ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৯০

গাছে নেই পর্যাপ্ত মুকুল, আমের ফলন নিয়ে শঙ্কা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:০৬ ১৯ মার্চ ২০২৪  

বৈরি আবহাওয়ার কারণে আমের কাঙ্ক্ষিত মুকুল আসেনি চাঁপাইনবাববগঞ্জে। সময় পেরিয়ে গেলেও বাগানগুলোতে দেখা মিলছে না শতভাগ মুকুলের। জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবে আমের উৎপাদন আশানুরুপ হবে কিনা, তাই নিয়ে শঙ্কায় আছেন বাগান মালিক ও চাষিরা। তবে হতাশ না হয়ে ঠিকঠাক পরিচর্যার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।

 

দেরিতে হলেও সোনালি মুকুলে সেজেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগান। চাষিদের দাবি, শীতের তীব্রতায় এবার গাছে শতভাগ মুকুল আসেনি। সঙ্গে আছে খরা আর অতিবৃষ্টির শঙ্কা। তাই তো ভালো ফলন পেতে নিবিড় পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।

 

এক চাষি বলেন, এখন যদি পানি না দিই, তাহলে যে কুয়াশা পড়ছে; তাতে মুকুল নষ্ট হয়ে যাবে। আরেক চাষি বলেন, রাতের বেলা অনেক ঠাণ্ডা থাকে। সকালে কুয়াশা পড়ে। আবার দুপুরে প্রচণ্ড গরম। সবমিলিয়ে বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব পড়ছে। ফলে মুকুল টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

 

গেল কয়েক বছর ধরেই আবহাওয়া বৈরিতার শিকার হচ্ছে জেলার আম শিল্প। তাই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের দাবি আম উদ্যোক্তাদের।

 

এক উদ্যোক্তা বলেন, মান নিয়ন্ত্রণ না হওয়ার কারণে প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ বেড়ে যায় প্রতিবছর। ঘন ঘন বিষ প্রয়োগ করছি। তবু তবু পোকা দমন হচ্ছে না। এতে আম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলের রঙ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

 

আরেক উদ্যোক্তা বলেন, কী পরিচর্যা নিতে হবে, কোন জাত চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে, এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের গবেষণা করতে হবে। সেই সঙ্গে আমরা যারা মাঠপর্যায়ে আছি, তাদের কাছে সেসব তথ্য সরবরাহ করতে হবে। তাহলে হয়তো চাষিরা লাভবান হবে।  

 

তবে চাষিদের মাঝে নানা শঙ্কা থাকলেও ফলন নিয়ে আশাবাদী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিজ্ঞানী ও কৃষি কর্মকর্তারা আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। তিনি বলেন, যেসব গাছে আগাম মুকুল এসেছে, সেগুলোতে আর স্প্রে করা যাবে না। কারণ, সেগুলো ফুটে গেছে। এখন স্প্রে করলে ফল ঝরে যেতে পারে।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. পলাশ সরকার বলেন, আমাদের আম নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে। কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ে। ফলে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এবার সেগুলো কম হলে ভালো ফলনের আশা করতে পারি।

 

এবার জেলার প্রায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে নানা জাতের আম। আর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে চার লাখ টন।