ঢাকা, ১৯ মার্চ মঙ্গলবার, ২০২৪ || ৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৩৮০৩

হৃদরোগ-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় মিষ্টি আলু

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৪১ ২৭ জানুয়ারি ২০১৯  

গোল আলুর সব স্বাস্থ্য উপকারিতাই আছে মিষ্টি আলুতে। এছাড়াও মিষ্টি আলু আরো কিছু উপকার করে। লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান ফ্রান্সিসকোর স্পোর্টস ডায়েটিশিয়ান ইয়াসি আনসারি বলেন, পাতে যত বেশি রঙিন ফল ও শাকসবজি রাখা যায় তত ভালো।

মিষ্টি আলু বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এটি পুষ্টিতে ভরপুর। এ আলু ত্বক ভালো রাখে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এটি নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে। নিয়ম মেনে খেলে এটি আরো উপকার করে। এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

পুষ্টি উপকারিতা: নিউ ইয়র্কের বিজেড নিউট্রিশনের স্বত্ত্বাধিকারী ও ডায়েটিশিয়ান ব্রিজিটি জিটলিন বলেন, সব আলুই পুষ্টিসমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর। তবে কমলা, হলুদ ও বেগুনি রঙের মিষ্টি আলুতে গোল আলুর তুলনায় কম ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। এতে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ থাকে। ভিটামিন এ হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং ত্বক সুস্থ ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর রাখে।

ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার অনুসারে, একটি মিষ্টি আলু দৈনিক সুপারিশকৃত ১০০ শতাংশের বেশি ভিটামিন এ সরবরাহ করে। এতে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ থাকে, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

এছাড়া একটি মিষ্টি আলুতে প্রায় ৪ গ্রাম উদ্ভিজ্জ ফাইবার আছে, যা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বজায় রাখে। ক্রনিক রোগেরও ঝুঁকি কমায়, যেমন- টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও উচ্চ কোলেস্টেরল। 

উচ্চ কার্বোহাইড্রেট: মিষ্টি আলুতে নন-স্টার্চি ভেজিটেবলের (ব্রকলি) চেয়ে বেশি কার্বোহাইড্রেট থাকে। অর্ধ বাটি মিষ্টি আলুতে প্রায় ১৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। সেখানে সমপরিমাণ ব্রকলিতে থাকে প্রায় ৩ গ্রাম। এটিই হতে পারে মিষ্টি আলু খাওয়ার অন্যতম কারণ। ইয়াসি আনসারি বলেন, নন-স্টার্চি সবজির তুলনায় মিষ্টি আলু বেশি শক্তি জোগায়। এটি দৈনন্দিন কার্যক্রম ও অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্সের জ্বালানি উৎস। সারকথা, সব শাকসবজিই ডায়েটে যুক্ত করার মতো স্বাস্থ্যকর অপশন। এগুলো বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সরবরাহ করে।

খাওয়ার স্বাস্থ্যসম্মত উপায়: গাঢ় রঙের মিষ্টি আলু কিনতে হবে। রঙ (কমলা, হলুদ অথবা বেগুনি) যত গাঢ় হবে, পুষ্টিগুণ তত হবে। খোসা ছাড়িয়ে খেতে হবে। সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায় হচ্ছে খোসাসহ খাওয়া। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে। খোসায় প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে।