ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪৪১

ঈদে গ্রামমুখী কোটি মানুষ, মহামারি আকার নেবে ডেঙ্গু?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৪৬ ২ আগস্ট ২০১৯  

বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মূলত ঢাকায়। তবে রাজধানীর বাইরে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন গড়পড়তা ৫০০ জন এ মশাবাহিত ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বিভিন্ন জেলায় সরকারি হিসাবে ১ হাজার ৭১২ জন এ জ্বরে পড়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দেড় হাজার মানুষ।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আসন্ন ঈদুল আজহায় বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাবে। ফলে এ ভাইরাস সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তাতে কী ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে? জবাবে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মেহেরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা বলছেন, ঢাকা থেকে যারা যাবেন; তাদের অনেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। কেউ আগেই জ্বরে ভুগছেন, কারো ওই সময় জ্বর হবে। আবার কারো পরে জ্বর হতে পারে। এটা প্রতিরোধে যারা জ্বরে ভুগছেন তাদের গ্রামে না যাওয়ায় ভালো। ভ্রমণ না করাই উচিত হবে। সেই জ্বর থাকলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে এটা ডেঙ্গু কি-না।

তিনি বলেন, কারো জ্বর হয়নি। কিন্তু ঢাকায় থাকার কারণে তার মধ্যে ইনফেকশন ঢুকে আছে। কিন্তু জ্বর না হওয়ায় টের পাননি। হয়তো চলে যাবেন। এভাবে ভাইরাস দেশের অন্য অঞ্চলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এডিস মশা এখনো শহরকেন্দ্রীক। সাধারণত এটি ১০০-৪০০ মিটারের বেশি উড়তে পারে না। তবে পরিবহনের মাধ্যমে এটা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারে।

কিন্তু নাড়ির টানে ঈদে ঢাকা ছেড়ে গ্রামগামী বিপুল সংখ্যক মানুষকে কী নজরদারিতে নেয়া সম্ভব? জবাবে মেহেরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এটা কঠিন কিন্তু সরকার চেষ্টা করছে। দেশজুড়ে সচেতনতা কর্মসূচি চলছে। গ্রামে গিয়ে ডেঙ্গু ধরা পড়লে, কী করতে হবে, সেজন্য একটা গাইডলাইন দেশের সর্বত্র পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকদের পুনঃপ্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু বড় আকারের একটা প্রাদুর্ভাব, যা বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে হচ্ছে। তবে আমাদের চিকিৎসকরা এখন যথেষ্ট অভিজ্ঞ। কোথাও কারও এ ধরনের জ্বর হলে চিকিৎসা দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর