ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৭১২

ফ্রান্সে মোরগের ডাক বন্ধের দাবি প্রত্যাখ্যান আদালতের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:১৩ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

মরিস নামে এক গলাবাজ মোরগের কণ্ঠরোধ করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন ফ্রান্সের এক আদালত। বিরক্ত প্রতিবেশীদের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে আদালত বলেছেন, সেটি যখন খুশি গলা ছেড়ে ডাকতে পারবে।
ফ্রান্সে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলবর্তী ওলেরন দ্বীপে নিয়মিত ছুটি কাটাতে যান অবসরপ্রাপ্ত এক দম্পতি। সম্প্রতি তারাই আদালতে ওই মোরগের ডাক থামাতে মামলা করেন। তবে তারা সফল হননি। উল্টো ক্ষতিপূরণ ও মামলা বাবদ তাদের এক হাজার ডলারের বেশি খরচ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এই মামলা ফ্রান্সে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকে নিরিবিলি গ্রামীণ পরিবেশ পছন্দ করেন। কেউ শহুরে ব্যস্ততা থেকে কিছুটা শান্তির খোঁজে গ্রামে গিয়ে সময় কাটাতে চান। তাদের সঙ্গে গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধরে রাখার পক্ষে জনসাধারণের মধ্যে কয়েক দশকের বিরোধকে সামনে এনেছে 'মরিস মোরগের' এই মামলা।
মোরগের মালিক করিন ফেস্যোঁ বলেন, মরিসের ডাক নিয়ে কেউই কখনও অভিযোগ করেননি। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, পশ্চিম ফ্রান্সে রশফোর্টের আদালতের আজকের রায়ে মরিসের বিজয় গোটা ফ্রান্সের গ্রামীণ সংস্কৃতির বিজয়।
ফ্রান্সে গ্রামবাসীদের অনেকের অভিযোগ, নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য শহরের মানুষ গ্রামে একটা বাড়ি কিনছেন। কিন্তু গ্রামে থাকার বাস্তবতা অর্থাৎ সেখানে পশুপাখি ডাকবে, পোকামাকড় ঘুরে বেড়াবে- এগুলো তারা মানতে রাজি নন।
অবসরপ্রাপ্ত ওই দম্পতির দ্বিতীয় বাড়ি করিনদের গ্রামে। তারা থাকেন তাদের পাশের বাড়িতে। করিন বলেন, মানুষকে বুঝতে হবে শহরের যেমন নিজস্ব কিছু শব্দ আছে, তেমনি গ্রামেরও নিজস্ব কিছু শব্দ আছে। 
তিনি বলেন, আমাদের এভাবে কোণঠাসা করা যাবে না। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মকে মেনে নিতে হবে। গ্রামের প্রকৃতিতে এগুলো স্বাভাবিক শব্দ। এ ধরনের শব্দ আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও আমার পেছনে রয়েছেন।
মরিসের ভোরবেলা ডাকার অধিকারকে সমর্থন করে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ এক পিটিশানে সই করেছেন।
এর আগেও গরুর ডাক বা গরুর গলার ঘন্টার আওয়াজ বন্ধ করতে ফ্রান্সের আদালতে একই ধরনের মামলা হয়েছে। কিন্তু মরিস নামে এই মোরগের ডাক বন্ধ করার মামলা নিয়ে যে পরিমাণ আবেগ দেখা গেছে তা আগে দেখা যায়নি। 
এমনকি সুদূর আমেরিকা থেকে মরিসের সমর্থনে মানুষ চিঠি লিখেছেন, পিটিশানে সই করেছেন। এছাড়া স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মরিসের সমর্থনে টি-শার্টও বিক্রি করেছে।