোধের মাঝেও ইরানকে মোকাবিলায় সৌদি নেতৃত্ব ইতিমধ্যে অসমর্থ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে। লেবাননের হিজবুল্লাহ, গাজার ইসলামিক জিহাদ, ইরাকে কাত্তিব হিজবুল্লাহ এবং সিরিয়ায় কুদস ফোর্সকে দিয়ে ইসরায়েলকেও অনেকটা ঘেরাও করে ফেলছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র এসব থামাতে পারছে না। কেবল সৌদি আরব ও ইসরায়েলই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্রের জন্যও উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ ঘটে এসবে। ইরানসংলগ্ন হরমুজ প্রণালি দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল কঠিন হয়ে উঠছিল ইরানিদের ‘মাইন সন্ত্রাস’-এর হুমকির মুখে। প্রথাগত বিমানবাহিনীর আকার না বাড়িয়ে ইরান যেভাবে মিসাইল সংখ্যা বাড়িয়েছে, জলপথেও দেশটি নৌযানের সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে মাইন বসিয়ে পারস্য উপসাগর এবং ওমান উপসাগর প্রতিপক্ষদের জন্য দুরূহ করে তুলতে চাইছে।

এ রকম পরিস্থিতির দায় হিসেবেই ‘পুরোনো টার্গেট’ হিসেবে সোলাইমানিকে খুন করে ট্রাম্প তাঁর ভূ-রাজনৈতিক মিত্রদের কিছুটা সময়ের জন্য মনোবল বাড়াতে চেষ্টা করলেন মাত্র।

সোলাইমানির মৃত্যুর পর ইরান থেকে যেসব আলোকচিত্র আসছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সামরিক জেনারেলরাও কাঁদছেন। বিশ্বের অন্যত্র কান্না যেভাবে দুর্বলতার স্মারক, ইরানের সংস্কৃতিতে সে রকম নয়। শিয়াবাদে এই ‘মাতম’-এর ভিন্ন অর্থ আছে। এটা সেখানে এক ধরনের আদর্শিক প্রতীক, যা আত্মত্যাগের শপথও বটে। বিশ্ব এই কান্না দেখে ইরান সম্পর্কে ভুল অনুমান করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সেটা করার সুযোগ নেই।

আলতাফ পারভেজ : গবেষক

মুক্তমত বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর