ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৭৪

‘করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পরীক্ষাগার স্থাপন করা হবে’

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:১৯ ২৩ মার্চ ২০২০  

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাসপাতালে করোনা ভাইারাস পরীক্ষাগার স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, ল্যাব আমাদের আছে, নতুন যেগুলো করছি; সেগুলো আমরা বাড়তি করছি। কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাসপাতালে করোনা ভাইরাস পরীক্ষাগার স্থাপন করা হবে। কিন্তু আমাদের টেস্ট থেমে নেই। এখন পর্যন্ত আমরা প্রায় আড়াইশ’র বেশি টেস্ট করেছি।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ মালেক এ কথা জানান।
তিনি বলেন, দুই ধরনের টেস্টিং কিট দিয়ে বিভিন্ন ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সরকারের হাতে পর্যাপ্ত কিট রয়েছে। করোনা শনাক্তকরণে আরও ৫০ হাজার কিট অর্ডার দেয়া হয়েছে। আমরা ৫০ হাজার পিসিআর (পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) টেস্টের ব্যবস্থা নিয়েছি। ৫০ হাজার কিটসের অর্ডার আমরা দিয়েছি। সেগুলো চলে আসছে এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ৫০ হাজার কিট দিচ্ছে।
কিট বা সরঞ্জাম নেই-এ বিষয় নিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে কিটস আছে এখন ১ লাখ। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশ অনেক ভালো আছে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে এ ভাইরাস যেন ছড়িয়ে না পড়ে। আমরা যদি সেল্ফ- কোয়ারেন্টাইন বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন যথাযথভাবে নিতে পারি; তাহলে ভয়ের কিছু নেই, করোনা ছড়াবে না।
সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি। জেলা পর্যায়ে ডিসি, এসপি, ইউনিয়ন পর্যায়ে চেয়ারম্যান, মেম্বাররা কাজ করছেন। সিটি করপোরেশনের মেয়র, কমিশনাররাও কাজ করছেন।
বিদেশফেরত ব্যক্তিদের সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন না মানার বিষয়ে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করে জাহিদ মালেক বলেন, যারা বিদেশ থেকে এসেছেন, তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জোর করে তাদের ধরে আনা হচ্ছে। কিন্তু তারা যদি নিজেরাই কোয়ারেন্টাইনে থাকেন, তাহলে আমরা তাদের সেবা দিতে পারব, ওদের পরিবারকেও রক্ষা করতে পারব। কিন্তু পালিয়ে বেড়ালে কোনোটাই সম্ভব নয়।
বিদেশফেরত বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের পূর্ণ চেষ্টা হবে কোয়ারেন্টাইনে থাকা। প্রয়োজন অনুযায়ী আমরাই চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা করব। দেশের মানুষকে, আপনার নিজের পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না।
করোনার সংক্রমণ রোধে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোও সীমিত আকারে পালনের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তো বন্ধ করে দিতে বলেনি, সীমিত আকারে পালনের কথা বলেছি। এটা তো সৌদি করেছে, আমিরাত করেছে, ইরান করেছে। কিন্তু আমরা করতে পারিনি। তাই বলছি, বিষয়গুলো অনুধাবন করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।