ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২১৬

কারাগারেই সন্তানের জন্ম দিলেন নুসরাত হত্যার আসামি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৩৮ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কামরুন নাহার মনি সন্তানের মা হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কন্যা সন্তান প্রসব করেন তিনি। মা ও শিশু উভয় সুস্থ্য রয়েছেন। রোববার সকালে আসামিকে হাসপাতাল থেকে অব্যাহতিপত্র দেয়া হবে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. আবু তাহের পাটোয়ারী জানান, শুক্রবার রাতে প্রসব ব্যাথা নিয়ে আসামি মনি ফেনী জেলা কারাগার থেকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। রাত সোয়া ১২টায় কন্যা সন্তান জন্ম দেন তিনি।
ফেনী জেলা কারাগারের জেলার দিদারুল আলম জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আসামি মনির শারীরিক অবস্থায় খারাপ হয়। পরে কারাগার হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ফেনী জেনারলে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ফেনী মডেল থানা পুলিশ ও কারাগারের একাধিক কারারক্ষীদের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলে কঠোর নিরাপত্তায় পুনরায় তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর জের ধরে গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদি হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তিনি। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হয়। 
গত ১০ এপ্রিল মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। এ মামলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এদের মধ্যে মাদ্রাসার বরখাস্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, কামরুন নাহার মনিসহ ১২ জন আসামি হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন তারা।