ঢাকা, ০২ মে বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬১৯

নতুন চাকরি পেলে বসকে জানাবেন যেভাবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:৫৭ ৭ অক্টোবর ২০২১  

দীর্ঘদিন ধরেই একটি চাকরি করছেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক। এরমধ্যেই নতুন চাকরির সুযোগ এলো। বেতন-ভাতা ও সুযোগ সুবিধা এখনকার চেয়ে বেশ ভালো। আপনিও খুশিতে গদগদ। কিন্তু বিপত্তি বাধঁলো অন্য জায়গায়। চাকরি ছাড়ার বিষয়টি বসকে জানাবেন কীভাবে? ভেবেই কপালে চিন্তার ভাঁজ!

 

খোলাসা করেই বলা যাক। স্বাভাবিক ভাবেই চাকরি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ বেশ জটিল একটি প্রক্রিয়া। বিশেষ করে এ নিয়ে বসের সঙ্গে আলাপ করা আরও জটিল। যদিও নিজের ক্যারিয়ারের কথা ভেবে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত, আপনাকেই গ্রহণ করতে হবে।

 

এ এক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখতে পারেন বেতন-ভাতার সুবিধা, কাজের উন্নত পরিবেশ ও কাজের চাপের তারতম্য।  তবে এসবের বাইরেও চাকরির ছাড়ার বিষয়টি হওয়া উচিত প্রফেশনাল ও গঠনমূলক। এতে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না। চলুন এ সম্পর্কে কিছু কার্যকরী তথ্য জেনে নিই-

 

আগে চিন্তা পরে কাজ

নতুন কোনো প্রস্তাব পাওয়া মানেই যে আপনি পুরাতন চাকরিটা ছেড়ে দিচ্ছেন বিষয়টি এমন নয়। আগে ঠিক করুন, কর্মজীবনে আপনি কি করতে চান, কাজের উদ্দেশ্য কি? দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তুলনা করুন, এরপর সিদ্ধান্ত নিন।

 

আলোচনা করুন সুবিধামতো সময়

নতুন চাকরির বিষয়ে আলোচনা করার জন্য শুরুতে একটা সময় নির্ধারণ করুন। সময়টা হতে হবে অবশ্যই বসের সুবিধা-মত। এসব কথা সামনা-সামনি বলাই ভালো। প্রয়োজনে চাকরি ছাড়ার নোটিশ অন্তত দুই সপ্তাহ আগে দিন। এই সময়ের মধ্যে হাতের কাজগুলো সম্পন্ন করুন।

 

চাকরি ছাড়ার কারণ জানানোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি চাইলে তাদের নতুন প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা নাও জানাতে পারেন। তবে কাজ করার ফলে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তার জন্য ম্যানেজারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে কখনও ভুলবেন না।

 

নেতিবাচক হওয়া যাবে না

চাকরি ছাড়ার কারণ বসকে জানাতে পারেন। সেটা হতে পারে বেশি বেতন কিংবা আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করা। তবে নতুন সুযোগ সুবিধার কথা ইতিবাচক ভঙ্গিতে বলুন। এমনকি যদি বর্তমান চাকরি ছাড়তে খুব আগ্রহী হয়ে থাকেন, তবুও বসের সামনে তা প্রকাশ করবেন না।

 

আপনার বর্তমান চাকরি সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব ও বিরক্তি-ক্ষোভ আলোচনার সময় কখনোই প্রকাশ করবেন না। এটা প্রফেশনালিজমের মধ্যে পড়ে না। 

 

নিজেকে প্রস্তুত রাখুন

বসকে নতুন চাকরির বিষয়টি জানানোর পর সে আপনাকে ধরে রাখার প্রস্তাব দিতেই পারেন। বস তখন সম্ভাব্য বেতনের কথা জিজ্ঞেস করতে পারেন। আপনাকে এর চেয়ে বেশি বেতনে নিজের কোম্পানিতে রেখে দেওয়ার কথাও বলতে পারেন। এই সময়ে চিন্তা করুন, আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য কি?

 

বেশি বেতন পাওয়াই যদি মূল উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে বসের এই অফার আপনাকে প্রলুব্ধ করবে। তবে যদি আপনি নতুন একটি পরিবেশে কাজের অভিজ্ঞতা চান, তখন বসের এই প্রস্তাবকে এড়িয়ে যান।

 

সমঝোতা করুন জেনে বুঝে

বসের কাছ থেকে পাল্টা প্রস্তাবের আশায় বসে আছেন, কিন্তু তিনি তা দিলেন না। সেক্ষেত্রে একটু ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। আলোচনার দিন নিজের বেতন, পদমর্যাদা ও চাকরির নানা দিক সম্পর্কে কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করুন এবং আপনার সত্যিকার মূল্য বোঝানোর জন্য বসকে নতুন কোম্পানির বেতনের পরিমাণ টা জানাতে পারেন।

 

সেক্ষেত্রে সেই পরিমাণ টাকা বর্তমান প্রতিষ্ঠানে দিলে আপনি সেখানে থাকতে রাজি তা জানান। উত্তর যদি আসে 'না', তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটা নিন- থাকবেন নাকি চলে যাবেন।