ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৩৬

বন্দরে আটকে নষ্ট পেঁয়াজ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:৫৪ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০  

ভারতের বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে রোববার নতুন করে আর কোনও পেঁয়াজবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢোঁকার অনুমতি দেয়া হয়নি। অপেক্ষমাণ ট্রাকে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় পাঁচটি স্থলবন্দরে প্রায় ৫শ’ পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক এক সপ্তাহ ধরে দাঁড়িয়ে আছে কাস্টমস ক্লিয়ারেনসের অপেক্ষায়। 

 

কিন্তু এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা এখন কোথায় যাবেন, কি করবেন বুঝতে পারছেন না। দু’দেশের ব্যবসায়ী মহল বলছেন, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার সিদ্ধান্ত দিলে বিকল্প কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম আমরা।

 

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ জানান, বর্তমানে যে ট্রাকগুলো বিভিন্ন বন্দরে আটকে আছে পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগের। টেন্ডার সম্পন্ন হয়েই সোমবারের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক বন্দরগুলোতে আবস্থান করে। সরকার সেদিনই রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষমাণ এ ট্রাকগুলো আইনত অবমুক্ত করা উচিৎ।

 

পেট্রাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, বিভিন্ন বন্দরে অপেক্ষমাণ ট্রাকের পেঁয়াজে ইতোমধ্যে পচন ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ট্রাকগুলো গত ৬-৭ সেপ্টেম্বর মোকাম থেকে লোড হয়ে সোমবার বন্দরে আবস্থান করে। সেই পেঁয়াজ ১৫ দিন পর্যন্ত বস্তাবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এমনিতে এটি সহজেই পচনশীল পণ্য। তাই ব্যাবসায়ীরা নিত্যপণ্যটি তারিখ হিসাব করেই লোড আনলোড করে। রোববার অফিস বন্ধ, সোমবার সরকারি আনুমোদন জারি না করা হলে পেঁয়াজ নিয়ে ব্যাবসায়ীরা সত্যিই খুব বিপাকে পড়বেন।

 

মাহাদিপুরের ক্লিয়ারিং এ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট মিঠুন ভট্রাচার্য বলেন, গত সোমবার কলকাতাসহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে রেলের ওয়াগানের মাধ্যমে ১৬৬ র‌্যাক পেয়াজ মাহাদিপুর পৌঁছে। এ চালানের সব কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্বেও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি।

 

ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক লালজি সিং বলেন, সরকার পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করতেই পারে। কিন্তু হাতে সময় দেয়া উচিৎ ছিল।

 

ঘোজা ডাঙ্গার ব্যবসায়ী ইমরান কবির বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি স্থলবন্দরে আপেক্ষমাণ শত শত টন পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শনিবার একসঙ্গে সব ট্রাকের অনুমোদন দেয়া হলে আনেকটাই শেষ রক্ষা হতো। সোমবার অনুমোদন না দিলে এত পেঁয়াজ রাজ্যের খোলা বাজারে বিক্রিরও সুযোগ নেই।

 

দু’দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সোমবার ছাড়পত্র সম্পন্ন না হলে কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকারও বেশি লোকসান গুনতে হবে আমাদের। ইমরান জানান, শুধু পশ্চিমবঙ্গের চার সীমান্তবর্তী স্থলবন্দরেই আটকে আছে প্রায় পাঁচ’শ গাড়ি। বাংলাদেশে যত পেঁয়াজ রফতানি হয় সিংহভাগই যায় পেট্রাপোল,ঘোজাডাঙ্গা, মালদার মাহাদিপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে।

 

শনিবার ৫০টি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের পরও এ মূহুর্তে ঘোজাডাঙ্গায় ১৫০, মাহাদিপুর ১৫০, পেট্রাপোলে ৮ ও হিলিতে ১৮০টি পেঁয়াজভতির্ ট্রাক এবং রানাঘাট স্টেশনে তিনটি ওয়াগনে ১৬৫টি র‌্যাক বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।

অর্থনীতি বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর