ঢাকা, ০২ মে বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩২০

বিএসপিএর স্বীকৃতি ও কাজী সালাউদ্দিনের প্রত্যাখ্যান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৪৭ ৪ জানুয়ারি ২০২৩  

বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি ‘বিএসপিএ’র ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের সেরা ১০ ক্রীড়াবিদকে সম্মাননা দেয়া হয়। যেখানে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য, দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ও দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) সভাপতি পদে আসীন কাজী সালাউদ্দিন দেশের এযাবৎকালের সেরা ৩ ক্রীড়াবিদের মধ্যে বিজ্ঞ সাংবাদিকদের বিবেচনায় দ্বিতীয় সেরা হিসেবে স্বীকৃতি পান।

 

পাঁচ তারকা হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের গ্র্যান্ড বলরূমে আয়োজিত জমকালো আনুষ্ঠিকতায় এ পুরস্কার দেয়ার প্রাক্কালে তিনি নিজেই ক্রীড়াসুলভ মানসিকতায় ট্রফি গ্রহন করেন এবং স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখান, যা সবাইকে মুগ্ধ করে।

 

বলে রাখা দরকার, দেশের এযাবৎকালের সেরা ৩ ক্রীড়াবিদের মধ্যে প্রথম হিসেবে নির্বাচিত হন ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের ‘পোস্টার বয়’ সাকিব আল হাসান। হ্যাঁ, বয়সের বিষয়টা মাথায় রেখে স্বীকৃতি দেয়া হলে সিনিয়র হিসেবে অবশ্যই প্রথম হতেন কাজী সালাউদ্দিন। কিন্তু এখানে বিবেচ্য বিষয় ছিল সার্বিক পারফরম্যান্স।

 

সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়সহ ক্রিকেটের সেরা দলগুলোর বিপক্ষে নিকট অতীতে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তাতে অলরাউনডার সাকিবের কৃতিত্ব মাখা অবদান সবাই স্বীকার করবেন।
তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লীগ আইপিএলসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পেশাদার লীগ খেলছেন ।

 

বর্তমান প্রজন্ম সাকিবকে যতেটা চেনেন, বিশ্ব ফুটবলের ফিফা সদস্য ২১১টি দলের মধ্যে ১৯২ নং র‌্যাংকিং  ধারী বাংলাদেশের ফুটবল বস কাজী সালাউদ্দিনকে সেভাবে চেনেন না। হ্যাঁ, ইতিহাসে অতীতকালের ফুটবলের জনপ্রিয়তা মাতামাতির কথা বিবেচনায় নিলে সিনিয়র সিটিজেনদের কাছে তিনি অবশ্যই তারকা, মহাতারকা।

 

আমাদের মনে রাখতে হবে, বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে আমাদের দেশ ও জাতিকে বেশিবার মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন কিংবা আন্তর্জাতিক তারকাখ্যাতিটা কার বেশি। পাশাপাশি দেশের ক্রীড়ামোদী মানুষের কাছে তারকা হিসেবে কার গ্রহণযোগ্যতা বেশি। এসব বিবেচনায় সাকিবকে নির্বাচন যে যথাথথ হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

দেশের ক্রীড়ালেখক সাংবাদিকদের সেরা সংগঠন বিএসপিএ’র মনোনয়নকে ‘প্রহসনের পুরস্কার’ এবং ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে অবমাননার শামিল’ বলে বাফুফের মন্তব্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। অতিথিদের হাত থেকে ক্রীড়াসুলভ মানসিকতায় ট্রফি গ্রহণ করে পরে তা প্রত্যাখ্যান আসলে জানান দিচ্ছে এখন বাফুফে বস কাজী সালাউদ্দিন সাহেবের অবসর নেয়ার সময় হয়েছে। এখন দেশ ও জাতিকে তার আর দেয়ার কিছু নেই।

 

নইলে ২০২২ সালের কাতারে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলার কথা বলে ভোট নিয়ে বাংলাদেশকে স্থান দিয়েছেন ২১১ দলের মধ্যে ১৯২তম স্থানে। বাফুফের সভায় পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় এদেশের এককালের ফুটবল সুপারস্টার কাজী সালাউদ্দিন হেয় হয়েছেন। মনে রাখা উচিত ছিল, এই পুরস্কার দিয়েছেন দেশের বরেণ্য ক্রীড়ালেখক সাংবাদিকরা।

লেখক: লুৎফুল হায়দার সোহাগ

ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড