ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫০১

করোনা : দৈনন্দিন জীবনে ৭ কাজের বিভ্রান্তির উত্তর

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:২০ ৩ এপ্রিল ২০২০  

মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ : 

 

১.  পানি ফুটিয়ে খেলে কি করোনা থেকে দূরে থাকা সম্ভব?


>  এটি একটি ভাইরাসঘটিত রোগ যা পানি দ্বারা সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। তাই পানি ফুটিয়ে পান করার সাথে এই রোগ সংক্রমণের কোন আশংকাই নেই।

 

২. দরজা জানালা বন্ধ রেখে কি এই রোগের সংক্রমণ বন্ধ করা সম্ভব?


>  করোনা ভাইরাস কেবল আক্রান্ত রোগীর সরাসরি স্পর্শে অথবা তার ছোঁয়া লাগা বস্তুর ছোঁয়া থেকে সুস্থ মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। তাই দরজা জানালা বন্ধ রাখার সাথে এই রোগের সংক্রমণের সাথে কোনই সম্পর্ক নেই।

 

৩. ডিসপোজাল মাস্ক কতবার ব্যবহার করা যায়?


>  ডিসপোজেবল মাস্ক কেবল একবারই ব্যবহার করা উচিৎ। ব্যবহার শেষে মূল মাস্কে হাত না দিয়ে ফিতা দিয়ে নাকমুখ থেকে খুলে বাড়ির নিকটস্থ কোন ডাস্টবিনে ফেলা উত্তম।

 

৪. একাধিকবার ব্যবহার করা যায় এমন মাস্ক ব্যবহারে কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ?


>   একাধিকবার ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাস্কটি সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকানো উত্তম। সাবান এবং সূর্যের আলোর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি দুইই জীবানুগুলিকে মারতে পারে।

 

৫. করোনা ঠেকাতে খাবারের কোন বাছ বিচার আছে?


>  এমন কোন খাদ্যই নেই যার কোন উপাদান করোনা রোগের সৃষ্টি করতে পারে। তাই ভাত ডাল মাছ মাংশসহ দৈনন্দিনের খাবার গ্রহণে আদৌ কোন বাছ বিচারের দরকার নেই।

 

৬. অন্যের ব্যবহৃত জামা কাপড় পরলে এই রোগের কি সংক্রমণ হতে পারে?


>  সংক্রমিত রোগীর জামা কাপড় পরলে এ রোগ হতে পারে। পরিচিত বা অপরিচিত জন লক্ষণবিহীন(asymptomatic) করোনা জীবাণু বহন করতে পারে।তাদের ব্যবহৃত কাপড় পরে তাতে হাত লেগে গেলে সেই হাত দিয়ে চোখ, নাক, মুখে লাগলে এ রোগ সংক্রমিত হতে পারে। উল্লেখ্য করোনা জীবাণু শুধুমাত্র নাসারন্ধ্র, মুখ এবং চোখ দিয়ে প্রবেশ করতে পারে।

 

৭. টাকা পয়সার স্পর্শ থেকে কি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে?

 

>  টাকা পয়সা সহজেই একব্যক্তি থেকে অন্যব্যক্তির কাছে যায়। টাকাবাহী পরিচিত বা অপরিচিত লোক আক্রান্ত থাকলে তাদের স্পর্শের টাকা থেকে এ রোগের সংক্রমণ হতে পারে। তাই টাকাপয়সা নাড়াচাড়ার পর সেনসেটাইজার হাতে লাগানো উচিৎ। সেটি না থাকলে পরে দ্রুততম সময়ে কনুই পর্যন্ত হাত যে কোন সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে ধুয়ে ফেলুন।
 


লেখক :  মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ
ক্লাসিফাইড স্পেশালিষ্ট ফার্মাকোলজি,  আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ