ঢাকা, ০৫ মে রোববার, ২০২৪ || ২২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৬৮

প্রাণখোলা হাসিতেই বাড়বে আয়ু, দূরে থাকবে রোগবালাই

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২৭ ২৫ অক্টোবর ২০২৩  

কর্মব্যস্ত জীবনে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই! আর অত্যধিক দুশ্চিন্তাই ডেকে আনে যত রোগ-ব্যধি। গুচ্ছের ওষুধ খেয়েও সুরাহা মেলে না। শরীরের হাল সেই একই রকমই থেকে যায়। তাই এ বার আর ওষুধ নয়, সুস্থভাবে বাঁচতে গেলে মন খুলে হাসুন তো! হাসির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্বাস্থ্যের রহস্য।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসি শুধুমাত্র মন ভাল রাখার বহিঃপ্রকাশ নয়, এর জোরে দৈনন্দিন জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অনেক রোগও বশে রাখা যায়। হাসিখুশি থাকলে আয়ুও বাড়ে। হাসি যে আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, তা একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। দেখে নিন, প্রাণ খুলে হাসলে শরীরের উপর কেমন প্রভাব পড়ে।

 

স্ট্রেস কমায়

ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের নানা কারণে বাড়তে থাকে স্ট্রেস ও উদ্বেগ। নিজের অজান্তেই শরীরে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায় মন খুলে হাসা। হাসি স্ট্রেস হরমোন কমায় এবং শারীরিক উত্তেজনা কমাতেও সাহায্য করে।

 

পেশি শিথিল হয়

মন খুলে হাসলে মেজাজ ভালো থাকে, পাশাপাশি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং পেশি শিথিল হয়।

 

হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ হয়

হাসলে আমাদের শরীরে তিন ধরনের হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় - ডোপামিন, এন্ডোরফিন এবং সেরোটোনিন। এগুলো হল হ্যাপি হরমোন। যার ফলে শরীর এবং মন দুই-ই ভাল থাকে। তাছাড়া, এন্ডোরফিন হরমোন শারীরিক ব্যথা-বেদনা স্বাভাবিক ভাবে দূর করতে পারে।

 

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

উচ্চ রক্তচাপ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। এর জন্য কাড়ি কাড়ি ওষুধ না খেয়ে, বরং সর্বদা প্রাণ খুলে হাসুন। তাহলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তচাপ। তাছাড়া, নিয়মিত হাসা অভ্যাস করলেই হার্ট সুস্থ থাকবে এবং হার্টের রোগও প্রতিরোধ করা যাবে।

 

আয়ু বাড়ে

গবেষকরা জানাচ্ছেন হাসি মানুষের আয়ু বাড়াতে পারে। হাসি আমাদের মনে পজিটিভ অনুভূতির সঞ্চায় ঘটায়। সামগ্রিক জীবনকালকে আরও দীর্ঘায়িত করে। মন খুলে হাসলে বিষণ্ণতা কমে। বিশ্বাস করা হয়, সুখী লোকেরা সর্বদা স্বাস্থ্যবান থাকেন এবং তাঁদের আয়ু আরও দীর্ঘ হয়।

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

হাসি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়িয়ে তুলতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে 'টি-সেল' জরুরি। নিয়মিত হাসার অভ্যাস থাকলে শরীরে 'টি-সেল'-এর পরিমাণ বেড়ে যায়।

 

কর্টিসলের মাত্রা কমে

সবসময় হাসিখুশি থাকলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ হাসলে অক্সিজেন গ্রহণ বৃদ্ধি পায়, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং কর্টিসলের মাত্রা কমায়।