ঢাকা, ০৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ২১ কার্তিক ১৪৩২
good-food
৬৩৯

আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণ মামলায় নাম নেই এসআই খায়রুলের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৩৫ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

যশোরে সোর্সের সঙ্গে মিলে পুলিশের এসআই কতৃক আসামির স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শার্শা উপজেলায় ওই ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ এবং একজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা হলেও ধর্ষিতা নারী যাকে ‘প্রধান অভিযুক্ত’ হিসেবে দাবি করেছিলেন সেই এসআই খায়রুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি।

এই এসআইকে জেলা পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদারকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার জানান, মঙ্গলবার রাতে শার্শার চটকাপোতা এলাকার কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল, লক্ষণপুর এলাকার আব্দুল লতিফ এবং আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে। আর অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ ‘সচেষ্ট’ রয়েছে।

খায়রুলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ভিকটিমের সামনে গত রাতে এসআইকে কয়েক দফা আনা হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী তাকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেননি।

এসআই খায়রুলকে প্রত্যাহারের ব্যাপারে এডিশনাল এসপি সালাহউদ্দিন শিকদার জানান, যেহেতু এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তে যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেই কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি দোষী, সে কারণে প্রত্যাহার হয়েছে এমনটি নয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ সাংবাদিকদের জানান, শার্শার লক্ষণপুর গ্রামে তার স্বামী আসাদুজ্জামান আশাকে গত ২৫ আগস্ট রাতে উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। পরদিন ২৬ আগস্ট আশার থেকে থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে দেখিয়ে তাকে আদালতে চালান দেন।

তিনি অভিযোগ করেন, গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল ও তার সোর্স গত ২ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে বাড়িতে গিয়ে তার নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে ঝগড়াও হয়।

এক পর্যায়ে এসআই খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর তিনি ও তার সোর্স কামরুল ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে ওই নারী যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, সোমবার রাতে ঘরের ভেতরে গিয়ে প্রথমে এসআই খায়রুল ও পরে পুলিশের সোর্স কামরুল তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় সোর্স লতিফ ও কাদের ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল।