ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬১৭

এরশাদের অফিস থেকে ৪৩ লাখ টাকা চুরি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:২৫ ৩০ এপ্রিল ২০১৯  

রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের কক্ষ থেকে চুরি হয়ে গেল ৪৩ লাখ টাকা।

 

দলটির দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন, কার্যালয়ের নিচতলায় চেয়ারম্যানের কক্ষের লকার ভেঙে টাকা লুটে নেয়া হয়। তিনি বলেন, অফিস স্টাফদের বেতন দেয়ার জন্য এই টাকা এনে রাখা হয়েছিল।

 

 

জাতীয় পার্টির নেতারা জানান, সোমবার রাতের যে কোনো এক সময় চুরির ঘটনাটি ঘটে।  সকালে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন থানা পুলিশ সিআইডির ক্রাইম সিন টিম সদস্যরা।

 

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোশতাক আহমেদ জানিয়েছেন, সেখানে চারজন নিরাপত্তা রক্ষী ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালি মঙ্গলবার সকালে চুরির বিষয়টি জানান।

 

এরশাদের ব্যক্তিগত স্টাফ জাহাঙ্গীর আলমের রুমের দরজা সিন্দুকের তালা ভেঙে ওই টাকা চুরি করা হয়। এছাড়া জাতীয় পার্টির মহাসচিবের কক্ষ এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারি মেজর (অব.) খালেদ আক্তারের কক্ষের তালাও ভাঙা পাওয়া যায়। তবে ওইসব রুম থেকে কোনো কিছু খোয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।

 

ব্যক্তিগত স্টাফ জাহাঙ্গীর আলম এরশাদের অফিসে চাকরি করেন দীর্ঘদিন। সম্প্রতি এরশাদ যে ট্রাস্ট গঠন করেছেন সেখানে রওশন জিএম কাদেরকে না রাখলেও জাহাঙ্গীরকে রাখা হয়েছে ট্রাস্টি হিসেবে।

 

এরশাদের যাবতীয় আয়-ব্যয় তদারক, সামাজিক সেবা খাতের লেনদেন সমন্বয় করেন জাহাঙ্গীর।

 

সোমবার রাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ওয়াহিদ। তিনি ভবনের মাঝ বরাবর সিঁড়ির গোড়ায় ঘুমিয়ে ছিলেন। সকালে উঠে দেখতে পান তালা ভাঙা। বিষয়টি ফোন করে জানালে অন্যরা এসে পুলিশকে খবর দেন।

 

তিন তলা বিশিষ্ট ভবন রজনীগন্ধা (এরশাদের রাজনৈতিক কার্যালয়) ভবনে তিন দিক দিয়ে প্রবেশ করার সুযোগ রয়েছে। রাস্তার দিক থেকে ঢুকলে প্রথমেই জাহাঙ্গীরের রুম, এরপর যথাক্রমে (পশ্চিম মুখী) খালেদ আক্তার মহাসচিবের রুম। মহাসচিব খালেদের রুমের সামনে লম্বা ড্রয়িং রুম।

 

জাহাঙ্গীর মহাসচিবের রুমের পেছন দিয়ে উত্তরে অবস্থিত টয়লেটে যাওয়ার জন্য পায়ে হাঁটার পথ রয়েছে। টয়লেটের সামনে অর্থাৎ ভবনের উত্তর পাশেও দরজা রয়েছে মূল ভবনে প্রবেশ করার জন্য। দ্বিতীয় তলায় এরশাদের কক্ষ। তার সামনে রয়েছে ভিআইপি হল রুম।

 

তৃতীয় তলায় প্রেস উইং একটি বড় হল রুম। এর পাশাপাশি দেড় তলাতে ছোট্ট একটি রুম রয়েছে। সেখানে অফিস স্টাফদের জন্য থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে থাকেন কম্পিউটার অপারেটর রিপন। ঘটনার রাতেও তিনি ছিলেন। পেছনের দিকে গণটয়লেটের সামনে একটি কক্ষে থাকেন নিরাপত্তা কর্মীরা। নিরাপত্তা কর্মী ফেরদৌস সেই কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন।