ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৭৫০

বর্ষাকালে থাকুন ফুরফুরে মেজাজে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:৫১ ২ জুলাই ২০১৯  

বর্ষাকাল বেশ মজার। তবে সতর্ক না থাকলে সময়টি বেশ ঝামেলারও। কেননা এ সময়ে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই এ ঋতুতে নির্দিষ্ট কিছু টিপস মেনে চলতে হয়। দেখে নিন এর কয়েকটি:
# বর্ষাকালে ফিল্টারের পরিশোধিত পানি ছাড়া সাধারণ পানি পান না করাই উত্তম। পরিশোধিত বা ফুটানো পানি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পান করা উচিত
# একটু বাছবিচার করে রেস্তোরাঁ কিংবা হোটেলের খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে রাস্তার পাশের খোলা হোটেলের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যতটা পারা যায় টিফিন বক্সে করে বাড়ির খাবার সঙ্গে রাখুন
# বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে ফেরার পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ভালো করে গোসল করে নিতে হবে। মাথা যদি বৃষ্টিতে ভিজে যায়, তাহলে হালকা করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নেবেন, কেননা বায়ুদূষণের কারণে বৃষ্টির পানিতে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল থাকে। এ পানি বেশ নোংরা। তাই ধুয়ে না ফেললে একাধিক চর্মরোগ হতে পারে, চুলও পড়তে পারে
# বর্ষাকালে যেকোনো ধরনের খাবারে তাড়াতাড়ি ফাংগাস ধরে যায়। তাই দুই দিনের বেশি পুরোনো ফ্রিজের খাবার খাবেন না। পাউরুটি প্রতিদিন টাটকা কিনে খাবেন। মাংস বা মাছ কাঁচা অবস্থায় দু’দিনের বেশি ফ্রিজে রাখবেন না
# বর্ষাকালে বসতবাড়ির আশেপাশে পোকামাকড় প্রভাব বিস্তার করে। তাই প্রতিদিন বাড়ি ও ঘরের দরজা-জানালা ভালো করে পরিষ্কার করুন। কেরোসিন তেল দিয়েও পোকামাকড় মেরে ফেলতে পারেন। এতে মশা-মাছিও কমবে
# বর্ষাকালে রাস্তায় জমে থাকা বৃষ্টির পানি ঠেলে বাড়িতে আসতে হয়। কিন্তু এ পানি সবচেয়ে বেশি নোংরা। তাই বাড়িতে ঢোকার আগে কোনো ট্যাপ বা টিউবওয়েলের পানি দিয়ে ভালো করে পা ধুয়ে নেবেন। এরপর পড়ে থাকা জামাকাপড় ছেড়ে ঘরের মধ্যে শুকাতে না দিয়ে ডিটারজেন্ট বা ডেটল দিয়ে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন
# বৃষ্টির সময় বাড়ির ভেতরটা স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। এজন্য দিনের বেলা যতটা পারা যায় জানালা খুলে রাখবেন। এতে সূর্যের আলো ও হাওয়া-বাতাস ঢুকে স্যাঁতসেঁতে ভাব কিছুটা দূর হবে
# সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে উন্নতমানের হারবাল টি অথবা আদা দেওয়া চা দিনে দুবার পান করতে পারেন। এছাড়া সকালে খালি পেটে মধু দিয়ে তুলসীপাতাও চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে উপকার পাওয়া যাবে
# বৃষ্টিতে ভেজা ছাতায় অনেক ধরনের নোংরা থাকে। সেটা গাছ থেকে পড়া পাতাও হতে পারে, আবার বাতাসের ধুলো-ময়লাও হতে পারে। বাড়িতে ঢুকে ডেটল পানিতে ছাতাটি ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তা না হলে ছাতার নোংরা পানি থেকে রোগজীবাণু ছড়াতে পারে।