ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৩৪

তারা সন্ত্রাসী হয় যে কারণে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:৪৫ ১১ অক্টোবর ২০১৯  

আহমদ সফিউদ্দিন :

১. অস্বচ্ছলদের জন্য স্টাইফেন্ড আর মেধাবীদের জন্য স্কলারশিপ। এই টাকাতেই পড়ার খরচ চলে যেতো প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা বিত্তহীন বা নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীদের। স্বাধীন দেশে গেল ৫০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব খাতে বাজেট ১০০ গুণ বাড়লেও বাড়েনি ছাত্রকল্যাণ বাজেট। টিউশনির সুযোগ সবার হয়না। জায়গীর প্রথাও উঠে গেছে। তাই শক্তি প্রদর্শনজনিত সুযোগই ভরসা। আইনী সংস্থা এবং বিশ্ব কর্তৃপক্ষের প্রশ্রয়ে ক্ষমতা প্রদর্শন ও প্রয়োগ করে উভয়কে সন্তুষ্ট রাখার পাশাপাশি অর্থের সাশ্রয়ও হয়ে যায়। এমনকি বিরোধী শক্তি পক্ষও মোটা অথবা ছিটেফোঁটা ভাগ পায়।

 

২. স্বল্প খরচে হলে না থাকতে পারলে পড়াশোনাই হবেনা। নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন দলের প্রেমে পড়ার চেয়ে সহজ উপায় আর আছে কি? আগে যে দলই করুক বা না করুক তাতে যায় আসে না। অতএব বড় ভাইদের হুকুম তামিল করাই কাজ। হল কর্তৃপক্ষ আছে। তবে বেতন ভাতা ঠিকাদারি সুবিধার দিকে নজর বেশি।

 

৩. দেশে থাকে গরিব পরিবার। বাবা মা ও ছোট ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচও পাঠাতে হয়। অতএব এক অাধটু ভাড়াটিয়া কিংবা চাঁদাবাজ হয়ে টাকা রোজকার মন্দ কী? বঙ্গবন্ধুর সময়ে ছাত্রদের জন্য "কাজ করে খাও" প্রকল্প হয়েছিল। বিদেশে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের খন্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে৷ অবাক কাণ্ড, এদেশে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের ধান্ধাবাজিতেই ব্যস্ত। বঙ্গবন্ধুর নাম জপ করে তাঁর নীতি থেকে বিচ্যুত।

 

৪. পাশ করলেই চাকরির নিশ্চয়তা আছে কি? যত মেধাই থাকুক? অতএব গায়ে সিলমোহর লাগানো চাই। ভালো ছাত্ররাও তাই জিম্মি হতে পারে। হুকুমের দাস। দাসত্বেরও প্রতিযোগিতা হয়। তা প্রমাণ করতে নির্মম হতে হয়। তারপর পুরস্কার, আসামী অথবা হুকুমের আসামী।

 

৫. হাজার হাজার কোটি টাকার ‘তথাকথিত’ উন্নয়ন প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে তেমন ছিলনা। বরাদ্দ যত বাড়ছে, সন্ত্রাস তত বাড়ছে। কর্তৃপক্ষ জড়িয়ে পড়ছে দূর্নীতিতে। নিজেদের রক্ষা করতে ছাত্রদের হাত করতে তাদেরকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী বানাচ্ছে বললে ভুল হবে কি?
 

মুক্তমত বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর