ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩১১

শিশুদের করোনা সংক্রমণের প্রবণতা বেড়েছে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৫২ ১৩ ডিসেম্বর ২০২০  

শুরু থেকেই বলা হচ্ছিল বয়স্কদের করোনার ঝুঁকি বেশি। তুলনায় বাচ্চাদের কম। তবে তাদের নিয়ে কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চাননি মা-বাবারা। তাই সবসময় সন্তানকে আগলে রেখেছেন। যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করেছেন। 

 

কিন্তু সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাচ্চাদের মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম। কোভিড-১৯ আক্রন্ত হওয়ার পর তাদের এ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আগের চেয়ে শিশুদের করোনা সংক্রমণের প্রবণতা বেড়েছে। প্রানঘাতী ভাইরাস সেরে ওঠার পর বড়রা যেমন নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তেমন বাচ্চারাও ভুগছে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায়।

 

সর্বোপরি শিশুদের ক্ষেত্রে করোনার লক্ষণ খুব একটা আলাদা নয়। সর্দি, কাশি, গন্ধ চলে যাওয়া এ সবই হলো তাদের সিম্পটোম। বাচ্চাদের মধ্যে মারণঘাতী ভাইরাসের যে লক্ষণগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে তা হলো-

 

জ্বর,
সর্দি,
ক্লান্তি,
গন্ধ চলে যাওয়া,
গলা ব্যথা,
শ্বাসকষ্ট,
বুকে ব্যথা,
ও শরীরে ব্যথা।

 

বাচ্চারা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে

বাচ্চাদের এখন মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে তাদের প্রায় সব অঙ্গ ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সমস্যায় ফুসফুস, রক্তনালী, কিডনি, হজম-ব্যবস্থাসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গে প্রভাব পড়ে। এমনকি মস্তিষ্ক, ত্বক, চোখেও প্রভাব বিস্তার করে। তাই কোভিডের পর ঘাড় ফুলে যাওয়া, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, ঠোঁট ফেটে যাওয়া-এসব হরহামেশা হচ্ছে।

 

এছাড়া ম্ট্রবেরি টাঙ্গ-এর সমস্যা হচ্ছে। অর্থাৎ পা, হাতের আঙুল লাল হয়ে ফুলে যাওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া, জিভে ঘা হওয়া-এসব সমস্যাও হচ্ছে। ফুসফুসে সমস্যা, কাশি, কফ সেসব তো থাকছেই। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত ৩৫ বাচ্চার ওপর এ সমীক্ষা করা হয়েছে। সেখানেই এ রিপোর্ট উঠে আসে।

 

রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউ ইয়র্কের প্রায় ৮৩ শতাংশ বাচ্চা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৮ জনের মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম দেখা গিয়েছিল। তাই করোনা থেকে সেরে উঠলেও শিশুদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।