ও আলোর পথযাত্রী, এখানে থেমো না
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ০৩:৪৪ ২৭ মার্চ ২০২৫
১.মুক্তি পেলেন সনজীদা খাতুন। জাগতিক সকল মায়ার বন্ধন ছিন্ন করে অনন্ত নক্ষত্র বীথিতে ঠাঁই করে নিলেন। বাঙালির প্রত্যাশা সেখান থেকে তিনি আলোর পথযাত্রীদের সঠিক কম্পাসে আলোকিত পথ দেখাবেন।
২.আজন্ম বৈরী বাতাসে লড়েছেন। তাঁর বহুমাত্রিক সকল পরিচয় ছাপিয়ে ভাষাসৈনিক আর মুক্তিযোদ্ধা এই দুই পরিচিতিই তাঁকে আমাদের আত্মার আত্মীয় করেছে। তাঁর মাতৃরুপিনী স্নেহার্দ ছায়ায় আর বিপুলপ্লাবী সাংগঠনিক দক্ষতায় সহযোদ্ধাদের নিয়ে গড়েছেন ছায়ানট। পশ্চিমাদের রক্তচক্ষুতে নিষিদ্ধ হওয়া রবীন্দ্র সংগীতকে পশ্চাৎপদতা আর অচলায়তন ভেঙে যে মুক্তধারা বইয়ে দিয়ে ছিলেন সেটি সরোষে আজও প্রবহমান। ধর্মীয় উগ্রবাদীরা রমনার বটমূলে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করলেও তাঁকে ভয় দেখানো যায়নি। বরং ছায়ানটের মায়া আর ছায়ায় জীবনের প্রায় শেষ দিন পর্যন্ত নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন।
৩. সময়টা ছিল অন্ধকারের যুগ। এই জনপদের গালভরা নাম ছিল পূর্ব পাকিস্থান। কিন্তু পশ্চিমা শাসকদের কূট-কৌশলের বেড়াজালে আমাদের সাংস্কৃতিক বোধের উন্নয়ন আর মুক্ত-উদার মানবিক সমাজ নির্মাণের লাল সূর্যকে পূর্ব দিগন্তে উদিত হতে না দেয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে যে সাংস্কৃতিক গণজাগরণ সৃষ্টি হয় তিনি ছিলেন তার অন্যতম ভ্যানগার্ড। আজ যে কিশোরেরা মাতৃক্রোড়ের স্নেহডোর ভেঙে অথবা যেসব নারী অন্তঃপুরের আগল ভেঙে দেশকে বুকে ধারণ করে কবিতা রচনা করে, মুষ্টিবদ্ধ উত্তোলিত দু’হাতে মিছিল করে ,মিটিংয়ে অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে আঙুল উঁচিয়ে জ্বালাময়ী শ্লোগান দেয়, বক্ষভেদী সত্য উচ্চারণ করে অনলবর্ষী ভাষণ দেয় সনজীদা খাতুন তাঁদেরই সুযোগ্য পূর্বসূরি,তাঁদেরই পথ প্রদর্শক।
৪. প্রগতিশীল পিতা মোতাহার হোসেনের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছেন সেই শিউলি শৈশবে। ধর্মীয় গোঁড়ামি আর কঠোর পর্দাপ্রথার বিরুদ্ধ বাতাসে পঞ্চাশের দশকে ঢাকা মহাবিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা অর্জন তাঁকে সেই প্রজন্মের সামনে "বেগম রোকেয়া" হিসেবে বাতিঘরের মতো আলো ছড়িয়েছেন। বহুমুখী কর্মযজ্ঞে সবামী ওয়াহিদুল হক, সন্তান পার্থ তানভীর নভেদসহ পুরো পরিবার সমভাবে জড়িয়ে পড়েন। অর্থবিত্তের প্রলোভনের অসীম ক্ষমতার বিরুদ্ধে ব্রতচারী জীবনাচার পালন করেছেন। মুকুল ফৌজ যুক্ত থেকে সেই প্রজন্মের শিশু মানসে আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে দেন। হিন্দি ,উর্দু, পশ্চিমাসহ বিজাতীয় সকল সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধ স্রোতে বাংলা নামের অবহেলিত জনপদকে নিজস্ব সংস্কৃতির প্রদীপের শিখায় জ্বলতে শেখান। বাঙালির গৌরব অতীশ দীপংকরের যুগের আলোকবর্ষী প্রতিষ্ঠান নালন্দা আর অরণির নামে জীবনমুখী শিক্ষাংগন গড়ে তোলেন।
৫. শিক্ষাগুরু সোহরাব হোসেনের কাছে সংগীতে হাতেখড়ি হয়। মৃত্যুর প্রায় কিছুদিন আগেও শিল্পী হিসেবে তাঁর কন্ঠ সরব ছিল। গুরুমুখী বিদ্যার্জনে তিনি শৈলাজারঞ্জন মজুমদার, আবদুল আহাদ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেনের মতো দেশবরেণ্য শিল্পীদের কাছ থেকে তালিম নেন।
৬. গ্রন্থ সহস্র বছরের কল্লোলকে ধারণ করে। তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টিরও অধিক। শুধু রবীন্দ্রনাথ নয় বরং কাজী নজরুল ইসলাম, সত্যেন্দ্রনাথ দত্তসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক জনের উপর তিনি গবেষণা করেন, গ্রন্থ রচনা করেন।
৭. চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষার অ,আ,ক,খ শুরু করবার বিজ্ঞানের নাম "এনাটমি"। মানুষের শব, কংকাল নিবিড়ভাবে পঠনের মাধ্যমে গড়ে উঠে আগামীদিনের এক একজন চিকিৎসক। মৃত্যুর পর নিজ শরীরটুকুও দানের মাধ্যমে নিজেকে মানুষের অগ্রযাত্রার "বাহক" হিসেবেই রেখে গেলেন এই মহীয়সী।
৮. দুর্ভাগা দেশকে মঙ্গলময় নানা ভীতি দিয়ে পরীক্ষা করেন। জিতে যাওয়া বিপ্লব হারানোর ভয়, কান্ডারী হুঁশিয়ার না হওয়ার ভয়ের সাথে সনজীদা খাতুনকে হারিয়ে যুক্ত হলো সমষ্টিরোহিত জাতির বিভান্ত-ক্লেদাক্ত পথে আরেকবার হাঁটবার ভয়। নবকুমারের কাছে কপালকুন্ডলার চিরায়িত প্রশ্ন "পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছো? "এর জবাবে উচ্চকন্ঠে বলি,"না,পথ হারাইনি। যে পথে সনজীদা হেঁটে গেছেন, যে পথে আলোর পথযাত্রীরা হেঁটে গেছেন সে পথের মঞ্জিল এখনও অনেক দূর। সে পথে আরো হাঁটতে হবে যে!"
লেখক: মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ
ক্লাসিফাইড স্পেশালিস্ট বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস।
- সাইনোসাইটিস ও পলিপ কি একই সমস্যা?
- শুভশ্রী ‘শেষ সুযোগে’ কী প্রমাণ দিতে চাইলেন?
- দাপুটে জয়ে শুরু ভারত-পাকিস্তানের, বৈভবের ছক্কার রেকর্ড
- নির্বাচন: প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারিত হবে যেভাবে
- ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন আসিফ
- ওসমান হাদীকে গুলি, হামলাকারীদের ধরতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
- গভীর গর্তে পড়া সেই শিশু জীবিত উদ্ধার
- শূন্য হওয়া তিন মন্ত্রণালয় কে পেলেন কোনটা
- জোটসঙ্গী হলেও নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে
- শুক্রবার ভারতে আসছেন মেসি, যা থাকছে আয়োজনে
- ব্লাউজের সঙ্গে জিন্স, জয়া লিখলেন ‘ডোন্ট বি এন অ্যাপল’
- ভাপা পিঠা কখন খাওয়া ভালো?
- ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট
- মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
- নির্বাচনের প্রস্তুতিতে রাষ্ট্রপতির সন্তোষ, সহযোগিতার আশ্বাস
- ছাড়ে আইফোন কেনার আগে যে ৮ বিষয় দেখা দরকার
- আবারো এমভিপি এ্যাওয়ার্ড জিতলেন মেসি
- কেমন আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, জানালেন সোনিয়া
- পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফ
- ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইলের শাড়ি বুননশিল্প
- ৮ ঘণ্টা ঘুম কতটা দরকারি?
- ২০২৫: আলোচিত ৮ সিনেমা
- উইকেটরক্ষক থেকে যেভাবে ‘ভয়ংকর’ পেসার হলেন স্টার্ক
- এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি: মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
- আবু সাঈদ হত্যা: ‘নতুন সেইফ হাউজের’ তথ্য দিলেন হাসনাত
- ইচ্ছাকৃতভাবেই ‘অবৈধ বোলিং অ্যাকশন’ করেছিলেন সাকিব
- বিয়ের কথা জানালেন কেয়া পায়েল
- জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চাওয়া রিট খারিজ
- ‘শিগগিরই’ হানা দেবে শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’
- শীতকালে শরীরে ব্যথা বাড়ে কেন?
- আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে: সালাহ
- শীতকালে শরীরে ব্যথা বাড়ে কেন?
- ‘শিগগিরই’ হানা দেবে শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’
- কেন বাড়ি এসে কাঁদতেন আমির খান?
- জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে বিশাল নিয়োগ
- ফেসবুকে কত ফলোয়ার থাকলে কত টাকা পাবেন?
- বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
- ৮ ঘণ্টা ঘুম কতটা দরকারি?
- আফ্রিদির সঙ্গে প্রেম, আফগান ক্রিকেটারকে বিয়ে করছেন সেই নায়িকা
- কাশির ওষুধ নাকি লেবু-মধু বেশি কার্যকর?
- ভাত বেশি সেদ্ধ হয়ে গেছে? ঝরঝরে করবেন যেভাবে
- বিয়ের কথা জানালেন কেয়া পায়েল
- ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইলের শাড়ি বুননশিল্প
- ছাড়ে আইফোন কেনার আগে যে ৮ বিষয় দেখা দরকার
- মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
- ২০২৫: আলোচিত ৮ সিনেমা
- গভীর গর্তে পড়া সেই শিশু জীবিত উদ্ধার
- এমবাপ্পে-হালান্ডের লড়াই দেখতে মুখিয়ে দেশ্যম
- হাসিনা-কাদের-কামালসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
- ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ প্রবাসী ভোটারের নিবন্ধন সম্পন্ন

