ঢাকা, ২৯ এপ্রিল সোমবার, ২০২৪ || ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৪৮

শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেখে তুঘলকের কথা মনে পড়ে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৪৩ ৭ ডিসেম্বর ২০২৩  

আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেখে মুহাম্মদ বিন তুঘলকের কথা মনে পড়ে গেলো। গত কয়েক বছর ধরেই যা দেখছি, তাকে তুঘলকি কান্ডই বলা যায়। মাত্র অল্প দিন আগে আমরা দেখলাম পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির জন্য দুটি পাবলিক পরীক্ষা। সেটি এখন বাতিল।

 

এখন আবার নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে, যা নিয়ে বেশ তুলকালাম অবস্থা। নতুন শিক্ষাক্রম উপযোগী শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের কিছু ভিডিও নিয়ে মিডিয়া জগতে তুমুল হইচই। পক্ষে-বিপক্ষে সবাই খড়গহস্ত। একে অপরকে তুলোধুনো করছে।

 

শিক্ষা ব্যবস্থাকে অবশ্যই যুগোপযোগী ও উৎপাদন মুখী করতে হবে, কিন্তু সেজন্য যথেষ্ট গবেষণা, পরিকল্পনা, আলোচনা ও প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি কি? একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরির জন্য জনতাত্ত্বিক পরিসংখ্যান, আর্থ সামাজিক অবস্থান, পরিবেশ, সংস্কৃতি, প্রয়োজন, অগ্রাধিকার এর সবই বিবেচনায় নিতে হয়।

 

তা না করে আমরা যদি আরেকটি দেশের পদ্ধতিকে Copy and paste করে সমস্যার সমাধান হয়ে গেল মনে করে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলি তাহলে অচিরে আবার সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলকের পদাঙ্কই অনুসরণ করতে হবে।

 

নতুন এই শিক্ষাক্রম ভালো না খারাপ সেটা এক কথায় বলা যাবেনা আর এ নিয়ে আলোচনাও এখন অর্থহীন কালক্ষেপণ। এদেশে কাদম্বিনী কে মরিয়া প্রমাণ দিতে হয়। আমি আসলে নতুন শিক্ষাদান পদ্ধতির প্রশিক্ষণের যে ভিডিওগুলি সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন তুলেছে সেগুলোর ব্যাপারে বলতে চেয়েছিলাম।

 

জানি না এই ট্রেনিং গুলো কে ডিজাইন করেছেন, কিন্তু আমার কাছে এগুলো খুবই নিম্নমানের ও হাস্যকর মনে হয়েছে। হয়তোবা ভিডিও ধারণের কারণে প্রশিক্ষক অতি উৎসাহে অতি অভিনয় করে ফেলেছেন। কিংবা বিদেশি ভিডিও অনুকরণ করতে গিয়ে 'হনুকরণ' করে ফেলেছেন। ফলাফল -লম্ফ ঝম্প করতে গিয়ে ট্রেইনারের প্রাণান্ত আর যোগদানকারী শিক্ষকদের "ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি" অবস্থা।

 

লেখক: আনহারুল হক

সাবেক মেরিন ইন্জিনিয়ার, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি