ঢাকা, ২৭ জুলাই শনিবার, ২০২৪ || ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
good-food
৯৬

আম খাওয়ার আগে ডায়াবেটিস রোগীদের যা জানতে হবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:২৫ ৮ জুন ২০২৪  

বাজারে শুরু হয়ে গেছে রসালো পাকা আমের আনাগোনা। মিষ্টি ও সুস্বাদু আম শ্বেতসারের ভালো উৎস। পাশাপাশি এতে আছে শর্করা, গ্লুকোজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আঁশ, ভিটামিন বি-১, বি-২, থায়ামিন, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস।

 

তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতিরিক্ত আম খাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যদিও অনেকে মনে করেন ডায়াবেটিস রোগীরা আম একেবারেই খেতে পারবেন না। তবে এই ধারণা আদৌ মোটেই ঠিক নয়। ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই আম খেতে পারবেন। তবে কয়টি খাবেন এবং কখন খাবেন-সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

 

আম এমন একটি ফল যা লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের অন্তর্ভুক্ত। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০ এর বেশি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কার্বোহাইড্রেটের সূচক। যত কম গ্লাইসেমিক রেটের খাবার খাওয়া হবে ততই শরীরের জন্য ভালো। তাই আম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চমৎকার স্ন্যাকস।

 

আমে থাকা আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি ব্লাড গ্লুকোজকে বাড়তে দেয় না। আমে থাকা ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমে থাকা পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 

আম খাওয়ার আগে ডায়াবেটিস রোগীদের যা জানতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

ডায়াবেটিসের রোগী আম খেতে পারেন না, এ কথা ভুল। আম খেতে পারবেন, তবে শর্করাযুক্ত অন্যান্য খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে। যেমন সকালে অনেকেই আম রুটি বা আম চিড়া খেতে পছন্দ করেন।

 

সকালে যদি আগে ৩টি রুটি খেতেন তবে সেখান থেকে একটি রুটি বাদ দিয়ে বা চিড়া ৩ ভাগের একভাগ কমিয়ে দিয়ে তার পরিবর্তে ১টি আম খেতে পারেন। রাতে সাধারণত বলা হয় যে মিষ্টি জাতীয় ফল ডায়াবেটিস রোগীদের কম গ্রহণ করতে। কিন্তু তারপরেও অনেকেই আমের সিজনে আম দিয়ে দুধ ভাত খেতে পছন্দ করেন। তাদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ হলো, ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দিন।

 

অর্থাৎ আগে যা ভাত খেতেন তার অর্ধেক ভাত খান এবং পাশাপাশি পরিমাণ মতো আম খান। রাতের এই খাবার শেষ করুন সন্ধ্যা রাতেই। কারণ বেশি রাতে আম খেলে ক্যালোরি খরচ করার সময় পাওয়া যায় না। সকালে আম খেলে সারাদিনে নানা কাজে খরচ হয়ে যায় ক্যালোরি।

 

রাতের খাবার শেষে ১ ঘণ্টা পর একটু বেশি সময় হেঁটে নিতে হবে, তাহলে আম খেলেও কোনস সমস্যা হবে না। পাকা আম একজন ডায়াবেটিস রোগী দৈনিক ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম খেতে পারেন। মানে প্রতিদিন একটি ছোট আম বা অর্ধেকটা মাঝারি আম খাওয়া যাবে।