ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর বুধবার, ২০২৫ || ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২
good-food
২৫

আবু সাঈদ হত্যা: ‘নতুন সেইফ হাউজের’ তথ্য দিলেন হাসনাত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:২৪ ৯ ডিসেম্বর ২০২৫  

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকায় নতুন ‘সেইফ হাউজের’ তথ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেলের সামনে তিনি জবানবন্দি দেন। মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ মোট ৩০ জন আসামি রয়েছেন।

জবানবন্দি চলার মাঝখানের বিরতিতে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “২০২৪ সালের ১৬ জুলাই সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন ছাত্র-জনতা। ওই দিন রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রামে ওয়াসিমকে হত্যা করে ছাত্রলীগ। একই দিন ছয় জন শিক্ষার্থী শহীদ হন। ১৭ জুলাই গায়েবানা জানাজা দিতে গেলে আমাদের ওপর চাপ দেয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেদিন রাতেই আমাদের বাসা থেকে তুলে পদ্মায় নেওয়া হয় এবং কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্নভাবে বোঝানো হয়। কিন্তু আমরা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রত্যাখ্যান করি। এক ঘণ্টা পর আমাদের সামনে দিয়েই তিনজন মন্ত্রী বের হয়ে যান, অর্থাৎ আমরা কোনো বৈঠক করিনি।”

তিনি আরও বলেন, “ওই দিন রাতেই বৈঠক করাতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের মৎস্য ভবনের সামনে সেইফ হাউজে নেওয়া হয়। মৎস্য ভবন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মধ্যে একটা ঘর আছে বাইরে থেকে পরিত্যক্ত মনে হয়। কিন্তু ভেতরে আধুনিক ব্যবস্থাপনা ছবি রয়েছে। যেটাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা এজেন্সির ভাষায় সেইফ হাউজ নামে ডাকা হয়।”


হাসনাত বলেন, “সেখানে আমাদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। চাপ প্রয়োগ করা হয়। পরিবারকে জিম্মি করা হয়। স্থানীয়ভাবে ছাত্রলীগ দিয়ে পরিবারকে হেনস্তা করা হয় এবং বৈঠকে বসার জন্য আমাদের চাপ প্রয়োগ করা হয়। সেদিন সকালে এজেন্সির একজন আমাদের হুমকি দেন যে, আমরা যেন বৈঠক করে সারা দেশের সামনে বলি আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তাহলে আমাদের লাইফ সেটেল করে দেবে। তবে আমরা রাজি হইনি।”

হাসনাত আবদুল্লাহর সাক্ষ্যগ্রহণ সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়। দুপুর দেড়টার পরে বিরতি দেওয়া হয়। এরপর তিনি প্রেস ব্রিফিং করেন। বাকি জবানবন্দি শেষে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটু ও আজিজুর রহমান দুলু। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।