ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
২৪৬

করোনা থেকে কীভাবে বাঁচাবেন বাচ্চাকে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৫৩ ১৩ মে ২০২১  

আগেরবারের চেয়ে এবার বেশি সংক্রামক করোনা। ভারতে গতবারের চেয়ে এ বছর শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তদের বয়স ৫-এর নীচে, একমাসের শিশুও আক্রান্ত হচ্ছে রোগে। কীভাবে ছোট বাচ্চাকে নিরাপদে রাখবেন, সেই বিষয়ে পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ সুমন পোদ্দার।


শিশু করোনাক্রান্ত হয়েছে কি না কীভাবে বুঝবেন?
চিকিৎসকের কথায়, 'লক্ষণগুলোর মধ্যে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুসকুড়ি, পেট, তলপেটে সমস্যা, দুর্বলতা, জ্বর, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা বৃদ্ধি ও শুকনো কাশি প্রাথমিক লক্ষণ। তাই বাচ্চাদের মধ্যে এমন উপসর্গ দেখলে অবিলম্বে সতর্কতা নেওয়া উচিত।' 


তারা বলছেন, গতবারও বাচ্চাদের মধ্যে করোনা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তার সিভিয়রিটি এত বেশি ছিল না। এবার শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ছে বেশি। সর্দি-কাশির তুলনায় ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হচ্ছে অধিকাংশ শিশু।


একেবারে ছোট বাচ্চাদের মধ্যেও করোনার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যাদের বয়স এক বছরের চেয়ে কম, তাদের ক্ষেত্রে এ লক্ষণগুলো দেখা যায়- যেমন, ত্বকে বিভিন্ন বিভিন্ন প্যাচ, জ্বর, ক্ষিদে কমে যাওয়া, শরীরে জ্বালাভাব, বমি করা, ঠোঁট এবং ত্বক ফুলে যাওয়া ও ফোসকা।


কী করবেন?
মা-বাবা মারফতই ছোটদের সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই মা-বাবাকে মাস্ক পরে থাকতে হবে। প্রাথমিক লক্ষণ থাকলে বাচ্চাকে বাকিদের থেকে আলাদা রাখতে হবে। সন্তান বড় হলে তাকে আলাদা ঘরে থাকার ব্যবস্থা করাই ভালো। সন্তান যদি বয়সে ছোট হয়, তাকে তার মতো করে বিষয়টা বোঝাতে হবে।


সন্তান ব্রেস্টফিড করলে মাকে এবং কেয়ারগিভারকে মাস্ক পরতে হবে। বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা আপাতত বন্ধ থাক। বরং ঘরে বসেই যেসব খেলা যায় সেগুলো করতে উৎসাহ দিন। চোখ, নাক, মুখ রগরানো থেকে আটকান। কিছুসময় বাদে বাদে হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজ করাও অভ্যাস করান। কাশি কিংবা হাঁচির সময় নাক-মুখ ঢাকতে বলবেন।


ঘরে হাইজিন মেনে চলা জরুরি
ঘর সবসময় জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন দরজার বেল, টেবিল, চেয়ার সবসময় স্যানিটাইজ করুন। জুতো ঘরের বাইরেই রাখুন। ঢাকনা দেওয়া ডাস্টবিন ব্যবহার করুন।


করোনাক্রান্ত হলেও কী ধরনের সুষম খাদ্য দিতে হবে?
সংক্রমণের সময় এমনিতেই মুখের স্বাদ চলে যায়। নতুন কোনও খাবার না দেওয়াই ভালো, প্রতিদিন যা খায় তার সঙ্গে মাছ মাংস সবজি দেওয়া যেতে পারে। কমলালেবু বা মুসাম্বি লেবুর রস দেওয়া যেতে পারে। তবে সেই সময় আলাদা করে ভিটামিন দেওয়ার দরকার নেই।
 

করোনাভাইরাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর