ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর সোমবার, ২০২৫ || ১৫ পৌষ ১৪৩২
good-food

শৈত্যপ্রবাহে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:২৬ ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫  

শীতকাল আনন্দের হলেও এই মৌসুমে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায়। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে।

গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যারা, তাদের মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ঠান্ডার ধাক্কায় হাইপোথার্মিয়া, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা এমনকি ফ্রস্টবাইটের ঝুঁকিও বাড়ে।

এই পরিস্থিতিতে শৈত্যপ্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে ও পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের সুরক্ষিত রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

ইউজালা সাইগনাস গ্রুপ অব হাসপাতালের কনসালট্যান্ট এবং ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শহীদ শাফির মতে—

শরীর গরম রাখুন

পর্যাপ্ত স্তরের গরম কাপড় পরুন। প্রয়োজনে হিটার বা অন্যান্য নিরাপদ গরম রাখার যন্ত্র ব্যবহার করুন।

সক্রিয় থাকুন

শীতে আমরা অনেক সময় ঘরের ভেতরই বন্দি থাকি, ফলে শারীরিক নড়াচড়া কমে যায়। এতে হাড় ক্ষয় ও দুর্বলতার ঝুঁকি বাড়ে। ঘরের ভেতর হালকা ব্যায়াম করলেও উপকার পাওয়া যায়।

পর্যাপ্ত স্তরের গরম কাপড় পরুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

ঠান্ডায় তৃষ্ণা কম লাগে, বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে। কিন্তু শরীরের পানির চাহিদা কমে না। নিয়মিত পানি ও তরল খাবার গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন

শীতকালে অনেক মানুষ একাকিত্ব ও বিষণ্নতায় ভোগেন। নিয়মিত কথা বলা, খোঁজ নেওয়া ও সময় দেওয়া ‘উইন্টার ডিপ্রেশন’ কমাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিকর খাবার খান

ভিটামিন ডি–সমৃদ্ধ খাবার ও সুষম খাদ্য শরীর সুস্থ রাখতে অত্যন্ত জরুরি।

শীতে আরও যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন

পারাস হাসপাতাল, গুরগাঁওয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. আর আর দত্ত বলেন—

•     বয়স্কদের ঠান্ডা সহ্য করার ক্ষমতা কমে যায়। তাই খুব ঠান্ডার সময় ঘরের ভেতর থাকাই ভালো।

•     ভারী উলের পোশাক স্তরে স্তরে পরুন এবং ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

•     আঙুল, কান, নাক ও পায়ের আঙুল সবচেয়ে আগে ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়। তাই গ্লাভস, মোজা ও টুপি ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতর হালকা ব্যায়াম করলেও উপকার পাওয়া যায়।

•     শীতেও পানি পান ও ত্বকের যত্ন জরুরি। শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক থেকে আর্দ্রতা কমে যায়, তাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।

•     অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা শীতে বাড়ে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে—এ বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

•     অলস হয়ে সারাদিন বিছানায় পড়ে না থেকে যতটা সম্ভব সক্রিয় থাকুন।

•     যতটা সম্ভব রোদ পোহান—সূর্যালোক ভিটামিন ডির সবচেয়ে ভালো উৎস।