সড়কে নিরাপত্তা দেবে কে?
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৯:৫৫ ১৪ মার্চ ২০১৯

গেল ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় নিহত হন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব। একই ঘটনায় আহত হন আরও ১৩ জন। ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় বিমানবন্দর সড়কের বাম পাশে বাসের জন্য অপেক্ষার সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মিম ও রাজিবকে পিষে দেয় একটি বাস। অকালে ঝরে যায় দুটি প্রাণ। তাদের ঘিরে দু’চোখে বোনা হাজারো স্বপ্ন নিমিষে চুরমার হয়ে যায় দু’পরিবারের। এ পরিস্থিতির জন্য নিশ্চয়ই দায়ী বাস মালিক, ড্রাইভার-হেলপাররা। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে? জানতে চাইলে ঘটনার ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে হাস্যোজ্জ্বল মুখে পড়শী দেশ ভারতের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। প্রকাশ্য দিবালোকে এড়িয়ে যান সব দায়।
এতে উত্তাল হয়ে পড়ে সারাদেশ। নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন বিশেষত রাজধানীর শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বাসের ড্রাইভার ও হেলপারদের লাইসেন্স চেক করেন। নির্দিষ্ট লেন তৈরি করে কার চলাচলে বাধ্য করেন। পথচারীরাও একইভাবে নির্দেশনা মেনে চলেন। এ ঘটনা ছুঁয়ে যায় দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষকে। সবাই তাতে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
প্রশ্ন জাগতে পারে-সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী না হওয়ার পরও নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর দফতরে গণমাধ্যমকর্মীরা ঢু মেরেছিলেন কেন? কারণ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃৃত্ব দেন তিনি। সড়কে তার প্রভাব ওই দফতরের মন্ত্রীর চেয়ে বেশি। বেপরোয়া ও লাগামহীন চালক, শ্রমিক ও নিয়ন্ত্রণহীন মালিকদের পক্ষে সাফাই গাওয়া ও হুমকি দেয়া, সতর্ক করা তারই কাজ। পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা উনার প্রশ্রয়েই ধর্মঘট ডাকেন, সড়ক অবরোধ করেন। এজন্য দরকারে সাধারণ জনগণের সঙ্গে মারপিট করতেও পিছপা হন না তারা।
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নৌ পরিবহনমন্ত্রীর হাসি মিম ও রাজিবের মৃত্যুর প্রতি কেবল বিদ্রুপই ছিল না, অবজ্ঞা ছিল সব শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের প্রতি। সার্বিকভাবে সব যাত্রী ও নাগরিকদের উপেক্ষা করেন। অবশ্য সেজন্য জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর ভর্ৎসনার শিকার হন তিনি। এতে যেন চৈতন্য ফিরে তার। পরে নির্লজ্জ সেই হাসির জন্য আপামর জনসাধারণ সমীপে ক্ষমা চান মন্ত্রী। একইসঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেন-চালক, শ্রমিক ও পরিবহনের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিলে তিনি ও তার সংগঠন বাধা দেবে না।
পরোক্ষভাবে এতে শাজাহান খানের দাপটের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ফলে ক্ষমা চাওয়ার পরও সাধারণ মানুষের ক্ষোভ হ্রাস পায়নি। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ক্ষোভও প্রশমিত হয়নি। মন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, জনগণের কোনো আন্দোলনের বিপক্ষে কোনো সংগঠন বাধা দেবে না। তবু রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেন পরিবহন শ্রমিকরা। করেন পথ অবরোধ।
তবু পথ ছাড়েননি শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি রাজধানীর বাইরেও পথে নেমে প্রতিবাদ করেন। পরিবহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করেন। কয়েকটি বাস ভাংচুর করেন। কয়েকটিতে আগুন দেন। তবে সাধারণ গাড়ি বা পরিবহনের ওপর ক্ষোভ উগরে দেননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢু মারলে স্পষ্ট দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের সড়কে অবরোধের নেপথ্যে অভিভাবক এবং সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল অকুণ্ঠ। এই অভিভাবক, সাধারণ মানুষেরা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলমনা ছিলেন না। সব মতাদর্শের মানুষই সমর্থন দেন। প্রতিবাদ করেন ছেলেমেয়েদের ওপর পুলিশ চড়াও হলে।
বলতে পারেন, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা কেন এই অবস্থান নেয়? একের পর এক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাধারণ মানুষের সড়কে প্রাণ ঝরে গেলেও নির্বাক বসে থাকছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো নিষ্ক্রিয়। দিনের পর দিন এই নিষ্ক্রিয়তায় ভীষণ অসহায় সাধারণ মানুষ, নাগরিকেরা। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনে সমর্থন জোগানোর একটা সুযোগ পেয়েছিলেন তারা।
বলতে পারেন, বাস কোম্পানিগুলো কেন বিআরটিএ ও পুলিশের প্রভাবমুক্ত? জবাব, বাস কোম্পানিগুলো রাজনৈতিক ও সামরিক-বেসামরিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নতুবা তাদের ছত্রছায়ায় ব্যবসা করে। যে বাসটি মিম-রাজীবকে পিষ্ট করে মারে, তার সঙ্গে নৌ পরিবহনমন্ত্রীর আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। অন্য বাস কোম্পানিগুলোও প্রভাবমুক্ত নয়। ওই বাস কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করতে চার দিন সময় লাগে।
তবে লাইসেন্স বাতিল করলেও সাধারণ নাগরিকেরা স্বস্তি পাচ্ছেন না। কারণ, কোম্পানিটি যে অন্য নামে, অন্য রূপে, ভিন্ন বেশে-ধাঁচে রাস্তায় নামবে না-তার গ্যারান্টি দেবে কে?
আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, অবৈধ ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের গাড়ি চালানো ও লাইসেন্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএ এবং মহানগর পুলিশকে নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অবাক কা-! সামান্য কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চোখ রাঙানির দরকার হবে কেন? কাজটির জন্যই তো বিআরটিএ নিয়োজিত। বাস্তবায়নে সক্রিয় থাকবে পুলিশ। তারা কেন ব্যর্থ হলো, সেজন্য চোখ রাঙানি নয়, প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। এর পেছনে কাদের লম্বা হাত আছে তাও খতিয়ে দেখা দরকার।
তাদের জবাবদিহিতা নেই কেন? তারা কী করে দিনের পর দিন ভুয়া সনদ দিয়ে যাচ্ছে? ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়ে কী করে লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন বাস চলাচল করে? সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জাঁদরেল মন্ত্রী ও কর্মকর্তারাই বা কতটা তৎপর থাকেন?
সবাই জানেন, নানা সময়ে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কয়েকদফা নির্দেশনা ছিল। যারা সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলেন, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বা হচ্ছে? নানা বিষয়ে ডিজিটাল বা প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের কথা বললেও দেশের সড়ক পরিচালনা বা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কিন্তু রয়ে গেছে এখনো সেকেলে।
উত্তরের মেয়র শত বাস কোম্পানিকে চার-পাঁচটি কোম্পানিতে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে তার অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। সর্বোপরি সড়ক ও গণপরিবহন ব্যবস্থাপণায় বিশৃঙ্খলা রয়েছে তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। সেখানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কেবল আইন নয়; সরকার ও তার অনুশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজনৈতিক-প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতির দরকার। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সেই শৃঙ্খলায় ফিরে যাওয়া এখন সময়ের দাবি।
- কমেই চলেছে স্বর্ণের দর, কারণ কী কী
- বিয়ের পর একইসঙ্গে মা ও বউয়ের মন জয়ের কৌশল
- সাবিলা নূরকে নায়িকা মনে হয় না: মারিয়া মিম
- আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: উদ্বিগ্ন ভারত চায় দ্রুত নির্বাচন
- বাংলাদেশ সিরিজ সামনে রেখে নতুন কোচ নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
- বিলুপ্ত হলো এনবিআর, দুভাগ করে অধ্যাদেশ জারি
- হত্যা মামলায় রিমান্ডে মমতাজ
- হিটস্ট্রোকের লক্ষণ দেখলে দ্রুত যা করবেন
- বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি, চাঙা অর্থনীতি
- সোশ্যাল মিডিয়ায় আ.লীগ, এর অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের প্রচারণা নিষিদ্ধ
- আ. লীগের নিবন্ধনও স্থগিত, প্রথমবার ছিটকে পড়লো ভোট থেকে
- আ. লীগ ও এর অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন
- ভারত না পাকিস্তান, সংঘাতে জিতল কে
- শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এলতাস স্যার এখন কেবলই স্মৃতি
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
- একমঞ্চে দুই বোনের সম্মাননা
- ‘আমরা ফ্লাই করার ২০ মিনিট পর এয়ারপোর্টে মিসাইল পড়ে’
- ৩০ দিনের ‘নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে’ যাচ্ছে ইউক্রেন
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান: ট্রাম্প
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, ইতিহাস কী বলে
- কেন খাবেন কাঁচা কাঁঠাল
- আইপিএলের পর পিএসএলও স্থগিত
- বাড়তে পারে তাপপ্রবাহের তীব্রতা, সতর্ক বার্তা জারি
- ভারতীয় গণমাধ্যমকে ‘সার্কাস’ বললেন সোনাক্ষী সিনহা
- পাকিস্তানে হামলার পর ভারতের চোখ বাংলাদেশের দিকে কেন
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানালো অন্তর্বর্তী সরকার
- স্নায়বিক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে নিন
- পিএসএলের মাঝপথে দেশে ফিরছেন রিশাদ-নাহিদ
- সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার
- ৪৫ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ
- শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এলতাস স্যার এখন কেবলই স্মৃতি
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, ইতিহাস কী বলে
- স্নায়বিক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে নিন
- অবশেষে নতুন কোচ পাচ্ছে ব্রাজিল
- পুরুষরা যেসব রোগে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন
- কাঁচা নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভালো?
- ‘মৃত্যু নিয়ে মজা নিয়েন না’, বর্ষাকে সাবধান করলেন পরীমণি
- কেন খাবেন কাঁচা কাঁঠাল
- পাকিস্তানে ভারতের অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেন
- ‘শিরক’ আখ্যা দিয়ে কেটে ফেলা হলো শতবর্ষী বটগাছ
- যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
- জাতির উদ্দেশে ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, ‘আমরা বদলা নেব’
- প্রথম মার্কিন পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট
- সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার
- হিটস্ট্রোকের লক্ষণ দেখলে দ্রুত যা করবেন
- হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলা, গ্রেপ্তার আরও ১৭
- প্রেমিকা রুক্মিণীকে যে খবর ফাঁস করলেন দেব
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানালো অন্তর্বর্তী সরকার
- পাক-ভারত যুদ্ধের পূর্বাভাস ৬ বছর আগেই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণায়
- পাকিস্তানে হামলার পর ভারতের চোখ বাংলাদেশের দিকে কেন