ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৪৫৩

ভারতে অনুমোদন পেল দুটি ভ্যাকসিন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:০৮ ৩ জানুয়ারি ২০২১  

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সিরাম ইনিস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়া বায়োটেক লিমিটেড উৎপাদিত ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ ও ‘কোভ্যাক্সিন’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ভারত। দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) রবিবার সকালে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকা এবং ভারত বায়োটেকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত অনুমোদনের ঘোষণা দিয়েছে।


ডিসিজিআই ক্যাডিয়েল হেলথকেয়ার লিমিটেডকে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রোটোকল পরিচালনা করার অনুমোদন দিয়েছে। ইউনিয়ন হেলথ মিনিস্ট্রি জানায়, এম/এস সিরাম ও এম/এস ভারত বায়োটেক ভ্যাকসিনকে দুটি ডোজ পরিচালনা করতে হবে। তিনটি ভ্যাকসিনের সবটিকেই ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হবে।

 

শনিবার সন্ধ্যায় সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) অধীন সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (এসইসি) অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি জরুরি ব্যবহারের জন্য এবং সীমিতভাবে ব্যবহারের জন্য কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিয়েছে।


পালমোনোলোজি, রোগ-প্রতিরোধ বিদ্যা, মাইক্রোবায়োলোজি, ফার্মাকোলোজি, ও অভ্যন্তরীণ ওষুধ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি গঠিত। ডিসিজিআই’র চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ায় টিকাদান কর্মসূচি যেকোনও সময় শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রধান ভি জি সোমানি।


ডিসিজিআই’র এ ঘোষণার পরপরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এটা ভারতীয়দের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন প্রাপ্ত দু’টি ভ্যাকসিন দেশে উৎপাদিত হচ্ছে।


তিনি একটি ‘আত্মনির্ভরশীল ভারত’ বিনির্মাণের স্বপ্ন পূরণের জন্য বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ জানান।
কোভ্যাক্সিন দেশটির নিজস্ব উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সহযোগিতায় ভারত বায়োটেক এটি আবিষ্কার করেছে।


ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া’র ভি জি সোমানি দাবি করেছেন, হালকা জ্বর, ব্যথা ও অ্যালার্জির মতো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হলেও ভ্যাকসিনগুলো ১১০ ভাগ নিরাপদ। আর এসব পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া যেকোনও ভ্যাকসিনেই হয়।


তিনি বলেন, আমরা এমন কিছু কখনই অনুমোদন দিব না, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য সামান্যতম ঝুঁকি হলেও আমরা অনুমোদন দেই না। তবে সব ভ্যাকসিনেই জ্বর, ব্যাথা ও অ্যালার্জি’র মতো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকে।


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভারতের ১২৫টি জেলায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। দুর্গম গ্রাম ও শহর এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত টিকাদান কর্মসূচি চালানো হবে। দেশটি কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সরকার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধের অংশ হিসেবে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে এ অভিযান সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সম্মুখ-যোদ্ধাদের টিকা প্রদান করেই এ কর্মসূচি শুরু হবে।


ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রপ অব ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভিড-১৯ (এনইজিবিএসি) জানায়, সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সম্মুখসারির যোদ্ধা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের প্রায় ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী, অন্যান্য সম্মুখ যোদ্ধা এবং ৫০ বছরের বেশি বয়স্কদের ২ কোটি টিকা দেয়া হবে।


পুলিশ বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী, হোম গার্ড, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও বেসামরিক সংস্থা, কারারক্ষী, পৌরসভা কর্মী ও রাজস্ব কর্মকর্তাদের মাঝে এ দুই কোটি টিকা প্রদান করা হবে।

করোনাভাইরাস বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর