ঢাকা, ১৮ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৫ || ৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২
good-food

পুরুষের যে গুণ নারীর মন জয় করে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:১৫ ১৮ নভেম্বর ২০২৫  

মানুষের মন নিয়ে যুগে যুগে কবি-সাহিত্যিকরা অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। আর সেটি যদি হয় নারীর মন, তাহলে তো কথাই নেই। হাজারো কবিতার ছন্দ আর কাব্য উপমায় নারীর মন বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। ঠিক যেমন গানের ভাষায়, আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই'। অর্থাৎ, নারীর মন বোঝার চেষ্টায় কোনো অন্ত ছিল না ভাবুকদের। 

সত্যিকার অর্থেই নারীর মন বুঝতে পারা এক চিরন্তন রহস্য। আর সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারী আরও বেশি সতর্ক, অনেক বেশি খুঁতখুঁতে। কারো স্বভাব, আচরণ, চেহারা বা কথাবার্তা কোন জিনিসটি তাদের বেশি টানে, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল যুগ যুগ ধরে। কবি-দার্শনিক থেকে সাধারণ মানুষ সবারই নিজের ব্যাখ্যা রয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা কী?

জার্মানির এক বিশ্ববিদ্যালয় এবার সেই পুরোনো প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক উত্তর খুঁজতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সমীক্ষা পরিচালনা করে। এতে অংশ নেন ১৮০টি দেশের ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ, আর সেই বিশাল সমীক্ষার ফল চোখ কপালে তোলার মতো।

সমীক্ষা অনুযায়ী, নারীরা সঙ্গী বাছাইয়ের সময় অর্থ, চাকচিক্য বা দেহসৌষ্ঠবের দিকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হন না। তাদের কাছে উদারতাই সবার ওপরে স্থান পায়। নারীর মনে সঙ্গীর দয়া, সহানুভূতি আর দানশীল মানসিকতা সবচেয়ে শক্ত টান তৈরি করে।

 

এই সমীক্ষায় শুধু বিষমপ্রেমী নারীর পাশাপাশি সমপ্রেমী ও রূপান্তরকামী অংশগ্রহণকারীরাও ছিলেন। মোট অংশগ্রহণকারী নারীর মধ্যে ৪০ হাজার ৬০০ জনের বয়স ছিল ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। যে বয়সের নারীর মন সবচেয়ে বেশি দুর্বোধ্য ধরে নেওয়া হয়।

ফলাফলে দেখা গেছে, প্রায় ৯০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন সঙ্গীর মধ্যে তারা প্রথমেই উদারতা খোঁজেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সহমর্মিতা, যা পছন্দ করেন প্রায় ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। আর তৃতীয় স্থানে এসেছে বুদ্ধিমত্তা, যা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ৭২ শতাংশ নারী।

এছাড়া ৬৪ শতাংশ নারী সঙ্গীর শিক্ষাগত যোগ্যতাকে মূল্য দেন এবং প্রায় ৬০ শতাংশ নারী পছন্দ করেন আত্মবিশ্বাসী মানুষকে।

তবে গবেষকেরা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রত্যেক মানুষ আলাদা, প্রত্যেক সম্পর্কের ভিত্তিও আলাদা। তাই কোনো সমীক্ষার ফলকে চূড়ান্ত সত্য ধরে নেওয়া ঠিক নয়। তবু এ কথা পরিষ্কার চেহারা বা সম্পদ নয়, মানবিকতা ও মননই নারীর কাছে সবচেয়ে বড় শক্তি।