ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৩৩০

শেয়ারবাজারে ভয়াবহ পতন: বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৪১ ১৪ জানুয়ারি ২০২০  

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবারের রেকর্ড দরপতনের পর আজ মঙ্গলবারও বড় দরপতন ঘটেছে দুই শেয়ার বাজারে। চার ঘণ্টা লেনদেনের মধ্যে দুই ঘণ্টা না পেরোতেই ৮০ শতাংশ শেয়ারের দরপতন হয়েছে।

শেয়ারবাজারের ভয়াবহ দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিলে অবস্থিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আগের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। মঙ্গলবার দুপুরে ‘বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ’র ব্যানারে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।


 
বিক্ষোভ থেকে বরাবরের মতো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়।

জানা গেছে, পতন ঠেকাতে সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর আগ থেকে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেশের বড় ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিজেদের বা গ্রাহকের হয়ে শেয়ার বিক্রি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন।


 
কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন নির্দেশনা কোনো কােজ আসেনি।টানা দরপতনের কারনে বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। বিশেষ করে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাজারে গুজব রটেছে, শেয়ার বাজারে এবারও বড় ধরনের ধ্বস নামবে।


 
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা আইসিবি শেয়ার কিনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু শেয়ার বিক্রির চাপ এত বেশি ছিল যে প্রতিষ্ঠানটির চেষ্টা কােন কাজেই আসছে না।আশংকা করা হচ্ছে শেয়ার সূচক ৪ হাজারের নীচে চলে আসবে।

শেষ ৮ কার্যদিবসের মধ্যে সাত দিনই বড় পতন হয়েছে। এই সাত দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৪০০ পয়েন্টের ওপর। এর মধ্যে মঙ্গলবার কমেছে ৮৭ পয়েন্ট। সূচকের এই বড় পতনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। আধঘণ্টা চলে এ বিক্ষোভ।

বিক্ষোভ থেকে বরাবরের মতো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের পদত্যাগ দাবি করা হয়।


২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিলের পর শতাংশে হারে এটাই ছিল গত ৫ বছরে সর্বোচ্চ দরপতন।

গত সপ্তাহের পুরোটা সময়ই শেয়ারবাজারে ছিল দরপতন। সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসের দরপতনে সূচক হারায় ২৬২ পয়েন্ট। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর কোনো এক সপ্তাহে এর থেকে বড় সূচকের পতন আর হয়নি।

এ প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বাজারকে যাদের সাপোর্ট দেওয়ার কথা, তারা বর্তমানে চুপ রয়েছে। ফলে বাজারচিত্র বদলাচ্ছে না। এ কথা ঠিক, বর্তমানে বাজারে বেশিরভাগ শেয়ার সস্তা; কিন্তু এখানে নতুন অর্থ না এলে শেয়ার আরও সস্তা হয়ে যাবে।

অর্থনীতি বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর