ঢাকা, ০৮ মে বুধবার, ২০২৪ || ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৫৪

দিনের ব্যবধানে ভেঙে গেলো ইতিহাসের ‘সবচেয়ে গরম’ দিনের রেকর্ড

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:৪২ ৬ জুলাই ২০২৩  

যন্ত্রপাতির মাধ্যমে তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তাপমাত্রা মনিটরিং শুরুর পর— গত সোমবার (৩ জুলাই) ইতিহাসে সবচেয়ে ‘গরম দিন’ দেখে বিশ্ব। এদিন বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়।

 

তবে ‘সবচেয়ে গরম’ দিনের এই রেকর্ড ভেঙে গেছে মাত্র একদিনের ব্যবধানেই। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিশ্বের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। এদিন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। যা আগের দিনের তুলনায় ০ দশমিক ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

 

যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল প্রেডিকশন (এনসিইপি) এ তথ্য জানিয়েছে।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অস্বাভাবিক তাপমাত্রা সামনে আরও দেখা যাবে। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তামপাত্রার যে নতুন বিশ্বরেকর্ড হয়েছে, সেটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আবারও ভেঙে যেতে পারে।

 

সোমবারের আগে বিশ্বে সবচেয়ে গরম দিনের রেকর্ডটি হয়েছিল— ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে। সে বছর একদিন বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৯২ সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। এর প্রায় সাত বছর পর আবারও অসহনীয় গরম পড়তে দেখা যাচ্ছে।

 

মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা নিশ্চিত করেছে, আবহাওয়ার অস্বাভাবিক অবস্থা এল নিনো আবারও ফিরে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা দিয়েছেন, মনুষ্যকারণে বৃদ্ধি পাওয়া বৈশ্বিক তাপমাত্রা ও এল নিনোর সংমিশ্রণে বিশ্বে সামনে আরও অসহনীয় উষ্ণ দিন দেখা যেতে পারে।

 

লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের জলবায়ু বিজ্ঞানের প্রভাষক ডক্টর পাওলো সিপ্পি বলেছেন, ‘এল নিনো এখনো সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়নি এবং উত্তর হ্যাম্পশায়ারে পূর্ণ গ্রীষ্মকাল চলছে। যদি সামনের দিনে আবারও রেকর্ড ভেঙে যায় তাহলে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।’

 

জার্মানির লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় বিকিরণের গবেষক ডক্টর কার্স্টেন হোস্টেন, ‘সামনের দিনগুলোতে হয়ত তাপমাত্রা কিছুটা কমবে, কিন্তু যেহেতু বিশ্বে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে জুলাইয়ের শেষে, ফলে গতকালের চেয়ে সামনে আরও বেশি উষ্ণ দিন দেখা যেতে পারে।’

 

তিনি আরও বলেছেন, ‘সম্ভাবনা আছে, জুলাই ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ হবে…. সঙ্গে সর্বকালের সবচেয়ে উষ্ণ মাস হবে, ‘সর্বকাল’ বলতে এমিয়ান যুগ থেকে, যা ১২ হাজার বছর আগে ছিল।’

পরিবেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর