ঢাকা, ০৮ মে বুধবার, ২০২৪ || ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১০৯৯

প্রফিট এন্ড লস! প্রোডাক্ট ভার্সেস আউটকাম!

ডা. ফাহিমা জিন্নাত রিমি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:৫৫ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বেশিরভাগ মেয়ের ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করা হয়ে ওঠেনা অনেকগুলো কারণে। যাই হোক, তারপর তারা অন্যত্র বিয়ের জন্য রাজি হয়। তখন তাদের বিবেচ্য বিষয় - যে ছেলেকে আমি বিয়ে করছি তার কি কি আছে? ব্যাংক ব্যালেন্স কেমন, কত বড় চাকরিজীবী, লিভিং অব স্ট্যান্ডার্ড ( living of standard) কত উচ্চ, অন্য বান্ধবীদের থেকে সে কিভাবে ইউনিক, কোথায় হলিডে করতে পারবে, কোথায় শপিং করতে পারবে . . . এইসব। অর্থাৎ আমি একটা #মানি_মেকিং_মেশিন বেশি বাছাই করছি!
মেয়েরা যদি ভালোবাসার মানুষকে না পায় তার মানে সেই প্রেমিকগুলো একদিন বাবা মায়ের চাপে বিয়ে করে। কারণ তখন তারা মানি মেকিং মেশিন হয়ে গেছে। তখন তারা বিয়ে করার জন্য যা দেখে - বয়স কত কম। বয়স ঠিক আছে তো ? বন্ধুরা বলবে তো  "একটা জিনিস"। এই মেয়েরে বিয়ে করলে ভবিষ্যৎ কোন অসুবিধায় পড়লে আমার ব্যাক আপ সে পরিবার দিতে পারবে তো? বিয়ের সময় উপহার হিসেবে তারা স্বেচ্ছায় কী কী দিচ্ছে? মেয়ে আমার কথায় উঠবে - বসবে তো? আমার ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলাবে না তো? মানে #জীবন্ত_প্রোডাক্ট।!
বিয়ের সময় যদি দুটি মানুষের বা পরিবারের গোপন চিন্তা (বেশিভাগ মানুষের) এমনি হয় তাহলে ছেলেটি ওই মেয়েটার সাথে পশুর মত ব্যবহার করবে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ, ‘Deep in side’ পুরুষত্ব জয়ী হতে হবে। এটাই কি সাধারণ না?
মেয়ের ক্ষেত্রে যেটা হবে, তার কোন রকম সখ, আহ্লদ, আবদার না পূরণ হলে ছেলেকে বলবে "তোমাকে বিয়ে করাই ভুল হইছে। কেন যে বাবা মায়ের কথা শুনেছি!"
কম্প্রোমাইজ, সহানুভূতি, ভালোবাসা, মেনে নেয়া ভাবটা কম কাজ করবে, এটাই নিয়ম। আর একটা সময় পর যখন তারা হাঁপিয়ে ওঠে, তখন হয় মেনে নেয়, অথবা আলাদা হয়ে যায়।
তাই বলতে চাই - এই ধরনের খোলা চিঠি দিয়ে কি লাভ? নিউজ দিয়ে কি লাভ? যখন হিসাবটাই হলো - প্রফিট এন্ড লস! প্রোডাক্ট ভার্সেস আউটকাম! তখন এই দুঃখ এই হতাশার কোন মানে হয় না।