ঢাকা, ২৫ অক্টোবর শনিবার, ২০২৫ || ১০ কার্তিক ১৪৩২
good-food

যারা আপনাকে অপছন্দ করে, তাদের সঙ্গে কেমন আচরন করবেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪০ ২৫ অক্টোবর ২০২৫  

অফিসে, বন্ধুমহলে কিংবা পরিবারের ভেতর- সব জায়গাতেই কেউ না কেউ এমন থাকেই, যাদের সঙ্গে চলাফেরা বেশ অস্বস্তিকর। কারও চোখে আপনি যতই ভালো বা নিরীহ হন না কেন, সবাই আপনাকে পছন্দ করবে- এটা সম্ভব নয়। কেউ কেউ হয়তো আপনাকে অপছন্দই করেন, আবার কেউ সরাসরি শত্রুতাও পোষণ করেন। কখনো প্রকাশ্যে ঠাট্টা করেন, কখনো পরোক্ষে কটূ মন্তব্য ছুঁড়ে দেন। এতে বিরক্তি, রাগ, হতাশা- সবই জাগে। কিন্তু সবাই আপনাকে ভালোবাসবে না, এটাই জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম।

 

এমন পরিস্থিতিতে আপনি হয়তো অন্যের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না কিন্তু নিজের প্রতিক্রিয়া অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক- যারা আপনাকে অপছন্দ করে তাদের সঙ্গে কেমনভাবে আচরণ করবেন।

 

ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না

সাধারণত কারও বিরূপ মনোভাব জন্ম নেয় তাদের নিজের জীবনের অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা বা অতীতের হতাশা থেকে। আপনি হয়তো তাদের কোনও ক্ষতি করেননি, তবু তারা আপনার উপস্থিতিতে বিরক্ত হয়। তাই তাদের অপছন্দকে নিজের ব্যর্থতা ভাববেন না। বরং মনে রাখুন, তাদের নেতিবাচকতা তাদেরই প্রতিচ্ছবি- আপনার নয়। নিজের আবেগের নিয়ন্ত্রণ রাখুন, কারণ আপনার প্রতিক্রিয়াই বলে দেবে আপনি কতটা পরিপক্ব।

আপনি হয়তো তাদের কোনও ক্ষতি করেননি, তবু তারা আপনার উপস্থিতিতে বিরক্ত। তাদের অপছন্দকে নিজের ব্যর্থতা ভাববেন না।

 

শান্ত থাকুন

কেউ খারাপ ব্যবহার করলে আমরা অনেক সময় সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিতে চাই। কিন্তু এভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো মানে হলো পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করা। বরং কিছুক্ষণের জন্য থামুন, গভীর শ্বাস নিন, ভাবুন- এই প্রতিক্রিয়া সত্যিই দরকার কি না। আপনার সংযমই আপনাকে আলাদা করে তুলবে। আপনি জানেন আপনি কেমন মানুষ- অন্যের কথায় নিজের মূল্য কমিয়ে ফেলবেন না।

 

হাসিমুখে থাকুন

হাসি অনেক সময় প্রতিরোধের সবচেয়ে শক্তিশালী উপায়। আপনি যদি হাসিমুখে, স্বাভাবিকভাবে আচরণ করেন, তাহলে অন্যের নেতিবাচকতা আপনার ওপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না। এটি অন্যকে বিভ্রান্ত করবে এবং আপনার মানসিক ভারসাম্যও বজায় রাখবে। তাই কেউ রূঢ় আচরণ করলেও নিজের সৌজন্য বজায় রাখুন। আপনার হাসিই হোক আপনার আত্মসম্মানের চিহ্ন।

 

সীমারেখা টানুন

সব সম্পর্কেই একধরনের সীমা থাকা দরকার। কেউ বারবার খারাপ ব্যবহার করলে, প্রতিবার উত্তর দেওয়া বা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে কথাবার্তা সীমিত করুন, একটু দূরে থাকুন। আপনার মানসিক শান্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই যেখানে শান্তি নেই, সেখানে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক নয়। অনেক সময় নীরবতাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া।

 

ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান

যারা আপনাকে বোঝে, সম্মান করে, ভালোবাসে, তাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটান। তাদের ইতিবাচক উপস্থিতি আপনাকে মানসিকভাবে স্থির রাখবে। সবাইকে খুশি রাখতে আপনার কাজ না, ভালো থাকার জন্য কয়েকজন সত্যিকারের সঙ্গীই যথেষ্ট।

 

ভদ্র এবং সংযত থাকুন

সবাইকে খুশি রাখা অসম্ভব। সেটা আপনার দায়িত্বও নয়। অন্যদের নেতিবাচকতা এবং ঘৃণার কারণে নিজেকে তাদের স্তরে টেনে নামাবেন না। বরং শান্ত এবং সংযত থাকুন। যদি তাদের মনোভাব পরিবর্তন না হয়, তবুও আপনি আপনার ইতিবাচকতা অক্ষুণ্ণ রেখে চলুন। যারা আপনাকে অপছন্দ করে, তাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে চলতে পারা মানে নিজেকে ছোট করা নয়, বরং নিজেকে বড় করে দেখা। আপনি যত শান্ত, সংযত ও আত্মবিশ্বাসী থাকবেন, ততই অন্যের নেতিবাচকতা- আপনার ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হবে।

লাইফস্টাইল বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর